ব্যাপক আলোচনা এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরোধিতার মধ্যে রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছতে করিডোর প্রতিষ্ঠা নিয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে সরকার।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, কক্সবাজার দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনে কোনও করিডোর প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না, শুধু জাতিসংঘের ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার একটি চ্যানেল হতে পারে, সেটাও এখনও আলোচনার পর্যায়ে।
ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে এই সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত হাইরিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুরের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীরও ছিলেন।
এই দিন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ফেইসবুক পাতায় দুটি পোস্টে (বাংলা ও ইংরেজি) রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছনোর বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান প্রশ্নোত্তরে তুলে ধরা হয়।
গৃহযুদ্ধপীড়িত প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ত্রাণ সহায়তা পৌঁছতে কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে একটি মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার আলোচনার সূত্রপাত ঘটে গত মার্চে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফরের সময়।
মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১২ লাখ রোহিঙ্গার দুর্দশা দেখতে কক্সবাজার গিয়ে গুতেরেস রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছতে একটি করিডোর প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন।
কারণ মিয়ানমারে যুদ্ধের মধ্যে রাখাইন রাজ্যের অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে দেশটির সরকারি বাহিনী। ওই রাজ্যটি এখন বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। এদের সঙ্গে জাতিসংঘের কোনও যোগাযোগ না থাকায় রাখাইনে যুদ্ধপীড়িতদের জন্য ত্রাণ পৌঁছনো কঠিন হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব চলে যাওয়ার পর গত মাসে হঠাৎ করেই পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, কক্সবাজার থেকে রাখাইনে সহায়তা পৌঁছতে একটি মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠায় সরকার নীতিগত সম্মতি দিয়েছে।
এর সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক অঙ্গনে তা নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়। বিএনপিসহ অধিকাংশ দল এই করিডোর প্রতিষ্ঠা বিরোধিতা তোলে। জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়া নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও এতে আপত্তি জানাচ্ছে।
বিরোধিতার কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, এমন করিডোর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হবে, কেননা সরকার কিংবা বিদ্রোহী যে কোনও একটি পক্ষ বাংলাদেশকে শত্রুজ্ঞান করতে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এসে খলিলুর রহমান বলেন, রাখাইনে করিডোর প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। কেবল বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে ত্রাণ সরবরাহের একটি ‘চ্যানেল’ তৈরিতে জাতিসংঘের প্রস্তাব অন্তর্বর্তী সরকার বিবেচনা করছে।

কেন এই আলোচনা, তার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, “জাতিসংঘের যে কার্যক্রম মিয়ানমারে চলছে, সেটা রাখাইনে আর চলা সম্ভব না। কারণ যুদ্ধাবস্থার কারণে মানবিক ত্রাণ রাখাইনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
“গত মার্চ মাসে জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশে এসে বলেছিলেন, রাখাইনের ত্রাণ সাহায্য দিতে পারি কি না? আমরা বিষয়টা বিবেচনা করছি।”
করিডোর নিয়ে আলোচনার খবরটি গুজব আখ্যায়িত করে খলিলুর বলেন, “জাতিসংঘের সাহায্য নিয়ে বাংলাদেশে একটি করিডোর দেওয়ার যে গুজব তৈরি হয়েছে, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলে দিচ্ছি, করিডোর নিয়ে আমাদের সাথে কারও কোনও কথা হয়নি এবং কারও সাথে কোনও কথা হবে না। আমরা কাউকে করিডোর দিচ্ছি না।”
