ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে চীনকে প্রায় ধরে ফেলেছিল বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ৮০৭ কোটি (৮.০৭ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ, যা ছিল গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি।
ওই চার মাসে চীন ইউরোপের বাজারে ৮৩৮ কোটি (৮.৩৮ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল। প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২১ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি।
কিন্তু তিন মাস পরে এসে সেই চিত্র পাল্টে গেছে। এখন ইউরোপের বাজারে চীনের পোশাক রপ্তানি বাড়ছে; ব্যবধান ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারের বেশি হয়ে গেছে। বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। আর এটা হয়েছে ট্রাম্প শুল্কের কারণে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক রপ্তানি বাণিজ্যের গতিধারা পাল্টে দিচ্ছে। উচ্চ শুল্ক এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের বদলে ক্রমেই ইউরোপমুখী হয়ে উঠছে বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশ চীন। দেশটি সুদূর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পোশাক রপ্তানি বাড়াচ্ছে। এর প্রভাবে ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধিতে হোঁচট খেয়েছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চীন প্রধান রপ্তানিকারক দেশ। তাদের রয়েছে নিজস্ব কাঁচামাল, লিড টাইমের সুবিধা। লিড টাইম হচ্ছে রপ্তানি আদেশ পাওয়ার পর ক্রেতার হাতে পণ্য পৌঁছানো পর্যন্ত সময়। বেশি উৎপাদনশীলতার সুবিধায় রপ্তানি প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রয়েছে চীন।
ইউরোপের বাজারে চীনের রপ্তানি বাড়ার বিষয়টিকে উদ্বেগের বলছেন বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা। তারা মনে করেন, ইইউ জোটে আগামীতে চীনের রপ্তানি আরও বাড়তে পারে, বিপরীতে কমতে পারে বাংলাদেশের রপ্তানি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান অফিসের (ইউরোস্ট্যাট) হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, একক মাসের হিসেবে গত জুলাইয়ে ইউরোপের বাজারে ১৬৭ কোটি ৫০ লাখ (১.৬৭ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। গত বছরের জুলাইয়ে রপ্তানির অঙ্ক ছিল ১৫৬ কোটি ৪৭ লাখ (১.৫৬ বিলিয়ন) ডলার। এ হিসাবে বেড়েছে মাত্র ৭ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ।
অন্য দিকে জুলাই মাসে চীন ইউরোপে ২৭৮ কোটি ১৩ লাখ (২.৭৮ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। গত বছরের জুলাইয়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২২২ কোটি ২৭ লাখ (২.২২ বিলিয়ন) ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৫ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপের বাজারেও পোশাক রপ্তানিতে চমক দেখিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। নানা বাধাবিপত্তির মধ্যে বড় বড় বাজারে রপ্তানি বাড়ায় খুবই খুশি ছিলেন এ খাতের রপ্তানিকারকরা।
২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার। মোট পোশাক রপ্তানি আয়ের প্রায় ৬০ শতাংশ আসে এই বাজার থেকে।
পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষে কারখানা বন্ধসহ নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে গত বছরের শেষ দিকে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেশ কমে গিয়েছিল। ২০২৪ সালের নয় মাস (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ২ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ নেতিবাচক (ঋণাত্মক) প্রবৃদ্ধি ছিল।
অর্থাৎ ২০২৪ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে ইউরাপের বাজারে পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা ২০২৩ সালের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ কম আয় করেছিলেন। আর তাতে রপ্তানিকারকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল।
তবে বছরের শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) রপ্তানি বাড়ায় শেষ পর্যন্ত ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে শেষ হয়েছিল বছর। ২০২৪ সালে ইউরোপের দেশগুলোতে মোট ১ হাজার ৯৭৭ কোটি ১২ লাখ (১৯.৭৭ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল।
আগের বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে রপ্তানির অঙ্ক ছিল ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৫৭ লাখ (১৮.৮৫ বিলিয়ন) ডলার।
২০২৫ সাল শুরু হয়েছে বড় চমক নিয়ে। ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, এই বছরের প্রথম দুই মাসে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের পোশাক শিল্পমালিকরা ৩৬৯ কোটি ৩৩ লাখ (৩.৬৯ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেন। ওই অঙ্ক ছিল গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৭ দশমিক শতাংশ বেশি।
এর আগে দুই মাসে কখনোই এত প্রবৃদ্ধি দেখা যায়নি এই বাজারে। প্রধান প্রতিযোগী দেশ চীন, ভিয়েতনাম, ভারত ও পাকিস্তান বাংলাদেশের এই প্রবৃদ্ধির ধারেকাছেও ছিল না।
২০২৪ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়ে এই বাজারে ২৬৯ কোটি ৫৮ লাখ (২.৬৯ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল।
ইইউতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। চীন সবার শীর্ষে। তৃতীয় তুরস্ক। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়ে ইউরোপের বাজারে চীনের রপ্তানি বেড়েছিল ২৫ শতাংশ। তবে চলতি বছরের সাত মাসের (জানুয়ারি-জুলাই) হিসাবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অনেকটা কমে গেছে। অন্যদিকে চীনের বেড়েছে।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্যে দেখা যায়, ২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি-জুলাই সময়ে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশ ১ হাজার ১৯৮ কোটি ৬৩ লাখ (১১.৯৮ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ২০২৪ সালের এই সাত মাসে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে এই সাত মাসে চীন ইউরোপে ১ হাজার ৪০৬ কোটি ১২ লাখ (১৪.০৬ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে; বেড়েছে ২৩ শতাংশ। ২০২৪ সালের এই সাত মাসে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার।
পরিমাণের দিক দিয়ে ইউরোপে চীনের চেয়ে বাংলাদেশের বেশি পোশাক রপ্তানি হলেও টাকার অঙ্কে (ডলার) সব সময়ই চীন শীর্ষে ছিল। তবে একবার নিট পোশাক রপ্তানিতে চীনকে টপকে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্যে দেখা যায়, ২০২২ সালে বাংলাদেশ ইউরোপের বাজারে ১৩৩ কোটি কেজি তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছিল। চীনের রপ্তানি ছিল ১৩১ কোটি কেজি।
আর ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে বাংলাদেশ থেকে ইইউভুক্ত দেশগুলো ৯০০ কোটি (৯ বিলিয়ন) ডলারের নিট পোশাক নিয়েছিল। একই সময়ে চীন থেকে তারা ৮৯৬ কোটি (৮.৯৬ বিলিয়ন) ডলারের নিট পোশাক আমদানি করে।
ওই বছরের নয় মাসের হিসাবে প্রথমবারের মতো ইইউতে বাংলাদেশের নিট পোশাক রপ্তানি চীনকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দাম ও পরিমাণ- উভয় ক্ষেত্রেই ওই নয় মাসে ইইউতে শীর্ষ নিট পোশাক রপ্তানিকারক দেশ ছিল বাংলাদেশ।
ইইউতে পোশাক রপ্তানি কার কত
ইউরোস্ট্যাটের তথ্যে দেখা যায়, ২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) ইইউর কোম্পানিগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে ৫ হাজার ১৯২ কোটি ১৩ লাখ (৫১.৯২ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে। এই আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি।
ইইউতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। চীন সবার শীর্ষে। তৃতীয় তুরস্ক; তবে তুরস্কের পরিমাণ পরিমাণ বাংলাদেশের অর্ধেকেরও কম।
বাংলাদেশ, চীন ছাড়া অন্য দেশগুলোর মধ্যে তুরস্ক জানুয়ারি-জুলাই সময়ে ইউরোপের বাজারে ৫ দশমিক শূন্য পাঁচ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে; যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ কম। ২০২৪ সালের সাত মাসে রপ্তানির অঙ্ক ছিল ৫ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।
ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। জানুয়ারি-জুলাই সময়ে ভারত ইউরোপের বাজারে ৩ দশমিক ১৩ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ।
কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি হয়েছে সবচেয়ে বেশি, ৩০ দশমিক ১৮ শতাংশ। এই সাত মাসে দেশটি ইউরোপে ২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি-জুলাই সময়ে তাদের রপ্তানির অঙ্ক ছিল ১ দশমিক ৯১ বিলিযন ডলার।
অন্য দেশগুলোর মধ্যে জানুয়ারি-জুলাই সময়ে ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ; রপ্তানি হয়েছে ২ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক।
পাকিস্তানের রপ্তানির অঙ্ক ২ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার; প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
এছাড়া জানুয়ারি-জুলাই সময়ে ইউরোপের বাজারে শ্রীলঙ্কার রপ্তানি বেড়েছে ১৩ দশমিক শতাংশ। ইন্দোনেশিয়ার ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং মরক্কোর প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ।
২০২৪ সালে ইউরোপের কোম্পানিগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে ৯২ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছিল, যা ছিল ২০২৩ সালের চেয়ে ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি।
গত বছর চীন ইউরোপের বাজারে ২৬ দশমিক শূন্য সাত বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল; যা ছিল আগের বছরের চেয়ে ২ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
তবে গত বছর এই বাজারে তুরস্কের রপ্তানি বেশ খানিকটা কমেছিল; ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়ার কমেছিল ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।
ভারতের বেড়েছিল প্রায় ২ শতাংশ। কম্বোডিয়ার বেড়েছিল ২০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। অন্য দেশগুলোর মধ্যে ভিয়েতনামের বেড়েছিল ৪ দশমিক ২১ শতাংশ। পাকিস্তানের বেড়েছিল ১২ দশমিক ৪১ শতাংশ। মরক্কোর প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
গত ২ এপ্রিল বাংলাদেশহ ৬৫ দেশের পণ্যে অতিরিক্ত বিভিন্ন হারে ‘পাল্টা শুল্ক’ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দফায় দফায় ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনা পণ্যে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের কথাও শোনা যায়। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীন ইউরোপমুখী হবে বলে আশঙ্কার কথা বলে আসছিলেন অর্থনীতিবিদ, বাণিজ্য বিশ্লেষক ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তারা।
তাদের মতে, চীন ও ভিয়েতামের পণ্য আমদানিতে অস্বাভাবিক শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেশ দুটির পণ্য রপ্তানি কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষ করে চীনা পণ্য রপ্তানি বন্ধও হয়ে যেতে পারে। এতে বাধ্য হয়ে অন্য বাজারগুলোতে চীনা পণ্য অন্যান্য দেশের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করবে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকার পরিস্থিতিতে দর কমানোর চাপ দেওয়ার সুযোগ নেবে ইইউর বাজারের ব্র্যান্ড-ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ রকম প্রবণতায় সাধারণত রপ্তানি কমে যায়।
জানতে চাইলে তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্টের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনা পণ্যে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের কথা শোনা গেছে। পরে সেটা কমে হয়তো ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ হয়েছে। ঠিক কত শুল্কহার ঠিক করা হয়েছে, তা নিয়ে অস্পষ্টতা কাটেনি। তবে শুল্ক যতই হোক, তা বাংলাদেশের পণ্যের চেয়ে দ্বিগুণ বা কয়েক গুণ।
তিনি বলেন, “এত বেশি শুল্ক এড়াতে খুব স্বাভাবিক কারণেই চীন জোট হিসেবে সবচেয়ে বড় বাজার ইইউতে হিস্যা বাড়াতে চায়। তার সুফলই পাচ্ছে তারা। নিজস্ব কাঁচামাল, কম লিড টাইম, বেশি উৎপাদনশীলতায় তারা তো আগে থেকেই আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে।
“আমাদের এখন উচিত শুল্কমুক্ত সুবিধার সর্বোচ্চ সদ্ব্যব্যবহারের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের বাজার ইইউতে মনোযোগ আরও বাড়ানো।”