আগের রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী পিএসজিকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল ব্রাজিলের ক্লাব বোতাফোগো। এবার ব্রাজিলের আরেক ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো হারাল দুইবারের চ্যাম্পিয়নস লীগ জয়ী চেলসিকে। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ব্রাজিলের ক্লাবটি জিতেছে ৩-১ গোলে। তাতে ২৫ বছর পর উয়েফার কোনো দলকে নন–ইউরোপিয়ান কোনো ক্লাব হারাল দুই বা বেশি গোলের ব্যবধানে । সর্বশেষ ২০০০ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩–১ গোলে হারিয়েছিল ভাস্কো দা গামা।
তাছাড়া ৩৩ বছর পর ইউরোপিয়ান কোনো দলের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও জয় পেল দক্ষিণ আমেরিকার কোনো ক্লাব। ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপে ১৯৯২ সালে এই কীর্তি গড়েছিল সাও পাওলো। সেবার বার্সেলোনার বিপক্ষে ফাইনালে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ২–১ গোলে জিতেছিল তারা।
ক্লাব বিশ্বকাপের অপর ম্যাচে অকল্যান্ড সিটিকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বেনফিকা। জোড়া গোল করেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি আনহেল দি মারিয়া, দুটিই পেনাল্টি থেকে। ক্লাব বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এখন যৌথভাবে সবার ওপরে আছেন দি মারিয়া। তার সমান তিনটি করে গোল করেছেন বায়ার্ন মিউনিখের জামাল মুসিয়ালা ও মাইকলে ওলিসে। ঝড়ের জন্য ম্যাচটা বিরতির পর বন্ধ ছিল প্রায় দুই ঘণ্টা। ঝড় শেষে গোলের ঝড় বইয়ে দেয় বেনফিকা!
আরেক ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখ ২-১ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনার বোকা জুনিয়র্সকে। বায়ার্নের হয়ে একটি করে গোল হ্যারি কেইন ও মিচেল ওলিসের। এই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে নকআউট নিশ্চিত হয়ে গেছে বায়ার্নের।
৬ গোলে জিতেও ৪ পয়েন্ট পাওয়া বেনফিকার নকআউট নিশ্চিত নয়। কারণ শেষ ম্যাচ তাদের খেলতে হবে বায়ার্নের বিপক্ষে। আর বোকা জুনিয়র্সের প্রতিপক্ষ অপেশাদারদের ক্লাব অকল্যান্ড সিটি। বেনফিকা যদি হেরে যায় তখন বড় জয়ে নকআউটে যাওয়ার সুযোগ থাকবে বোকা জুনিয়র্সের।
গ্রুপ ‘ডি’তে ফিলাডেলফিয়ায় ১৩তম মিনিটে পেদ্রো নেতোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল চেলসি। তবে বিরতির পর বদলে যায় ম্যাচের ছবিটা। ৬২ মিনিটে সমতা ফেরান ব্রুনো হেনরিক। এর ৩ মিনিট পর ফ্ল্যামেঙ্গোকে এগিয়ে নেন দানিলো।
৬৮ মিনিটে নিকোলাস জ্যাকসন বাজে ফাউল করে লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় চেলসি। একজন কম নিয়ে আর পেরে উঠেনি তারা। ৮৩ মিনিটে ওয়ালেস ইয়ানের গোলে ৩-১ ব্যবধানের জয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্ল্যামেঙ্গো।