আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবির নির্বাচন থেকে নাম প্রত্যাহারের সময় শেষ। তামিম ইকবালসহ ১৬জন শেষ দিন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন নিজেদের নাম। এবার সময় শেষের পর নাম প্রত্যাহার করে নিলেন আরও ২ প্রার্থী। তাদের একজন লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদল নাম প্রত্যাহার করেছেন গতরাতে।
আজ সকালে বিসিবি ভবনে এসে রাজশাহী বিভাগের প্রার্থী হাসিবুল আলম নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। সরাসরি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে এটাকে ‘প্রহসনের নির্বাচন’ বলেছেন হাসিবুল। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘‘যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে বিসিবি নির্বাচনের মান আরও খারাপ হবে। আগের নির্বাচনের চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি এখন চোখে পড়ছে। সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে না, বরং এটা প্রহসনের নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। তাই আমি মনে করছি এই প্রক্রিয়ায় ভালো কোনো ফল আসবে না। ফলে আমি স্বেচ্ছায় নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালাম। আর অংশগ্রহণ করব না।’’
লুৎফর রহমান বাদল অবশ্য কাঁদা না ছুড়ে গণমাধ্যমে বললেন, ‘‘আমি আসন্ন বিসিবি নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলাম। এখানে কারও দিকে আঙুল তুলছি না। তবে অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কখনো অনুকূলে থাকলে সবাইকে জানাবো, কেন এবং কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। কাঁদা ছোড়ার দিকে আমি যেতে চাই না। যারা এই নির্বাচনে জয়ী হয়ে পরিচালক হচ্ছেন, তাদের প্রতি শুভকামনা।’’

বাদল না বললেও রাজশাহী বিভাগের প্রার্থী হাসিবুল আলম আঙুল তুললেন বিসিবির দিকেই, ‘‘রাজশাহীতে কয়জন কাউন্সিলর ই-সিস্টেমে ভোট দেবেন, আমি তা জানতে এসেছিলাম। কিন্তু বোর্ড থেকে কোনো তথ্য পাইনি। তবে আমি জেনেছি, ক্যাটাগরি-১ এ মোট ৩৫ জন ভোট দেবেন। এর মধ্যে ১৯ জন দেবেন ই-ভোট। আর সরাসরি এসে ১৬ জন ভোট দেবেন।’’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘গত ২ অক্টোবর আমি নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি দিয়েছি। আমার ভোটারদের খুঁজে পাচ্ছি না, ভোট চাওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না। তাই আমি মনে করি মুখলেছুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা উচিত। তিনি যেভাবে ভোট করছেন, তা পুরোপুরি অবৈধ। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’
আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রত্যাহারের সুযোগ গত বুধবারই পেরিয়ে গেছে। ব্যালট পেপারে তাই লুৎফর রহমান বাদল ও হাসিবুলের নাম থাকবেই। তবে দুজনের অংশগ্রহণ আর থাকছে না।