Beta
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫

আরও ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক

মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন।
মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন।
[publishpress_authors_box]

দাম ধরে রাখতে নিলামে ডলার কেনা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার আরও ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার কেনা হয়েছে।

গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার কিনেছিল ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে গত এক মাসে পাঁচ দফায় ৬২ কোটি ২০ লাখ ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বাড়ায় ডলারের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বাজার ‘স্থিতিশীল রাখতে’ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ডলার কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান।

সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “বাজার স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামের মাধ্যমে ডলার কিনছে। রবিবার পঞ্চম দফায় কেনা হয় ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার। প্রতি ডলারের দাম পড়ে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত।”

এর আগে চার ধাপে বিভিন্ন দামে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে প্রায় ৫৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গত ১৩ জুলাই প্রথম দফায় ১৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

১৫ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে তারা কেনে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। তৃতীয় দফায় ২৩ জুলাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১ কোটি ডলার কেনে ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) চতুর্থ দফায় কেনা হয় চার কোটি ৫০ লাখ ডলার। প্রতি ডলারের দাম পড়ে ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা।

রিজার্ভ আরও বেড়েছে

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কেনায় বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ আরও বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দিন শেষে বিপিএম-৬ হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার। গ্রস হিসাবে ছিল ৩০ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার।

ব্যাংকারা বলছেন, রেমিটেন্স ও রপ্তানির প্রবাহ বাড়ার পাশাপাশি নিলামে ডলার কেনার বিষয়টিও রিজার্ভ বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।

ডলার কেনার প্রভাব রিজার্ভে পড়ার তথ্য দিয়ে গত ৩১ জুলাই ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, আগামীতে প্রয়োজন পড়লে আরও ডলার কেনা হবে।

চলতি বছর মে মাসে ডলার বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনার মাধ্যমে তা বাজারভিত্তিক করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছিলেন, আইএমএফের চাপে নয়, বরং বাজার বিবেচনায় নিয়ে তা বাজারভিত্তিক করা হয়েছে।

তবে বাংলাদেশের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ঋণ ছাড়ের আগে আইএমএফের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশের পক্ষে আলোচনার মধ্যে ডলার দরকে বাজারভিত্তিক করে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল সংস্থাটি।

জুলাইতে ডলার দর হঠাৎ কমতে থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনা শুরু করে।

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার দর অস্থিতিশীল হতে দিবে না। দাম অনেক বেড়ে যাওয়া যেমন ভালো নয়, আবার দাম কমে যাওয়াও অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক।

সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে রিজার্ভের প্রধান দুই উৎস রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ের ঊর্ধ্বমুখী ধারা ধরে রাখতে ডলারের দরের পতন ঠেকাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে থাকা উদ্বৃত্ত ডলার কেনা হচ্ছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ খান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত