অভিজ্ঞতার ভার অবশেষে কাজে এল বাংলাদেশের। নুরুল হাসান সোহানের দৃঢ়তায় হারানো পথ খুঁজে পেল সফরকারীরা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জিতল ৪ উইকেটে। আফগানদের ১৫২ রানের টার্গেট ১৪ বল হাতে রেখে জিতেছে বাংলাদেশ।
দুর্গম নয়, খুব সহজ পথ তৈরি করে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার। দুটি হাফসেঞ্চুরিতে শতরানের ওপেনিং জুটি আসে। তানজিদ হাসান করেন ৩৭ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৫১ অপরদিকে পারভেজ হোসেন ইমন ৩৭ বলে ৩টি ছক্কা ও ৪ চারে করেছেন ৫৪। দুজনের ব্যাটে খুব সহজ জয় দেখছিল বাংলাদেশ।
তবে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে মুহুর্তেই পথ হারায় বাংলাদেশ। মাত্র ৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে হার দেখছিল তারা। ওই অবস্থায় সোহান ১৩ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে অপরাজিত ২৩ রান করে ম্যাচ জয় নিশ্চিত করেন। যোগ্য সঙ্গ দেন ৯ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকা রিশাদ হোসেন ।
সিরিজের প্রথম ম্যাচের এ জয় শারজাতে বাংলাদেশেরও এই ফরম্যাটে প্রথম জয়ের দেখা। দিনের শুরুতে নারী দলের বিশ্বকাপে শুভসূচনার পর বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে জয় দিনটি বাংলাদেশ ক্রিকেটপেমীদের অন্যরকম আনন্দ দিয়েছে।
দেড়শ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ
বেশ কম রানেই আটকে দেওয়া যেতো আফগানিস্তানকে। কিন্তু মোহাম্মদ নবির অভিজ্ঞতার কাছে হতাশ হয়েছে বাংলাদেশ বোলাররা। নবির ঝড়ো ইনিংসে দলীয় সংগ্রহ দেড়শর ওপরে নিয়েছে আফগানরা। লোয়ার অর্ডারে ২৫ বলে ৪ ছক্কায় ৩৮ রান করেন মোহাম্মদ নবি। তার সঙ্গে আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের ১৮ ও শারাফুদ্দিন আশরাফের ১৭ রানে ১০০’র আগে ৬ উইকেট হারিয়েও লড়াকু সংগ্রহ পেয়ে যায় আফগানিস্তান।
১০০ রানের আগেই ৬ উইকেট নেই আফগানিস্তানের
শুরুটা ভালোই করেছিল আফগানিস্তান। তাসকিন আহমেদের করা প্রথম ওভারেই তিন বাউন্ডারি মেরেছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। এরপর শারজায় তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান বোলাররা। ১৫তম ওভারে ১০০ রান হওয়ার আগেই ৬ উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান। ১৫তম ওভারে তাদের স্কোর ৬ উইকেটে ৯৫।
রহমানুল্লাহ গুরবাজ করেন সবচেয়ে বেশি ৩১ বলে ৪০ রান। রিশাদ হোসেন ও তানজিম সাকিব নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
এশিয়া কাপের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান। একাদশে ফিরেছেন তানজিদ হাসান ও নাসুম আহমেদ।
বাংলাদেশ একাদশ : জাকের আলী (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, সাইফ হাসান, নুরুল হাসান, শামীম হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান।
আফগানিস্তান একাদশ: রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), সেদিকউল্লাহ অতল, ইব্রাহিম জাদরান, দারউইশ রাসুলি, মোহাম্মদ নবি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, শরফুদ্দিন আশরাফ, রশিদ খান (অধিনায়ক), নূর আহমদ, মোহাম্মদ ইসহাক, ফরিদ আহমদ মালিক।