Beta
বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫

অবরোধে এলোমেলো ফ্লাইট

Biman
[publishpress_authors_box]

কোটা আন্দোলনে স্থবির হয়ে গেছে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সড়ক। এর প্রভাব পড়েছে দেশের আকাশপথের চলাচলে।  

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ এনে মঙ্গলবার বেলা ৩টায় সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা। ঢাকার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কেরও দখল নিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

এই অবরোধের প্রভাব পড়েছে দেশের আকাশপথের চলাচলে। মঙ্গলবার দুপুরে অভ্যন্তরীণ রুটের প্রায় ১৫ শতাংশ যাত্রী নির্ধারিত সময়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বন্দরে উপস্থিত হতে পারেনি।

তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, দুয়েকটি ছাড়া আন্তর্জাতিক রুটের সব ফ্লাইটই নির্ধারিত সময়েই ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে।

দেশের প্রধান বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন অর্ধ লক্ষাধিক যাত্রী নিয়ে তিন শতাধিক ফ্লাইট চলাচল করে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট সংখ্যা প্রায় দেড়শটি। বাকি ১৭০টির মতো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট রয়েছে।

কিন্তু জুলাই মাসের শুরু থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের প্রভাব পড়তে শুরু করে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে।

মঙ্গলবার সকালের পরপর বিমানবন্দর সড়কে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়। দুপুরের দিকে তারা বিমানবন্দর চত্বর ও কাওলায় থার্ড টার্মিনালের সামনের সড়কে তারা জড়ো হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিমানবন্দর নিরাপত্তা ফোর্স (অ্যাভসেক), বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত হন। অবরোধকারীদের বুঝিয়ে তারা তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “সকাল থেকে ফ্লাইট শিডিউল ঠিকই আছে। শিডিউল ঠিক রাখার জন্য অ্যাভসেক, এপিবিএন, আনসার ও বিমানবন্দর পুলিশ সমন্বিতভাবে কাজ করছে। দুপুর পর্যন্ত সব ফ্লাইটই নির্ধারিত সময়ে ঢাকা ছেড়ে গেছে।”

যাত্রীরা নির্ধারিত সময়েই বিমানবন্দরে আসছেন বলে জানান বিমানবন্দর এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক।  সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কাওলায় অবরোধ হলেও সেটি বেশিক্ষণ ছিল না। সেজন্য যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ায় বড় ধরনের সমস্যা হয়নি।”

শাহজালাল বিমানবন্দরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এয়ারলাইনগুলোর সঙ্গে কথা বলে তারা যাত্রী উপস্থিতি ঠিক রাখার চেষ্টা করছেন। সে অনুযায়ী যাত্রীদের বাড়তি সময় হাতে নিয়ে রওনা হওয়ার কথা জানানো হচ্ছে। তবে রাজধানীর অন্যান্য স্থানে অবরোধের প্রভাব বিমানবন্দরে পড়ে দুপুরের পর। এ কারণে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীদের আসতে কিছুটা দেরি হয়।

বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ার এ্যাস্ট্রার উপ-ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) সাকিব হাসান শুভ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “প্রতিদিন ঢাকা থেকে তাদের ১৪টি ফ্লাইট দেশের বিভিন্ন রুটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। অবরোধের কারণে যাত্রী কম থাকায় গতকালই (সোমবার) তাদের দুটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়।

“মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬টি ফ্লাইট সময়মতো ছেড়েছে। তবে দুপুরের পর ফ্লাইটগুলো ১৫ শতাংশ যাত্রী সময়মতো বিমানবন্দরে আসতে পারেননি। অনেক যাত্রী টিকেট রিশিডিউল করছেন। আমরাও বিনা চার্জে টিকেট রিশিডিউল করে দিচ্ছি।”

অবরোধের কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জেদ্দাগামী একটি ফ্লাইট সময়মতো ঢাকা ছাড়াতে পারেনি বলে জানা যায়।

বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে বিমানের ৩৩১ নম্বর ফ্লাইটটি মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৫ মিনিটে ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল। ক্রুরা সময়মতো না আসায় এটি নির্ধারিত সময়ে রওনা হতে পারেনি। পরে ফ্লাইটটি বিকাল ৪টা ৩৪ মিনিটে রওনা দেয়।

“বিমানের দাম্মামগামী আরেকটি ফ্লাইটও দুপুর ৩টায় ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু অবরোধের কারণে এই ফ্লাইটও আধা ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ৩টায় দাম্মাম রওনা দেয়।”    

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত