Beta
শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা অব্যাহত থাকবে

ছবি : প্রধান উপদেষ্টার ফেইসবুক
ছবি : প্রধান উপদেষ্টার ফেইসবুক
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিতীয় দফার বাণিজ্য আলোচনার তৃতীয় ও শেষ দিনে উভয় দেশ বেশ কয়েকটি বিষয়ে একমত হয়েছে।

তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে। দুই পক্ষই এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় আলোচনা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাসস জানিয়েছে, দুই দেশের প্রতিনিধিরা আবারও আলোচনায় বসবেন। সেটি ভার্চুয়ালি এবং সামনাসামনি উভয়ভাবেই হতে পারে। খুব শিগগিরই এ সংক্রান্ত সময় ও তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বাণিজ্য উপদেষ্টা, বাণিজ্য সচিব এবং অতিরিক্ত সচিব শনিবার ১২ জুলাই দেশে ফিরবেন। প্রয়োজনে তারা আবারও যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন।

তিন দিনের আলোচনার ভিত্তিতে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ইতিবাচক সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে গত ৯ জুলাই এই বাণিজ্য আলোচনা শুরু হয়। শুক্রবার দ্বিতীয় দফার আলোচনার মাধ্যমে এটি শেষ হয়েছে।

আলোচনায় বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া ভার্চুয়ালি আরও উপস্থিত ছিলেন সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।

তিন দিনের এই আলোচনার পুরো বিষয়টি সমন্বয় করেছে ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস।

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে ফেরার পর বিভিন্ন দেশের পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপের মাধ্যমে শুরু করে দেন বাণিজ্য যুদ্ধ। গত এপ্রিলে তার সেই ঘোষণায় বাংলাদেশের ওপরও ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আগে থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। তাতে শুল্ক ৫২ শতাংশে গিয়ে ওঠে। তবে তা কার্যকরের আগেই স্থগিত করেন ট্রাম্প, সময় দেন দেশগুলোকে শুল্ক হার নিয়ে আলোচনার জন্য। 

৯০ দিনের সেই সময় পেরুনোর ঠিক আগে গত ৭ জুলাই বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দেন ট্রাম্প। অর্থাৎ শুল্ক হার আগের চেয়ে ২ শতাংশ পয়েন্ট কমছে।

গত এপ্রিলে ট্রাম্প পাল্টা শুল্ক আরোপের পর ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তার সুরাহা করার কথা জানিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। ওয়াশিংটনে সেই সব বৈঠক চলার মধ্যেই ৩৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা আসে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত