Beta
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫

বলের দখল সমান, তবু কোথায় জিতল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের দুই গোলদাতা হামজা ও সোহেল রানা। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের দুই গোলদাতা হামজা ও সোহেল রানা। ছবি : সংগৃহীত
[publishpress_authors_box]

বিশেষজ্ঞরা বলেন পরিসংখ্যান একটা গাধা। বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচের পরিসংখ্যান দেখলে সেই কথা মনে হবে আরও একবার। আধুনিক ফুটবলে পজেশনের খুব বেশি গুরুত্ব নেই। ৩০-৩৫ শতাংশ পজেশন নিয়েও বড় জয়ের নজির আছে অনেক। বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচের পরিসংখ্যান বলছে, বল পজেশনে সমানে সমান ছিল দুই দল। অর্থাৎ বাংলাদেশের বলের দখল ছিল ৫০ শতাংশ, ভুটানেরও তাই।

সমতা ছিল আরও অনেক জায়গায়। ম্যাচে বাংলাদেশ ফ্রি কিক পেয়েছে ৭টা আর ভুটান ৮টা। ফাউল বাংলাদেশের ৮, ভুটানের ৭টা। কর্নার কিক বাংলাদেশ পেয়েছে ৫টা আর ভুটান ৩টা। অফসাইড দুই দলই হয়েছে সমান দুইবার। পরিচ্ছন্ন ম্যাচটিতে হলুদ কার্ড দেখেননি কেউ। এত সমতা নিয়েও ভুটান পিছিয়ে পড়ে আসল দুটি জায়গায়। একটা লক্ষ্যে শট নেওয়া, আরেকটা বাংলাদেশকে লক্ষ্যে শট নিতে দেওয়ায়।

ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন হামজা চৌধুরী।

পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশের জমাট রক্ষণের জন্য পোস্টে ৪টা শট নিলেও লক্ষ্যে একটাও রাখতে পারেনি ভুটান। সেখানে বাংলাদেশ পোস্টে শট নিয়েছে ১১টি, লক্ষ্যে ছিল ৬টি তাতে গোল এসেছে ২টি। এই দাপটের আসল কৃতিত্বটা হামজা চৌধুরীর। সেট পিস থেকে তার গোল করাটা পরিকল্পনার অংশ ছিল বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশি কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।

ষষ্ঠ মিনিটে গোল করার পাশাপাশি মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণও রেখেছিলেন হামজা। ম্যাচে আসলে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন হামজাই। সেটা স্বীকার করে নিলেন ভুটানের জাপানি কোচ আতসুশি নাকামুরা, ‘‘হামজাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। উঁচুমানের খেলোয়াড় ও। বল পায়ে কিংবা বল ছাড়া, দুই ভূমিকাতেই সে অনন্য। মাঠে তার উপস্থিতি অন্যরকম। তার মতো খেলোয়াড় সম্পদ যে কোনো দলের জন্য।’’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘গত বছর থিম্পুতে বাংলাদেশকে দেখেছি লম্বা বল খেলতে, কিন্তু এই বাংলাদেশ পাসিং, বিল্ডআপ ও মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণে অনেক উন্নতি করেছে। হামজা ছিল সেই পরিবর্তনের কেন্দ্রে।’’

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত