সময়টা এখন শুবমান গিলের। তার নেতৃত্বে ইংল্যান্ডে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-২’এ ড্র করেছে ভারত। ব্যাট হাতে চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন শুবমান গিল। এমন সাফল্যে দাবি উঠেছে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে রোহিত শর্মার জায়গায় ভারতের অধিনায়ক করা হোক গিলকে। শুধু তাই নয়, রোহিতের পাশাপাশি বিরাট কোহলির ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলা নিয়েও তৈরি হয় শঙ্কা।
সেই শঙ্কাটা আরও তীব্র হল ভারতীয় ‘দৈনিক জাগরণে’র একটি প্রতিবেদনের পর। দৈনিকটি লিখেছে দুই বছর পরের বিশ্বকাপ নয়, দুই মাস পর অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজের পরই অবসর নিতে পারেন রোহিত-কোহলি।
ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা দৈনিক জাগরণকে জানিয়েছেন, “বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা আমাদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় নেই। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরেই ক্যারিয়ারে ইতি টানতে হতে পারে দুই তারকাকে।”
ইংল্যান্ড সফরের আগে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। এর মাস ছয় আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট থেকেও অবসর নিয়েছিলেন দুজন। তারা সেভাবে ঘরোয়া ক্রিকেটেও সক্রিয় নন। তাই বয়স বিবেচনায় দুজনের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বোর্ডের ভেতর।
নির্বাচকরা মনে করছেন, বছরে মাত্র কয়েকটা ওয়ানডে খেলে কোনও ভাবেই রোহিতরা নিজেদের ম্যাচ ফিট রাখতে পারবেন না। তাই এখন থেকেই তরুণদের নিয়ে পরিকল্পনা করা ভালো।
অক্টোবর মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজ খেলতে যাবে ভারত। সেখানে রোহিত, কোহলির খেলার কথা। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সেই সিরিজ শেষে ওয়ানডে থেকেও অবসর নিতে পারেন দুই ক্রিকেটার।
দৈনিক জাগরণের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বোর্ড কোহলি ও রোহিতকে বিজয় হজারে ট্রফি খেলার নির্দেশ দেবে। ডিসেম্বর থেকে শুরু সেই টুর্নামেন্ট। ঘরোয়া এই ৫০ ওভারের প্রতিযোগিতা খেললেই ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপের দলে দুজনের থাকার সম্ভাবনা থাকবে। বাস্তবতা হচ্ছে রোহিত ও কোহলির বিজয় হজারেতে খেলার সম্ভাবনা খুব কম। তাই দুজনের ওয়ানডের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে।
এ নিয়ে ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক ও বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী পিটিআইকে বললেন, ‘‘আমার এ নিয়ে কিছু জানা নেই। তাই মন্তব্য করা উচিত হবে না। তবে যারাই ভালো খেলবে তাদের নেওয়া উচিত। যদি ওরা দুজন ভালো খেলে তাহলে অবশ্যই দলে রাখা উচিত। আর কোহলির ওয়ানডে পারফরম্যান্স তো অসাধারণ, রোহিতেরও। সাদা বলে দুজন এক কথায় অসাধারণ।’’