সেখানে করিডোর প্রতিষ্ঠার আদৌ কোনও প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন দীর্ঘদিন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করে আসা কূটনীতিক খলিলুর।
তিনি বলেন, “আরাকানের (রাখাইনের) যে অবস্থা, তাতে করিডোরের কোনও প্রয়োজন নেই। করিডোর সৃষ্টি করে লোকজনের যাতায়াতের ব্যবস্থা করার কোনও প্রয়োজনীয়তা এখন নেই। যেটা প্রয়োজন আছে, সেটা হলো সেখান ত্রাণ সরবরাহ করা।”
এই ত্রাণ পৌঁছনোর জন্যই একটি চ্যানেলের আলোচনা চলছে বলে জানান খলিলুর।
“যেহেতু রাখাইনে কোনও সাহায্য-সহযোগিতা, এইড উপকরণ অন্য কোনও সাপ্লাই রুট দিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জাতিসংঘ আমাদের বললো, কিছুটা দূরে তো বর্ডার। আপনার এটুকু আমাদের সাহায্য করবেন, যাতে আমরা ওপারে নিয়ে যেতে পারি। জাতিসংঘ তার বিভিন্ন সহযোগীদের মাধ্যমে রাখাইনের ভেতরে যেসব চ্যানেল আছে, সেটা ব্যবহার করে রাখাইনের জনগণের কাছে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেবে।”
ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ দেওয়া হলে কোন রুটে সেটা হতে পারে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “দুই পক্ষ, সকল পক্ষ যদি রাজি হয়, তাহলে আমরা সবার সঙ্গে বসে সেটা ঠিক করব। এটা কেবল সরকারের নয়, সকল অংশীজনের সাথে বসে আমরা সেটা ঠিক করব। তবে এখনও সেই পর্যায়ে আমরা যাইনি।”
রাখাইনে ত্রাণ যাওয়ার পরে ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে- এই প্রশ্নে খলিলুর বলেন, “পুরো কন্ট্রোল থাকবে জাতিসংঘের, ওপারে নিয়ে যাওয়ার পরে সেখানকার নিরাপত্তা, সবকিছু তাদের দায়িত্ব।
“আমাদের দায়িত্ব সীমান্ত পর্যন্ত, সেখানে মাদক পাচার হচ্ছে কি না, অন্য কিছু হচ্ছে কি না, সেটা আমরা দেখব। দু্ই পক্ষ সম্মত হলে, কনফ্লিক্ট কমলেই শুধু আমরা যাব।”
এই চ্যানেল বাস্তবায়নেও বেশ কিছু শর্ত পূরণের আবশ্যকতা রয়েছে বলে জানান খলিলুর।
তিনি বলেন, “জাতিসংঘের তরফ থেকে আরাকান আর্মিকে জানানো হয়েছে, এই সাহায্য বা সহায়তা প্রাপ্তি বা বিতরণের ব্যাপারে কোনোরকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
“আর আমাদের তরফ থেকে শঙ্কা হচ্ছে, আরাকানের যে নতুন রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও নিরাপত্তামূলক প্রশাসন তৈরি হয়েছে, সেখানে আমরা রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণের চিহ্ন দেখছি না। আমরা আরাকান আর্মিকে সরাসরি বলেছি, আমরা কোনোরকম এথনিক ক্লিনজিং (জাতিগত নির্মূল অভিযান) সহ্য করব না। তাদের বলেছি, তারা যদি শুধু রাখাইনদের নিয়ে রাজ্য পরিচালনা করতে চায়, তাহলে তারা হবে একটি বর্ণবাদী রাষ্ট্র।”
এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনও মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে কি না- এক সাংবাদিক জানতে চাইলে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, “সেনাবাহিনীর সাথে কোনও মতপার্থক্য নেই। সেনাপ্রধানের সাথে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এনিয়ে আমরা এক সমতলে অবস্থান করছি, কোনও ফাঁক-ফোকর নেই। সেনাবাহিনীর সাথে আমি খুব ক্লোজলি (ঘনিষ্ঠভাবে) কাজ করছি।”
এনিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও কোনও সমন্বয়হীনতা নেই বলে জানান তিনি।
ওয়াশিংটনের চাপে অন্তর্বর্তী সরকার এই পথে হাঁটছে কি না- প্রশ্নে দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে আসা খলিলুর বলেন, “আমেরিকা কেন, আমরা কারও চাপের মুখে নেই।
“কেউ চাপ দিচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র, চীন সবার সাথে কথা বলছি। তাহলে (চাপ) যেটা নেই, সেটা তো আমি অনুভব করতে পারছি না।”
মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের সংঘাতের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে প্রক্সি ওয়ারে বাংলাদেশকে জড়ানোর অপপ্রচার চলছে বলে দাবি করেন খলিলুর। এই প্রসঙ্গে নিজের আমেরিকান পাসপোর্ট থাকার খবরটিও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন তিনি।
তবে বাংলাদেশের স্বার্থেই রাখাইনে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন খলিলুর। কারণ সেখানে শান্তি না ফিরলে ১৩ লাখ রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন হবে না, যা বাংলাদেশের চাওয়া।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ মনে করে এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা। এই কাজ করার সবগুলো অপশন আমাদের টেবিলে থাকবে। আমাদের সকল কূটনৈতিক ও অন্যান্য প্রচেষ্টা দিয়ে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো। আমরা এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে চাই।
“আরাকানের অবস্থা যতদিন অস্থিতিশীল থাকবে, ততদিন আমরা প্রত্যাবাসন নিয়ে কথা বলতে পারব না। আর প্রত্যাবাসনের কথা বলতে না পারলে প্রত্যাবাসন কৌশলের কথাও বলতে পারব না।”
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার ফেইসবুক পোস্টে রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছনোর বিষয়ে সরকারের বর্তমান অবস্থান নিয়ে বলা হয়, ইউএনডিপির পূর্বাভাস অনুযায়ী, সেখানে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি রাখাইন থেকে আরও মানুষকে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করবে। কিন্তু ১২ লাখের পর আর কোনও বাস্তুচ্যুত মানুষকে বাংলাদেশের আশ্রয় দেওয়া সম্ভবপর নয়।
“যেহেতু সংঘাতের কারণে রাখাইনে সাহায্য সরবরাহের অন্যান্য সব পথ বর্তমানে অকার্যকর, তাই বাংলাদেশই এখন একমাত্র সম্ভাব্য বিকল্প। প্রাথমিকভাবে চিন্তা করা হয়েছিল যে জাতিসংঘ তার চ্যানেলের মাধ্যমে রাখাইনে সহায়তা বিতরণের ব্যবস্থা করবে এবং মিয়ানমার সীমান্তজুড়ে সহায়তা পৌঁছাতে বাংলাদেশ লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করবে।”
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে বলা হয়, রাখাইনে সাহায্য প্রদান রাজ্যটিকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির পথ প্রশস্ত করবে।
তবে এবিষয়ে এখনও কোনও চুক্তি হয়নি জানিয়ে বলা হয়েছে, “কারণ এর জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সম্মতি এবং সহায়তা প্রদানের জন্য বেশকিছু পূর্বশর্ত পূরণের প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে, সহায়তা প্রদানকারী এবং গ্রহীতাদের নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার, সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য না করা, সহায়তাকে সামরিক উদ্দেশে ব্যবহার না করা এবং সশস্ত্র কার্যকলাপ স্থগিত রাখা।”

মিয়ানমারের বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সরকার তাদের সঙ্গে যোগাযোগের সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানানো হয় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে।
“বাস্তবিক প্রয়োজনেই আরাকান বাহিনীর সাথে বাংলাদেশের এই যোগাযোগ। একইসঙ্গে, মিয়ানমার সরকারের সাথেও যোগাযোগ বজায় রাখছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা সঙ্কট টেকসইভাবে সমাধানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা দেওয়াটাও যে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে, সে কথাও বলা হয় প্রধান উপদেষ্টার ফেইসবুক পোস্টে।
“মানবিক সহায়তা যিনি প্রদান করেন এবং যিনি গ্রহণ করেন, উভয়ের জন্যই নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে। ল্যান্ডমাইন ও আইইডির মতো বিস্ফোরক নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য হুমকি। সহায়তা প্রদানের আগে এই বিষয়গুলো সমাধান করা প্রয়োজন।”
জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সম্মতির জন্য কী কী শর্ত পূরণ করতে হবে, তার তালিকাও দেওয়া হয় ফেইসবুক পোস্টে।
“প্রথম কথা হলো, সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সহায়তা প্রদানের বিষয়ে একমত হতে হবে। পাশাপাশি আরাকান বাহিনীকে নিশ্চিত করতে হবে যে সহায়তা প্রদানকারী এবং গ্রহীতাদের প্রবেশাধিকার যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সহায়তাকে সামরিক উদ্দেশে যেন ব্যবহার না করা হয় এবং কোনও সশস্ত্র কার্যকলাপ যেন না ঘটে।
“আরাকান বাহিনী রাখাইনের শাসনব্যবস্থা ও নিরাপত্তা কাঠামোর সকল স্তরে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্ত করে রাখাইনে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এই প্রতিশ্রুতির প্রতি তাদের অবিচল থাকতে হবে। তা না হলে এটিকে সারাবিশ্বে জাতিগত নিধন হিসেবে দেখা হবে, যা বাংলাদেশ মেনে নেবে না।”
এসব শর্ত পূরণে আরাকান আর্মির সম্মতি এখনও পাওয়া যায়নি জানিয়ে বলা হয়েছে, “আমরা এ বিষয়ে আরাকান বাহিনীর প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।”



