Beta
শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫

তামিমসহ সরে দাঁড়ালেন যারা, বন্ধ চান ক্রিকেটের ফিক্সিং

4
[publishpress_authors_box]

গুঞ্জন ছিল আগের রাতেই। আজ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে সত্যি হল সেটাই। বিসিবির নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম ইকবালসহ বিএনপিপন্থি প্যানেলের আরও অনেকে। সেই তালিকায় আছেন হেভিওয়েট অনেকেও।

মাহবুব আনাম পর্দার আড়ালে চলে যাওয়ার পর তামিমপন্থি প্যানেলের মূল কো-অর্ডিনেটরই হচ্ছেন বিসিবির সাবেক শীর্ষকর্তা আফজালুর রহমান সিনহার ছেলে ফাহিম সিনহা। সরে দাঁড়িয়েছেন তিনিও। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের ছেলে সাইদ ইবরাহিম, বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে ইসরাফিল খসরু, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ছেলে মির্জা ইয়াসির আব্বাসসহ আরও কয়েকজন।

নাম প্রত্যাহার করার পর গণমাধ্যমে নিজের ক্ষোভ জানিয়ে তামিম বলেন, ‘‘আপনারা বলেন ফিক্সিং বন্ধ করেন ক্রিকেটে। আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন, এরপর ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ কইরেন। এটা কোনো ইলেকশান ছিল না। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই ইলেকশন কালো দাগ হয়ে থাকবে। বিসিবি নির্বাচন ঘিরে যা ইচ্ছা তাই করা হচ্ছে। এটা সুন্দর প্রক্রিয়া হতে পারে না।’’ 

তামিম আরও যোগ করেন, ‘‘আমিসহ প্রায় ১৪ থেকে ১৫ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি। প্রত্যাহারের কারণটা খুবই স্পষ্ট। আমার কাছে মনে হয় না বিস্তারিতভাবে আপনাদের কিছু বলার দরকার আছে। নির্বাচন কোন দিকে যাচ্ছে, এই জিনিসটা এখন পরিষ্কার। যখন যেমন মনে হচ্ছে, যখন যা মনে হচ্ছে, তখন তা করা হচ্ছে। এটা আসলেই নির্বাচন নয়, ক্রিকেটের সঙ্গে এই জিনিসটা কোনো দিক থেকেই মানায় না।’’

একটা সময় সমঝোতা হলেও ১৫ ক্লাবের ওপর হাইকোর্টের রিটের পর পরিস্থিতি ঘোলা হতে থাকে। তাতে করে তামিম ইকবাল নেতৃত্বাধীন বিএনপিপন্থিদের ১৫টি প্যানেল ভোট কমে যায়। ১২ জনের প্যানেল থেকে ৪ জন প্রার্থীও যায় কমে। এটাই মানতে পারেননি তারা। এজন্য সবমিলিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন ১৫জন।

সরে দাঁড়ানো  প্রার্থীরা হলেন রফিকুল ইসলাম বাবু (ইন্দিরা ক্রীড়াচক্র), মাসুদুজ্জামান (মোহামেডান), সাঈদ ইব্রাহীম আহমেদ (ফেয়ার ফাইটার্স), মির হেলাল (চট্টগাম জেলা), সৈয়দ বুরহান হোসেন পাপ্পু (তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি), ইসরাফিল খসরু (এক্সিউম ক্রিকেটার্স), সাব্বির আহমেদ রুবেল (প্রগতি সেবা সংঘ), তৌহিদ তারেক (পাবনা), অসিফ রাব্বানী (শাইনপুকুর), সিরাজ উদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর (ক্যাটাগরি-৩), ইয়াসির আব্বাস (আজাদ স্পোর্টিং), ফাহিম সিনহা (সুর্যতরুণ), সাইফুল ইসলাম সপু (গুপিবাগ ফ্রেন্ডস) ও ওমর শরীফ মোহাম্মদ ইমরান (বাংলাদেশ বয়েজ)।

নিয়ে তামিম বললেন, ‘‘যাঁরা নাম প্রত্যাহার করেছেন, তাঁরা সবাই হেভিওয়েট, তাঁদের ভোটব্যাংকও শক্তিশালী। এটা একটা প্রতিবাদ। দিন শেষে এই নোংরামির অংশ হয়ে আমরা থাকতে পারব না। বাংলাদেশ ক্রিকেট এটা ডিজার্ভ করে না। যাঁরা এভাবে নির্বাচন করতে চান, তাঁরা করতে পারেন। তবে আজ ক্রিকেট শতভাগ হেরে গেছে। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আপনারা বড় গলায় বলেন বাংলাদেশের ফিক্সিং বন্ধ করা লাগবে, আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করার চিন্তা করেন। এই নির্বাচন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্য একটা কালো দাগ হয়ে থাকল।’’

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত