গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং জিম্মি থাকা ইসরায়েলিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে তার নতুন ২০ দফা পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি অর্জনের ‘খুব কাছাকাছি’ আছেন তারা।
সোমবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “শেষ পর্যন্ত, আমরা খুব, খুব কাছাকাছি।”
তিনি গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং জিম্মি থাকা ইসরায়েলিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে তার নতুন ২০ দফা পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বিধ্বস্ত গাজায় মানবিক সঙ্কট চরম হওয়ার মধ্যে ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
নেতানিয়াহুকে ট্রাম্পের ধন্যবাদ
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই ট্রাম্প বলেন, “আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। এটি একটি বড়, খুবই সুন্দর দিন, সম্ভবত সভ্যতার ইতিহাসে অন্যতম সেরা দিন।”
নিজের পরিকল্পনার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমি শুধু গাজার কথা বলছি না। গাজা তো আছেই, কিন্তু আমরা গাজার চেয়ে আরও অনেক বড় কিছু নিয়ে কথা বলছি। সম্পূর্ণ চুক্তি, সবকিছুর সমাধান হচ্ছে। একে মধ্যপ্রাচ্যে অনন্ত শান্তি বলতে পারেন।”
নেতানিয়াহুর সঙ্গে বাণিজ্য, ইরান, আব্রাহাম চুক্তি এবং গাজার যুদ্ধ শেষ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে আলোচনা করেছেন জানিয়ে ট্রাম্প তার পরিকল্পনায় সম্মত হওয়ায় নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ জানান তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও ইউরোপের দেশগুলোকে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা
ট্রাম্প গাজা যুদ্ধ অবসানের জন্য তার পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করে বলেন যে বহু দেশ এতে অবদান রেখেছে।
তিনি বলেন, “এই অঞ্চলে আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনার পর আমি আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তির জন্য আমাদের নীতিগুলো প্রকাশ করছি। আমি অবশ্যই বলব, মানুষ সত্যিই পছন্দ করেছে।”
এরপর তিনি পরিকল্পনার কয়েকটি মূল বিষয় তুলে ধরেন।
ট্রাম্প বলেন, “এই পরিকল্পনার অধীনে আরব ও মুসলিম দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, গাজা সামরিকীকরণমুক্ত হবে এবং তা দ্রুত করতে হবে। হামাস ও অন্যান্য সব সন্ত্রাসী সংগঠনের সামরিক সক্ষমতা অবিলম্বে নির্মূল করতে হবে।”
গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসও তা চায়, এমন কথা শুনেছেন জানিয়ে ট্রাম্প হামাসের সক্ষমতা ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত বলেন।
” সমস্ত সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করা হবে, যার মধ্যে টানেল, অস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির কারখানা অন্তর্ভুক্ত। অনেক কারখানা আমরা ধ্বংস করছি।”
গাজা শাসনে নতুন একটি অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ গঠনের কথা বলেছেন ট্রাম্প তার পরিকল্পনায়, এই কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে পুলিশ বাহিনী।
এই বিষয়ে হামাসকে রাজি করাতে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন ট্রাম্প। কারণ তিনি মনে করেন, দুই পক্ষের মধ্যে একটি বোঝাপড়া রয়েছে।
তদারক সংস্থা ট্রাম্পের নেতৃত্বে
ট্রাম্পের পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজা শাসনে এমন ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে, যাদের কোনও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই।
তবে এই টেকনোক্রেট নেতৃত্ব ফিলিস্তিনের জনগণ নির্বাচন করবে না। তা করবে একটি নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন তদারক করবে।
ট্রাম্প বলেন, “বোর্ড অফ পিস- নামে পরিচিত হবে এই সংস্থা। এর কাজ হবে চুক্তির সাফল্য নিশ্চিত করা এবং মূল আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নেতাদের একত্রিত করা।”
এই সংস্থার প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিজেকে মনোনীত করে ট্রাম্প বলেন, “এর নেতৃত্বে থাকবেন একজন ভদ্রলোক, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প নামে পরিচিত।
“আমি এটাই চাই, আরও কিছু অতিরিক্ত কাজ করার জন্য। তবে এটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে আমি তা করতে প্রস্তুত।”
এই সংস্থায় আর কারা কারা থাকবেন, তার ধারণা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “বোর্ডে থাকতে চান, এমন ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হলেন যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। তিনি একজন ভালো মানুষ, খুব ভালো মানুষ। এবং আরও কয়েকজন থাকবেন।”
বোর্ডে হামাসের কেউ থাকবে না এবং কোনও সন্ত্রাসী সংগঠনের কোনও ভূমিকা থাকবে না বলে জানান তিনি।
গাজার নিরাপত্তা
ট্রাম্পের পরিকল্পনায় একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীর (আইএসএফ) কথা বলা হয়েছে, যা হামাসকে অস্ত্রমুক্ত করার পর গাজার নিরাপত্তা তদারকি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং এর আরব ও অন্যান্য অংশীদাররা গঠন করবে।
পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, “এই বাহিনী দীর্ঘমেয়াদী অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সমাধান হবে। আইএসএফ নতুন প্রশিক্ষিত ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি ইসরায়েল ও মিশরকে সীমান্ত এলাকা সুরক্ষিত করতে সাহায্য করবে।”
কিন্তু নেতানিয়াহু সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে ইঙ্গিত দেন যে ইসরায়েলের অন্য পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ইসরায়েল গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব ধরে রাখবে।
“গাজায় এমন একটি শান্তিপূর্ণ বেসামরিক প্রশাসন থাকবে, যা হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত হবে না, বরং ইসরায়েলের সাথে প্রকৃত শান্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধদের দ্বারা পরিচালিত হবে।”
বল হামাসের কোর্টে
নতুনপরিকল্পনাহাজির করে ট্রাম্প বলেন, “এখন সময় এসেছে হামাসের জন্য আমাদের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার শর্তাবলী গ্রহণ করার।”
গত তিন বছরে মূল নেতাদের অধিকাংশের পাশাপাশি ২০ হাজারের বেশি যোদ্ধার মৃত্যুতে হামাস তার সক্ষমতার অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে বলে মনে করেন ট্রাম্প।
আল জাজিরার সাংবাদিক মারওয়ান বিশারার মতে, ট্রাম্পের পরিকল্পনা মেনে নেওয়া হামাসের জন্য এক প্রকার আত্মসমর্পণই হবে।
তিনি বলেন, “আমি চাইলেও এটিকে ভিন্নভাবে দেখতে পারছি না। ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে হামাস আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত সতর্কতা হিসাবেই দেখবে, অন্যথায় যুক্তরাষ্ট্র তার বন্ধু ইসরায়েলকে সমর্থন করবে।”
বিশারা ব্যাখ্যা করেন, “এখন তাদের হয়তো বোঝানো যেতে পারে যে আত্মসমর্পণ করা তাদের জন্য ভালো হবে, তিন বছরের গণহত্যা এবং অবিরাম বোমাবর্ষণের পরে রক্তপাত বন্ধ হবে।
“কিন্তু যখন পুরো বিষয়টি এই ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় যে গাজায় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক আছে, গাজায় সন্ত্রাসী আছে, এবং এই চুক্তি নিশ্চিত করবে যে তারা নিরস্ত্র হবে এবং যে অঞ্চল তারা একসময় দখলের অধীনে শাসন করত, তা নিরস্ত্র হবে, তখন এটি আত্মসমর্পণের চেয়ে কম কিছু নয়।”
হামাসে এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করলে কী হবে, তাও জানিয়েছেন ট্রাম্প।
পাশে থাকা নেতানিয়াহুর দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, “যদি হামাস এই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে, যা সব সময়ই সম্ভব… যেমনটা আপনি জানেন, যা করতে হবে, তা করার জন্য আমাদের পূর্ণ সমর্থন আপনার প্রতি থাকবে।”
নিউ ইয়র্ক থেকে আল জাজিরার মাইক হান্না বলেন, “যদি হামাস এই ২০ দফা পরিকল্পনা গ্রহণ না করে, তবে এটি মূলত গাজায় ইসরায়েলি পদক্ষেপ আরও বাড়ানোর জন্য সবুজ সঙ্কেত।”
ফিলিস্তিনিদের প্রতি ট্রাম্পের বার্তা
পরিকল্পনাটি তুলে ধরার সময় ট্রাম্প বলেন, এর উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনিদের তাদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব নেওয়ার একটি সুযোগ দেওয়া।
তিনি বলেন, ” অনেক ফিলিস্তিনি আছেন, যারা শান্তিতে বসবাস করতে চান। আমি তাদের অনেককে দেখেছি, এবং তাদের সমর্থন আছে।”
ট্রাম্প বলেন, “আমি ফিলিস্তিনিদের তাদের ভাগ্যের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি, কারণ আমরা তাদের সেটাই দিচ্ছি। আমরা তাদের ভাগ্যের দায়িত্ব দিচ্ছি, [যাতে] তারা সন্ত্রাসবাদের সম্পূর্ণ নিন্দা করে এবং নিষিদ্ধ করে এবং একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে নিজেদের নিয়ে যায়। তারা যে জীবন যাপন করেছে, তা তারা চায় না। হামাসের কারণে তাদের এই কঠিন জীবন।”
গাজা থেকে তারেক আবু আজ্জুম আল জাজিরাকে বলেছেন, ট্রাম্পের এই পরিকল্পনার সাফল্য নিয়ে ফিলিস্তিনিরা সন্দিহান।
“অনেক ফিলিস্তিনি বিশ্বাস করে যে হামাসকে বেসামরিকীকরণ এবং অপসারণের প্রস্তাবগুলো প্রত্যাখ্যাত হতে পারে।”
আবু আজ্জুম বলেন, “তবুও মানুষ যেকোনো ধরনের শত্রুতা বন্ধ করার দিকে তাকিয়ে আছে, যা গাজা থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং শত্রুতা আর শুরু হবে না এমন গ্যারান্টি দিতে পারে।”
নেতানিয়াহুর সমর্থন
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, “গাজায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য আমি আপনার পরিকল্পনাকে সমর্থন করি, যা আমাদের যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জন করবে।
“এটি আমাদের সমস্ত বন্দিদের ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনবে, হামাসের সামরিক সক্ষমতা এবং এর রাজনৈতিক শাসনকে ভেঙে দেবে এবং নিশ্চিত করবে যে গাজা আর কখনও ইসরায়েলের জন্য হুমকি সৃষ্টি করবে না।”
জাতিসংঘ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক জেমস বেস এই প্রসঙ্গে বলেন, “নেতানিয়াহু এটাকে স্বাগত জানিয়েছেন, কিন্তু তিনি কি সত্যিই এতে বিশ্বাস করেন? তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ শেষ করতে বা ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছিলেন না।”
“আমি মনে করি এটি গাজার জনগণের জন্য স্বল্পমেয়াদী সুবিধা নিয়ে আসতে পারে, তবে এটি কীভাবে ঘটবে এবং পথে সম্ভাব্য বাধা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে।”
পরিকল্পনায় সম্মত হওয়ার পরে যে কাজগুলো হবে সে সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে নেতানিয়াহু একটি পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতির রূপরেখা দেন, যা প্রত্যাহার, বন্দি মুক্তি এবং একটি আন্তর্জাতিক তদারকি সংস্থার ভূমিকার সঙ্গে যুক্ত।
তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট, যদি হামাস আপনার পরিকল্পনায় সম্মত হয়, তবে প্রথম পদক্ষেপ হবে একটি সামান্য প্রত্যাহার, এরপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের সমস্ত বন্দিদের মুক্তি দেওয়া। পরবর্তী পদক্ষেপ হবে হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নিরস্ত্র করা এবং গাজাকে সামরিকীকরণমুক্ত করার দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
“যদি এই আন্তর্জাতিক সংস্থা সফল হয়, তবে আমরা স্থায়ীভাবে যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে ফেলব। ইসরায়েল নিরস্ত্রকরণ ও সামরিকীকরণমুক্তির পরিমাণের সাথে যুক্ত আরও প্রত্যাহার করবে, তবে অদূর ভবিষ্যতের জন্য নিরাপত্তা পরিধিতে থাকবে।”
নেতানিয়াহুর হুমকি
হামাস যদি এই পরিকল্পনা মেনে না নেয়, তাহলে কী হবে, তাও বলে রেখেছেন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট [ট্রাম্প], যদি হামাস আপনার পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে, অথবা যদি তারা এটিকে গ্রহণ করার ভান করে এবং তারপরে এটিকে প্রতিহত করার জন্য কার্যত সবকিছু করে, তবে ইসরায়েল একাই কাজটি শেষ করবে।
“এটি সহজ উপায়ে করা যেতে পারে, বা কঠিন উপায়ে করা যেতে পারে। তবে এটি করা হবেই। আমরা সহজ পথটি পছন্দ করি, তবে এটি করতেই হবে।”
ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের ফেলো ফিলিস বেনিস আল জাজিরাকে বলেন, এতে ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কোনও গ্যারান্টি নেই।
তার ভাষ্যে, “যদি কোনও সময়ে ইসরায়েল সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা তাদের বন্দিদের ফিরিয়ে নেওয়ার সাথে সাথেই যুদ্ধে ফিরে যেতে চায়, তবে তারা অজুহাত দেখাতে পারে- ‘আমরা প্রত্যাশিত সহযোগিতা পাচ্ছি না, তাই আমাদের আবার যুদ্ধে যেতে হবে’।”
তথ্যসূত্র : আল জাজিরা