৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছিলেন রিজান হাসান। সেই হতাশাটা তার মিলিয়ে যাওয়ার কথা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩ রানে হারিয়ে জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় সিরিজের চ্যাম্পিয়ন হয়ে।
আজ (রবিবার) হারারেতে শুরুতে ব্যাট করে রিজানের ৯৫ রানে ভর করে বাংলাদেশের যুবারা পান ৫ উইকেটে ২৬৯ রানের পুঁজি। জবাবে প্রোটিয়ারা অলআউট হয় ২৩৬ রানে। ব্যাট হাতে ৯৫ রানের পর বোলিংয়ে ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নায়ক রিজানই।
বড় মঞ্চে বরাবরই স্নায়ুর চাপে ভোগায় ‘চোকার্স’ ডাকা হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। বাংলাদেশের ২৬৯ রান তাড়ায় ২ উইকেটে ১১১ করে ফেললেও এর পর পথ হারিয়ে বসে তারা। রিজান ৮.৪ ওভারে ৩৪ রানে নেন ৫ উইকেট। আল ফাহাদও নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। প্রোটিয়াদের হয়ে আদনান ল্যাগাদিয়ান ৪০ ও জেসন রোলস করেন ৩৫ রান।

যুব দলের ব্যাটিং লাইনে বরাবরই জাওয়াদ আবরার ও আজিজুল হাকিম তামিমের ওপর ভরসা করা হয়। এ টুর্নামেন্টে অধিনায়ক তামিম তেমন সুবিধা করতে পারেননি। জাওয়াদ আবরারও নিয়মিত পারফরম করতে ব্যর্থ।
ফাইনালেও তারা ভালো করতে পারেননি। আবরার ৪২ বলে ২১ রান করে থেমেছেন। ওদিকে তামিম ২৮ বলে খেলে মাত্র ৭ রান করে আউট হন। ৬৫ রানের মধ্যে অপর ওপেনার রিফাত বেগকেও (১৬) হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ।
ওই অবস্থা থেকে দলকে নিরাপদে নিয়ে আসেন কালাম সিদ্দিকি ও রিজান হোসেন। দুজনের ১১৭ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় বাংলাদেশ। কালাম ৭৫ বলে ৬ চারে ৬৫ রান করে আউট হন। তবে রিজান নিজের ইনিংসটি আরও টেনে ৯৬ বলে ১০ চারে ৯৫ রান করে রান আউট হন।
মাত্র ৫ রানের জন্য ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি মিস করেছেন এই ব্যাটার। ৪৭.৩ ওভারে রান আউট না হলে অনায়াসে তার সেঞ্চুরিটি পূর্ণ হতো। শেষের দুই ওভারে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ২৯ বলে করেছেন অপরাজিত ৩৮ রান আর সামিউন বশির ৮ বলে ১৩ রান করেছেন।