Beta
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫
বুলবুল সভাপতি পদপ্রার্থী হলে ওই পদ চান না সৈয়দ আশরাফুল হক

বিসিবি সভাপতি নির্বাচন: কেউ প্রকাশ্যে কেউবা অপ্রকাশ্যে

bcb-vote-20250803173123
[publishpress_authors_box]

বিসিবির সভাপতি পদের দিকে তাকিয়ে অনেক লোভাতুর চোখ। বিসিবি নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ কেউ প্রকাশ্যে বলেছেন সভাপতি পদে নির্বাচনের কথা। অনেকে খেলছেন অপ্রকাশ্যে। দিন যত যাবে যোগ হবে নতুন খেলোয়াড় এবং লড়াইও স্পষ্ট হবে।

অক্টোবরে হবে বিসিবি নির্বাচন। ওখানেই বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের থামার কথা ছিল। তিনি অন্তত তাই বলেছিলেন দায়িত্ব নেওয়ার সময়। তবে কিছুদিন আগে এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি ইনিয়ে-বিনিয়ে এই পদে থাকার ইচ্ছার কথা বলেছেন এভাবে, “আমি বিসিবি নির্বাচন করতে চাই না। তবে এনএসসি থেকে মনোনীত হিসাবে আবারও সুযোগ পেলে সরকারের জন্য কাজ করতে চাই।”

এখন এনএসসির মনোনীত কাউন্সিলর হিসাবেই সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বুলবুল। তাছাড়া বুধবার জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে অক্টোবরই বিসিবিতে তার শেষ মাস কিনা তার স্পষ্ট কোনও জবাব দেননি। তাহলে পরিস্কার হয়ে গেল, নির্বাচনের পর সভাপতি পদ ছেড়ে দেওয়ার জায়গা থেকে তিনি ভবিষ্যতে সরেও যেতে পারেন।

বর্তমান সভাপতির অমন মনোভাব দেখে সাবেক বিসিবি সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল হকও দ্বিধায় পড়ে গেছেন। সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেছেন, “যদি বুলবুল সভাপতি পদপ্রার্থী হয় তাহলে আমি ওই পদের জন্য নির্বাচন করবো না। কারণ বুলবুল আমার ছোট ভাইয়ের মতো, ওকে আমি বালক বয়স থেকে চিনি। ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বড় ভাই নির্বাচন করবে, এটা হতে পারে না।” এর আগে আশরাফুল হকও সভাপতি পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

এছাড়া ক্রিকেট সংগঠক লুৎফর রহমান বাদল, রফিকুল ইসলাম বাবুসহ অনেকের নাম শোনা গিয়েছে সভাপতি পদের জন্য। সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে বিসিবির খুব প্রভাবশালী পরিচালক মাহবুব আনামের নামও। তবে দীর্ঘকাল ধরে ক্রিকেটের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হওয়া এই পরিচালক নির্বাচনের ব্যাপারে একদম মুখ খুলতে নারাজ।  

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান বাদল ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন ব্যবস্থার স্বচ্ছ্বতার দাবি তুলেছেন। তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেছেন, “উচিত হলো বর্তমান বোর্ডের অধীনে নির্বাচন না হওয়া। বর্তমান বোর্ডের অনেকেরই তো ক্লাব কর্তারা ভোটার হিসেবে আছে। তারা দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে।”

তবে সভাপতি পদের ব্যাপারে স্পষ্ট করে না বললেও এই সংগঠক চান আগে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হতে। এরপর সভাপতি পদ নিয়ে তিনি ভাবতে চান।

সৈয়দ আশরাফুল হকও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি তুলেছেন, “যদি নির্বাচন করার মতো নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরি হয় তাহলে আমি নির্বাচনে যাবো। আমি শুনেছি আগের মতো এখনও ক্লাবগুলো দু-তিনজনের হাতেই আছে। এরকম যদি হয় তাহলে কে দাঁড়ালো বা না দাঁড়ালো তাতে কি প্রভাব পড়বে?”

এদিকে ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্রের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বাবু নিজেকে সভাপতি পদের প্রার্থীতা থেকে সরিয়ে রাখছেন। পরিচালক পদে নিজের সন্তুষ্টিকে সীমায়িত করে তিনি সভাপতি পদের জন্য ব্যাটিং করে গেছেন বুলবুলের জন্য। সভাপতি পদে বুলবুল থাকলেও তিনি কোনও সমস্যা দেখছেন না।

এ প্রসঙ্গে তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেছেন, “সভাপতি হবেন পরিচালকদের ভোটে। এখন বর্তমান সরকার যেহেতু অক্টোবরের পরেও থাকছে তারা চাইলে আমিনুল ইসলামকে পরিচালক হিসেবে রাখতে পারে। তখন অন্য পরিচালকদের ভোটে তিনি সভাপতি হতে পারেন। এখন নির্বাচন করবেন কিনা সেটা তার ইচ্ছা।”

তবে এনএসসি কোটায় মনোনীত পরিচালক হয়ে পরবর্তীতে বুলবুলের সভাপতি হওয়াটাকে অনেকে সহজভাবে নিতে পারছেন না। তাছাড়া সরকারি ক্ষমতায় সভাপতি হয়ে যাওয়াটা তার জন্য সুখকর হবে না বলেও তাদের মত।

বেশ কয়েকজন ক্রিকেট সংগঠক মনে করেন, “বুলবুল যদি নির্বাচন করে সভাপতি হয় সেক্ষেত্রে ঠিক আছে। কিন্তু এনএসসি মনোনীত পরিচালক হয়ে সভাপতি হয়ে যাওয়াটা তার জন্য ভুল হবে। কারণ আগামী বছর যদি জাতীয় নির্বাচন হয় এবং নতুন সরকার অন্য কাউকে সভাপতি করে তাহলে বুলবুলকে সরে যেতে হবে। এটা তার ইমেজের জন্য ক্ষতি হবে।”

কিন্তু বুলবুল যে এনএসসির দিকেই তাকিয়ে আছেন – যদি এখনকার মতোই সভাপতির ব্যটন তুলে দেয় তার হাতে।

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত