থানাপাড়া গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা শুনতে কি পাই
থানাপাড়া গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শীরা একাত্তরের হানাদার পাকিস্তানি সেনাদের আন্তর্জাতিক বিচারের দাবির কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন কিন্তু এখনও সরকারিভাবে স্বীকৃতি পায়নি থানাপাড়ার শহীদ পরিবারগুলো।
থানাপাড়া গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শীরা একাত্তরের হানাদার পাকিস্তানি সেনাদের আন্তর্জাতিক বিচারের দাবির কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন কিন্তু এখনও সরকারিভাবে স্বীকৃতি পায়নি থানাপাড়ার শহীদ পরিবারগুলো।
হর্ন বাজিয়ে শব্দ দূষণ করা কিন্তু সেনানিবাস এলাকায় ঘটছে না। কেননা সেখানে আইনের মুখোমুখি হওয়ার ভয় থাকে। তাহলে সেনানিবাসের বাইরে হর্ন বাজানো নিয়ে আইনের কি কোনও প্রয়োগ নেই?
কাজের জন্য যখন যে গ্রামে যাচ্ছেন, সেখানেই গাছে পাত্র বেঁধে দিচ্ছেন। গত এক সপ্তাহে রামনগর, কালুহাটি, ডেফলবাড়ি, চণ্ডীপুর গ্রামসহ ঝিনাইদহ শহরেও প্রায় ৮০টি গাছে পাখির জন্য পানির পাত্র বেঁধেছেন তিনি।
একাত্তরের শহীদদের কোনো তালিকা নেই রাষ্ট্রের কাছে। ফলে শহীদ পরিবারেরও কোনো গুরুত্বও নেই এদেশে। তাদের কথা শোনারও কোনো লোক নেই বলে মনে করেন এই শহীদকন্যা।
মাটির ওপরে তক্তা বিছিয়ে স্টেইজ এবং কাপড়, দড়ি, বাঁশ, দেবদারুর পাতা দিয়ে সাজানো হয় অনুষ্ঠানস্থল। দুটি বাঁশ পুঁতে দেবদারুর পাতায় তৈরি করা হয় গেট। চেয়ার, মাইক আর টেবিল আসে ভারত থেকে। শেষরাতের দিকে ইপিআর ক্যাম্প থেকে আনা হয় চৌকি।
মূলত ত্রিপুরাদের ‘বৈসুক’ উৎসব থেকে ‘বৈ’, মারমাদের ‘সাংগ্রাইং’ থেকে ‘সা’, আর চাকমাদের ‘বিজু’ উৎসব থেকে ‘বি’ এভাবে তিনটি নামের আদ্যক্ষর এক করে হয়েছে ‘বৈ-সা-বি’। এটি আলাদা কোনও উৎসবের নাম নয়।
একাত্তরের রক্তাক্ত দিনটির কথা এখন জীবন্ত হয়ে আছে প্রফেসর ড. জিন্নাতুল আলমের স্মৃতিতে। ভয়টা এখনও কাটেনি তার। স্বপ্নে পাকিস্তানি সেনাদের হত্যাযজ্ঞ এখনও দেখেন।
দলবেঁধে তারা ফুল হাতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের কাছে গিয়ে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে আপনার বা আপনার পরিবারের অবদান অনেক। সে কারণে জাতি আপনার বা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
যুদ্ধে যাওয়ার কথা শুনে মা আসিয়া বেগম রাজি হন না, বাঁধা দেন তিনি। কিন্তু সাহস দিতে এগিয়ে আসেন শাহজাহানের বাবা। বলেন, ‘‘ওরা না গেলে দেশ স্বাধীন করবে কারা? দুলুকেও (ছোটভাই শামসুল কবির দুলু) সঙ্গে নিয়া যা।’’
বিলুপ্তপ্রায় ভাষা রক্ষায় গুরুত্বারোপ করেছে ইউনেস্কো। এজন্য ২০১৯ সালকে ‘আন্তর্জাতিক আদিবাসী মাতৃভাষাবর্ষ’ ঘোষণার পর ‘২০২২-২০৩২’ সালকে ‘আন্তর্জাতিক আদিবাসী মাতৃভাষা দশক’ হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো।
থানাপাড়া গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শীরা একাত্তরের হানাদার পাকিস্তানি সেনাদের আন্তর্জাতিক বিচারের দাবির কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন কিন্তু এখনও সরকারিভাবে স্বীকৃতি পায়নি থানাপাড়ার শহীদ পরিবারগুলো।
হর্ন বাজিয়ে শব্দ দূষণ করা কিন্তু সেনানিবাস এলাকায় ঘটছে না। কেননা সেখানে আইনের মুখোমুখি হওয়ার ভয় থাকে। তাহলে সেনানিবাসের বাইরে হর্ন বাজানো নিয়ে আইনের কি কোনও প্রয়োগ নেই?
