প্রথমবার নারী এশিয়ান কাপে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। তাদের পথ অনুসরণ করে প্রথমবার নারী এশিয়ান কাপের টিকিট পেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দলও। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে আজ ৬-১ গোলে হেরে পিটার বাটলারের দলের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে পারত। তবে অঙ্কের খেলায় জিতে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে গেলেন আফাঈদা-সাগরিকারা।
এশিয়ার ৩৩টি দল নিয়ে বাছাইপর্ব চলছে আটটি গ্রুপে ভাগ হয়ে। প্রতি গ্রুপের সেরা দল আর সেরা তিন রানার্সআপ জায়গা করে নেবে আগামী বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মূল আসরে। বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের টিকিট পেয়েছে সেরা তিন রানার্সআপের একটি হয়েই।
গ্রুপ ‘ই’তে আজ লেবাননকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে চীন। তাতেই কপাল খুলেছে বাংলাদেশের। চীনের এই জয়ে নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের সেরা তিনে থাকা। ৩ ম্যাচ শেষে বাংলাদেরে পয়েন্ট ৬ আর গোল ব্যবধান +৫। চীনের কাছে হারায় লেবাননের পয়েন্ট ৬-এ আটকে থাকল। আর তাদের গোল ব্যবধান -৬।
তাতে সেরা তিন রানার্সআপ হিসেবে মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। অন্য গ্রুপের ফল যাই হোক আট রানার্সআপের পাঁচটিই থাকবে বাংলাদেশের নিচে।
১৯৮০ সালে প্রথমবার এশিয়ান কাপে খেলেছিল বাংলাদেশের পুরুষদের জাতীয় ফুটবল দল। এরপর ২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপে খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০১৭ ও ২০১৯ আসরেও খেলেছিলেন তারা। এ বছরের জুলাইয়ে জাতীয় নারী ফুটবল দল প্রথমবার জায়গা করে নেয় এশিয়ান কাপে।
ঋতুপর্ণা-তহুরাদের পথ ধরে এবার সাগরিকারাও প্রথমবার জায়গা পেল এশিয়ান কাপের অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে। এশিয়ান কাপে জায়গা পাওয়া দলের ৯ জনই ছিলেন অনূর্ধ্ব-২০ দলে। আর দুই দলের অধিনায়কই আফাঈদা খন্দকার। তার জন্য আজকের দিনটা বিশেষ কিছু।
আগামী ১ থেকে ১৮ এপ্রিল থাইল্যান্ডে হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ। এশিয়ান কাপে ভালো করলে মিলবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী বিশ্বকাপের টিকিটও। ১২ দলের এশিয়ান কাপে সেমিফাইনালে যাওয়া চার দল পাবে বিশ্বকাপ খেলার টিকিট। আফাঈদা-সাগরিকারা পারবেন তো?