খেলাটা ৯০ মিনিটের। যুক্তরাষ্ট্রের বেরসিক আবহাওয়ায় চেলসি-বেনফিকার ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর সেই ম্যাচ শেষ হল ৪ ঘণ্টা ৩৮ মিনিটে। নাটকীয় ৪-১ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখানোর পর চেলসি কোচ এনজো মারেসকা বলেছেন এটা ‘তামাশা’।
পুরো ক্লাব বিশ্বকাপ জুড়ে বারবার ম্যাচ থামানোয় বিরক্তি প্রকাশ করে মারসেকা বললেন, ‘‘ ৭, ৮ কি ৯ বার ম্যাচ স্থগিত হলো এ নিয়ে। এটা একটা তামাশা, ফুটবল নয়। ভেতরে থাকা যায় না (এতটা সময়)। আমার কাছে এটা পুরো নতুন অভিজ্ঞতা। নিরাপত্তার কারণে ম্যাচ স্থগিত হতে পারে। কিন্তু আপনাকে যখন সাত-আটবার খেলা থামাতে হয়, তখন বলতে হবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য সঠিক জায়গা নয় এটা। একটা বিশ্বকাপে কতবার ম্যাচ স্থগিত হয়েছে? সম্ভবত একবারও নয়। ইউরোপে কতবার? একবারও নয়। আমরা এখানে দুই সপ্তাহের মধ্যে ছয়-সাতবার দেখলাম।’’
কোয়ার্টার ফাইনালে চেলসির প্রতিপক্ষ ব্রাজিলের পালমেইরাস। অপর ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোতাফোগোকে ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা। সেই ম্যাচটাও গড়িয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলশূন্য ড্র’র পর ১০০তম মিনিটে পালমেইরাসকে এগিয়ে দেন পাউলিনিয়ো। ১১৬তম মিনিটে গুস্তভো গোমেজ লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় তারা। তবে সুযোগটা নিতে পারেনি বোতাফোগো।
বেনফিকাকে ৪-১ গোলে হারানো ম্যাচে চেলসির হয়ে গোল করেছেন রিস জেমস, ক্রিস্তোফার এনকুকু, পেদ্রো নেতো ও কিয়ারনান ডেওসবারি-হল। বেনফিকার হয়ে এক গোল আনহেল দি মারিয়ার, যিনি খেললেন বিদায়ী ম্যাচ।
যুক্তরাষ্ট্রের শার্লটের ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে ৮৬ মিনিটে ঝড় ও বজ্রপাতের শঙ্কায় খেলা বন্ধ করেন রেফারি স্লাভকো ভিনিচ। ৬৪ মিনিটে করা রিস জেমসের গোলে তখন ১-০ ব্যবধানে এগিয়েছিল চেলসি।
দুই দলের খেলোয়াড়রা মাঠে ফেরেন ২ ঘণ্টা পর। ৯২তম মিনিটে বেনফিকার জিয়ানলুকা প্রেসতিয়ান্নি লাল কার্ড দেখলেও ১০ জন নিয়ে সমতা ফেরায় তারা। ইনজুরি টাইমের পঞ্চম পেনাল্টি থেকে গোল করেন দি মারিয়া। ১-১ সমতা থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তখন আর ১০ জন নিয়ে পেরে উঠেনি বেনফিকা।
১০৮ মিনিটে এনকুকু, ১১৪ মিনিতে নেতো আর ১১৭ মিনিটে ডেওসবারি-হলের গোলে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে চেলসি।