কাজের জন্য যখন যে গ্রামে যাচ্ছেন, সেখানেই গাছে পাত্র বেঁধে দিচ্ছেন। গত এক সপ্তাহে রামনগর, কালুহাটি, ডেফলবাড়ি, চণ্ডীপুর গ্রামসহ ঝিনাইদহ শহরেও প্রায় ৮০টি গাছে পাখির জন্য পানির পাত্র বেঁধেছেন তিনি।
একাত্তরের শহীদদের কোনো তালিকা নেই রাষ্ট্রের কাছে। ফলে শহীদ পরিবারেরও কোনো গুরুত্বও নেই এদেশে। তাদের কথা শোনারও কোনো লোক নেই বলে মনে করেন এই শহীদকন্যা।
মাটির ওপরে তক্তা বিছিয়ে স্টেইজ এবং কাপড়, দড়ি, বাঁশ, দেবদারুর পাতা দিয়ে সাজানো হয় অনুষ্ঠানস্থল। দুটি বাঁশ পুঁতে দেবদারুর পাতায় তৈরি করা হয় গেট। চেয়ার, মাইক আর টেবিল আসে ভারত থেকে। শেষরাতের দিকে ইপিআর ক্যাম্প থেকে আনা হয় চৌকি।
মূলত ত্রিপুরাদের ‘বৈসুক’ উৎসব থেকে ‘বৈ’, মারমাদের ‘সাংগ্রাইং’ থেকে ‘সা’, আর চাকমাদের ‘বিজু’ উৎসব থেকে ‘বি’ এভাবে তিনটি নামের আদ্যক্ষর এক করে হয়েছে ‘বৈ-সা-বি’। এটি আলাদা কোনও উৎসবের নাম নয়।
একাত্তরের রক্তাক্ত দিনটির কথা এখন জীবন্ত হয়ে আছে প্রফেসর ড. জিন্নাতুল আলমের স্মৃতিতে। ভয়টা এখনও কাটেনি তার। স্বপ্নে পাকিস্তানি সেনাদের হত্যাযজ্ঞ এখনও দেখেন।
দলবেঁধে তারা ফুল হাতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের কাছে গিয়ে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে আপনার বা আপনার পরিবারের অবদান অনেক। সে কারণে জাতি আপনার বা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
যুদ্ধে যাওয়ার কথা শুনে মা আসিয়া বেগম রাজি হন না, বাঁধা দেন তিনি। কিন্তু সাহস দিতে এগিয়ে আসেন শাহজাহানের বাবা। বলেন, ‘‘ওরা না গেলে দেশ স্বাধীন করবে কারা? দুলুকেও (ছোটভাই শামসুল কবির দুলু) সঙ্গে নিয়া যা।’’
বিলুপ্তপ্রায় ভাষা রক্ষায় গুরুত্বারোপ করেছে ইউনেস্কো। এজন্য ২০১৯ সালকে ‘আন্তর্জাতিক আদিবাসী মাতৃভাষাবর্ষ’ ঘোষণার পর ‘২০২২-২০৩২’ সালকে ‘আন্তর্জাতিক আদিবাসী মাতৃভাষা দশক’ হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো।