Beta
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫

জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা মঙ্গলবার বিকাল ৫টায়

govt logo
[publishpress_authors_box]

জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বাসস জানিয়েছে, আগামী ৫ আগস্ট বিকাল ৫টায় জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। তথ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।

জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা উপলক্ষে ৫ আগস্ট মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে সরকার।

এ বিষয়ে রবিবার প্রধান উপদেষ্টার ফেইসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, “ছত্রিশ জুলাই- গত বছর এই দিনে পৃথিবী দেখেছিলো এক অভাবনীয় গণ-অভ্যুত্থান। যার ফলে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলো ফ‍্যাসিস্ট। বহু শহীদের রক্ত এবং যোদ্ধাদের ত্যাগের পথ ধরে পুরো বাংলাদেশ এক হয়েছিলো। পথে পথে ছিলো উল্লাসমুখর জনতার জোয়ার। বাংলাদেশের বহু রাস্তায় আবেগাপ্লুত মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছিলেন।”

এরপর পোস্টে লেখা হয়েছে, “এক বছর পর আবার ফিরে এসেছে ছত্রিশ জুলাই। এই দিনে ঘোষিত হতে যাচ্ছে জাতির আকাঙ্ক্ষিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। এই উপলক্ষে সারাদিন ব্যাপী আয়োজন থাকছে মানিক মিয়া এভিনিউ জুড়ে। আসুন আমরা সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে যোগ দেই ‘ছত্রিশ জুলাই’ উদযাপনে। আমাদের ইতিহাস, আমাদের গৌরব।”

কোনও ঘোষণাপত্র ছাড়াই অভ্যুত্থান ঘটে যাওয়ার পর তার স্থায়ী স্বীকৃতির জন্য জুলাই সনদ প্রণয়নের ঘোষণা দেয় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আকস্মিক এক সংবাদ সম্মেলনে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ উপস্থাপনে ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে সমাবেশ ডাকে। তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিক্রিয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারাই জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি করবে। তখন পিছু হটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিনের প্রতিবেদন জমা পড়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে। এসব প্রতিবেদনের সুপারিশের বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই এর প্রধান হন, সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় আলী রীয়াজকে।

একটি জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক ও মতবিনিময় করে ঐকমত্য কমিশন। অতপর অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি সামনে রেখে সম্প্রতি জুলাই ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়া বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, অভ্যুত্থানকারীদের গড়া দল এনসিপিসিহ বিভিন্ন দলকে পাঠায় অন্তর্বর্তী সরকার।

বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনা করলেও অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে এই ঘোষনাপত্র তৈরি করে সরকার। ফলে এতে কী থাকছে, তা এখনো গোপন রয়ে গেছে।

জুলাই ঘোষণাপত্রের আইনগত ভিত্তি কি হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলোর কাছ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়ার বিস্তারিত জানতে পেরেছে বিবিসি বাংলা।

ঘোষণাপত্রে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বিএনপি, জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলোর সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। একই সাথে কোন প্রেক্ষাপটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছে, সেটিরও উল্লেখ থাকছে ২৬ থেকে ২৭ দফার এই ঘোষণাপত্রে।

যদিও ২০২৫ সালের ৫ অগাস্ট ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে, তবে এই জুলাই ঘোষণাপত্র কার্যকরের কথা বলা আছে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট থেকে।

জুলাই ঘোষণাপত্র বাংলাদেশের সংবিধানে যুক্ত করা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনও মতবিরোধ চলছে। এ নিয়ে কিছুটা পরস্পরবিরোধী অবস্থানে রয়েছে বিএনপি ও এনসিপি।

শনিবার ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, এই ঘোষণাপত্র শুধু একটা পলিটিকাল ডকুমেন্ট নয়। এটার যথাযথ সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত