এবারের বিসিবি নির্বাচনকে বলা হচ্ছে সরকার বনাম বিএনপির লড়াই। বিএনপি থেকে সভাপতির সমর্থন দেওয়া হয়েছে তামিম ইকবালকে। আর যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থন বুলবুলের দিকে আছে বলে গুঞ্জন ক্রীড়াঙ্গনে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আন্তঃস্কুল জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে আসিফ মাহমুদ কাউকে এগিয়ে রাখেননি। তবে যিনিই জিতবেন তাকে স্বাগত জানানোর কথা বললেন তিনি, ‘‘আগের নির্বাচনে কি হতো একজন সভাপতি হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন তার জন্যই সকল আয়োজন হতো। এবার তো সে রকম না। এবার সত্যিকার অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। দুই জনেরই পাল্লা যথেষ্ট ভারী। প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে যিনি আসবেন তাকে মেনে নিতে কারো কোনো সমস্যা থাকা উচিত না। আমরা এই পরিবেশটা সামনেও চাই।’’
আসিফ আরও যোগ করেন, ‘‘কোনও প্রধানমন্ত্রী কিংবা প্রধান উপদেষ্টা, ক্রীড়া উপদেষ্টা ঠিক করে দেবে না- এ হবে, এর জন্য সব আয়োজন করা হবে, বাকিদের এলিমেনেট করা হবে। কাউকে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে ফোন করা হবে আইসেন না। এবার তো আপনারা এ রকম কিছু দেখেন নাই।’’
অ্যাডহক কমিটিতে সাবেক ক্রিকেটার ও সংগঠক থাকলেও অন্য ব্যক্তিরাও এসেছেন কাউন্সিলর হয়ে। এ নিয়ে উপদেষ্টা জানালেন,‘‘জেলা ক্রীড়া সংস্থা হইতে বলতে কি বোঝায় সেটা সবাই বুঝে। যদি আপনারা চান আমি পাপন ভাইয়ের মতো বোর্ড কিংবা মন্ত্রণালয় চালাই তাহলে হয়তো আমি বলতে পারতাম কোনো জেলা থেকে বিএনপির সভাপতি, কোনো জেলা এনসিপি সভাপতি আবার কোথায় জামায়াতের আমির আসুক। আমি তো ওভাবে এলাউ করতে পারব না। কিছু জেলা ক্রীড়া অফিসার, ডিসি এসেছে কাউন্সিলর। আমি খোঁজ নিয়েছি। যেটা জানলাম অনেক জেলা ক্রীড়া সংস্থায় মিটিং করেছে। সেখানে এমনও হয়েছে পাঁচজন সদস্য পাঁচজনই ক্যান্ডিডেট। পরবর্তীতে তারাই বলেছে ডিসি কিংবা ক্রীড়া অফিসারকে কাউন্সিলর হতে। এখানে কিন্তু তারা ডিসি বা ক্রীড়া অফিসার হিসেবে আসেনি। সেই জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি কিংবা সেক্রেটারি হিসেবে এসেছে।’’
নির্বাচন নিয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন কয়েকজন জাতীয় ক্রিকেটার। এ নিয়ে আসিফ মাহমুদ বললেন, ‘‘আপনি পৃথিবীর কোথাও দেখবেন না কোনো ক্রিকেটার, বর্তমানে খেলতে থাকা ক্রিকেটার বোর্ড ইলেকশন নিয়ে কথা বলছে। যেটা তার যে কন্ট্রাক্ট, সেখানকার সম্পূর্ণ ভায়োলেশন। এই যে ক্রিকেটারদেরকে দিয়ে দলাদলি করানো, এটা আমরা ভক্ত হিসেবে দেখেছি দুই বছর আগে, পাঁচ বছর আগে, এখনও এটা হচ্ছে, এটা খুব দুঃখজনক এবং যারা এগুলো করাচ্ছেন, তাদের আসলে শেইম ফিল করা উচিত যে আপনি একজন ক্রিকেটারকে এনে দলাদলি করাচ্ছেন। মানে এটা খুবই আমাদের জন্য দুঃখজনক।’’