ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে গেছে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই। ক্যারিবীয়দের জিতিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা। যথারীতি কালও অসাধারণ বোলিং করেছেন বোলাররা।
১১ ওভারেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেখানে রান ১ উইকেটে ১০৬, এখান থেকে ক্যারিবীয়রা ২০ ওভারে ১৫০ রানও তুলতে পারেনি। চট্টগ্রামে ১৫০ রানের লক্ষ্যটাই পেরোতে পারিনি বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে ব্যাটিং ব্যর্থতা মেনে নিয়েছেন অীধনায়ক লিটন দাস।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি ক্ষমা চাইলেন বোলারদের কাছেও, ‘‘গত দুই-তিনটা সিরিজে বোলাররা সত্যি অসাধারণ বোলিং করেছে। আমাদের বোলারদের কাছে সত্যি দুঃখিত। ওরা অসাধারণ বল করেছে। কিন্তু আমরা (ব্যাটাররা) ম্যাচ জেতাতে পারিনি।’’
প্রথম ম্যাচে হারের পর শামীম হোসেনকে দায় দিয়েছিলেন লিটন দাস। এ নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে। এবার সতীর্থ কাউকে নয়, নিজেকেই কাঠগড়ায় তুললেন ১৭ বলে ২৩ রান করা লিটন, ‘‘১৫০ বড় কোনো লক্ষ্য নয়। বিশেষ করে চট্টগ্রামে। আমরা থিতু হতেই আউট হয়ে গেছি। বিশেষ করে আমার ১২-১৩ ওভার ব্যাটিং করার দরকার ছিল। আমার নিজেরও উন্নতি করতে হবে। যদি আমি ব্যাটিং করতে পারতাম, ম্যাচটা দ্রুত শেষ করে আসতে পারতাম।’’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগটা নিতে না পেরে আফসোসে পুড়ছেন লিটন, ‘‘তারা সত্যি ভালো বোলিং করেছে। তবে ওদের ফিল্ডিং ভালো ছিল না। প্রথম ম্যাচে তারা যেভাবে তারা অসাধারণ ফিল্ডিং করেছিল। তবু আমরা পারিনি। শেষ পর্যন্ত তারা ম্যাচটা জিতে গেছে।’’
৪৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, ‘‘আসলে ম্যাচ না জেতায় কিছুর ভ্যালু থাকে না। উইকেট যেমন ছিল সেট ব্যাটারদেরই শেষ করতে হয় এখানে। একটু স্কিডি ছিল, আসছিল না ব্যাটে। নতুন ব্যাটারদের জন্য এই উইকেট একটু কঠিন যেয়েই হিটিং করার। আমার কাছে মনে হয় আমি যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারতাম ম্যাচটা বের হয়ে যেতো।’’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘এই উইকেটে সেট ব্যাটারেই শেষ করতে হয়। কারণ নতুন ব্যাটার গিয়েই হিটিং করাটা খুব কঠিন এই উইকেটে। আপনারাও দেখেছেন উইকেটটা কেমন আচরণ করেছে। ওদেরও একই অবস্থা হয়েছে, মারতে গিয়ে আউট হয়েছে। আমার মনে হয় আমার যেটা দায়িত্ব ছিল…আমি যদি শেষ পর্যন্ত দায়িত্বটা পালন করতে পারতাম তাহলে হয়ত সহজেই ম্যাচটা বের হয়ে আসতো।’’



