Beta
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫

ভোটে দাঁড়াবেন না ড. ইউনূস

yunus election.
[publishpress_authors_box]

বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার প্রধানের দায়িত্বভার নিলেও রাজনীতিতে না জড়ানোর কথা আবার বললেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে তিনি জানালে আগামী নির্বাচনে তার প্রার্থী হওয়ার কোনও সম্ভাবনাও নেই।

মালয়েশিয়া সফরে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। শুক্রবার এই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়, তিন দিনের সফর শেষে তার দুদিন আগে দেশে ফেরেন তিনি।

বাংলাদেশে ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর দল গঠন করে রাজনীতিতে নামার উদ্যোগ নিয়েছিলেন নোবেলজয়ী ড. ইউনূস। তবে পরে তিনি বলেছিলেন, রাজনীতি তার জন্য নয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্দোলনকারী ছাত্রনেতাদের চাপে প্রধান উপদেষ্টার পদ নেন তিনি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ঘোষণাও তিনি দিয়েছেন।

তার সরকারের উপদেষ্টাদের একজন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সম্প্রতি নিজের িনর্বাচনী অভিরাষ সম্পর্কে বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, উপদেষ্টাদের কেউ কেউ আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন।

রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না- বারনামার প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, “আমি এমন একজন মানুষ যার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনও রকম সম্ভাবনাই নেই।”

বারনামার প্রধান সম্পাদকসহ তিনজন সাংবাদিকের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দেশকে পূনর্গঠনের তার ওপর অর্পিত দায়িত্বের কথাই বলেন ড. ইউনূস। তিনি জানান, এখন তার প্রধান কাজ সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

ড. ইউনূস বলেন, “আমরা একটা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি। আগস্টেই আমরা ১ বছর পার করলাম। এই সময়ে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি।”

অনেক অগ্রগতির একটি হিসাবে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন গঠন করার কথা বলেন তিনি। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন চলতি মাসের শেষের দিকে পাওয়া যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, তাতে করে আরও বেশি অন্তর্ভূক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে।

তিনি বলেন, “আমরা শেষ প্রান্তের দিকে চলে এসেছি। আশা করছি, এ মাসের শেষ নাগাদ ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন পাব।”

সংবিধানসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে ঐকমত্যের ওপর জোর দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “কারণ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কিছু বিষয়ে ঐকমত্য প্রয়োজন। সংসদ এক কক্ষ, না কি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হবে, তা নিয়েই অনেক বিতর্ক আছে।”

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের বৈঠক সরাসরি সম্প্রচারকে এক্ষেত্রে স্বচ্ছতার নজির হিসাবে দেখান প্রধান উপদেষ্টা।  

বাংলাদেশ এখন সঠিক পথে চলছে দাবি করে তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত।”

শেখ হাসিনার আমলের তিনটি নির্বাচনে জালিয়াতি, ভোটারদের অবমূল্যায়নের অভিযোগ পেরিয়ে অনেক বছর পরে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আশা দিচ্ছেন ড. ইউনূস।

তিনি বলেন, “অনেক বছর পর জনগণ একটা নির্বাচন পাবে। এর আগের অনেকগুলো নির্বাচন ছিল জাল। কেউ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। ভোটকেন্দ্রে কী হচ্ছে, সেটাও জনগণ জানত না।”

অভ্যুত্থানের পর পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। তার অংশ হিসাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদের খসড়া সম্পূরক তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার শাসনামলে যারা অস্বীকৃতি ও বঞ্চনার শিকার হয়ে দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেনি সেই লাখ লাখ ভোটারের জন্য আগামী নির্বাচন খুব তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলেও মন্তব্য করেন ড. ইউনূস।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত