এক বলে দুই রকম আউট হতে পারতেন দাসুন শানাকা। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন ভেবে আঙুল তোলেন আম্পায়ার। আবার উইকেট ছেড়ে রান নিতে যাওয়ায় রান আউটও করে দেন সঞ্জু স্যামসন। তবে দুই রকম আউট হয়েও ক্রিকেটের আইনে বেঁচে যান শানাকা!
সুপার ওভারের চতুর্থ বলে ইয়র্কার করেন অর্শদীপ সিং। শ্রীলঙ্কার ব্যাটার শানাকা বল মিস করেন। বল যায় উইকেট রক্ষক সঞ্জু স্যামসনের হাতে। কট বিহাইন্ডের আবেদন করেন অর্শদীপ। বাংলাদেশি আম্পায়ার গাজি সোহেল আউট দিয়ে দেন।
ততক্ষণে রান নেওয়ার জন্য শানাকা উইকেটের প্রায় উল্টো প্রান্তে চলে আসেন। সঞ্জু সেই সুযোগে বল স্টাম্পে ছুড়ে উইকেট ভেঙে দেন। ভারতীয় দল নিশ্চিত ছিল হয় কট বিহাইন্ড, নয়তো রান আউট হবেন শানাকা। আর সুপার ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস তখনই শেষ হয়ে যাবে।
নাটকের শুরু তার পর। তৃতীয় আম্পায়ার টেলিভিশন রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত নেন শানাকা কট বিহাইন্ড আউট নন। কারণ, বল সত্যিই তাঁর ব্যাটে লাগেনি। ফলে কট বিহাইন্ডের আবেদন নাকচ হয়ে যায়।
ভারতীয় ক্রিকেটারেরা প্রশ্ন তোলেন, শানাকা কট বিহাইন্ড নাই হতে পারেন, কিন্তু তিনি তো পরিষ্কার রান আউট। আম্পায়ার এর পর সূর্যকে ক্রিকেটের আইন বোঝাতে শুরু করেন।
ক্রিকেটের আইন অনুযায়ী, আম্পায়ার কোনও ব্যাটারকে আউট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বলটি ডেড বল হয়ে যায়। তখন আর কোনও আউট গণ্য করা হয় না। তাই শানাকাকে আম্পায়ার আউট দেওয়ার পরই বলটি ডেড হয়ে যায়। এর পর একই সঙ্গে আর কোনও আউট বিবেচিত হবে না। তাই শানাকা পরিষ্কার রান আউট হয়েও বেঁচে যান। আইন বুঝে তখন মাথা চুলকাচ্ছিলেন সূর্যকুমার।