Beta
শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হোক অঙ্গীকার : খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়া।
[publishpress_authors_box]

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীকে তার স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে যোগ দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবারের এই সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রাখা বক্তৃতায় ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আবারও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা আয়োজন করে বিএনপি।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ধারণ করা একটি ভিডিও বক্তৃতা প্রচার করা হয়। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক ছিলেন প্রধান আলোচক।

জিয়াকে বাংলাদেশ গড়ে তোলার ‘অনন্য রূপকার’ অভিহিত করে খালেদা জিয়া বলেন, “যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে তিনি (জিয়াউর রহমান) শাহাদাতবরণ করেছেন, সে গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন পদযাত্রা আজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে প্রতি পদে পদে।

“খুব শিগগির বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা দেখতে পাব, এই হোক শহীদ জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার।”

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে চলার জন্য বিএনপির নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, সবার জন্য গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধানের যে রাজনীতি শহীদ জিয়া রেখে গেছেন, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে।”

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছে বিএনপি।

সভায় তারেক রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে বলেন, “এই সরকার কোনোভাবেই জবাবদিহিমূলক নয়, জনগণের কাছে এই সরকারের জবাবদিহি করার সুযোগও নেই।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে জনগণের সরাসরি যোগাযোগ নেই দাবি করে তারেক রহমান বলেন, “বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দুঃখ-দুর্দশার বিষয়ে অনেক উপদেষ্টাই ওয়াকিবহাল নন।

“তারা অফিসে বসে ফাইলপত্র দেখে জনগণের সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা হয়তো কেউ কেউ করছেন। তবে জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছাড়া প্রশাসননির্ভর, ফাইল ওয়ার্ক দিয়ে সব সমস্যার সমাধান যদি করা যেতই, তাহলে নিশ্চয়ই রাজনৈতিক দল বা রাজনীতির প্রয়োজন হতো না।”

১০ মাসেও নির্বাচনের বিষয়ে কোনও সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসায় দেশ অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, “প্রস্তাবিত সংস্কার শেষ করে, যদি তাদের ইনটেনশন সঠিক থাকে, গণতন্ত্রের পক্ষে থাকে, আমরা দাবি করেছি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে।

“তবে আমি এটাও মনে করি, বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে, সংস্কার প্রস্তাব শেষ করে…যেহেতু কমবেশি সকল বিষয়ে… অধিকাংশ দলগুলোর মধ্যে একমত রয়েছে, ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন করা সম্ভব।”

“অবিলম্বে ডিসেম্বরের মধ্যেই সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। এখানে অন্তর্বর্তী সরকারের জয় বা পরাজয়ের কোনো কিছুই নেই। বরং স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়ে গণতন্ত্রকে বিজয়ী করুন, করতে সাহায্য করুন,” বলেন তিনি।

ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও। সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমদ । অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ। সভার সঞ্চালক ছিলেন বিএনপি নেতা সুলতান সালাউদ্দিন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত