গত বছর উইন্ডিজ সিরিজে নিজে ভালো না করলেও দল জিতেছিল। তাই খন্ডকালীন নেতৃত্ব পাওয়া লিটন দাস সমালোচনায় পড়েননি খুব একটা। তবে উইন্ডিজ সিরিজের আগে ভারত সফরে রান খরা ও সেই থেকে মোট ১৩ ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি করতে না পারার ব্যর্থতা চাপ বাড়িয়ে দেয় লিটনের।
ওই সময় এমনও সমালোচনা ওঠে যে নেতৃত্ব উপভোগ করছেন না বলে ব্যাটে রান নেই অধিনায়কের। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে হঠাৎ বদলে যান লিটন। ৭৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে সিরিজে ফেরান।
ওই ম্যাচের পর গত আট ইনিংসে তিনটি ফিফটি পেয়েছেন লিটন। সাকিব আল হাসানকে টপকে হয়েছেন এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ফিফটি প্লাস ইনিংস খেলা ব্যাটার। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ৭৩ রানের ইনিংসের পথে ১৪তম ফিফটির দেখা পেয়েছেন। এতদিন এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ ১৩টির রেকর্ড ছিল সাকিবের।
১১০ ম্যাচে লিটনের রান ২ হাজার ৪৩৭ রান। তার আগে আছেন ১৪১ ম্যাচে ২ হাজার ৪৪৪ রান করা মাহমুদউল্লাহ ও রানের দিক থেকে শীর্ষে ১২৯ ম্যাচে ২ হাজার ৫৫১ রান করা সাকিব।
ম্যাচ শেষে তাই সংবাদ সম্মেলনে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই দেখা গেল লিটনকে। জানালেন গুজবে কান না দিয়ে সফল হয়েছেন, “অনেক সময় শোনা কথায় (নেতৃত্ব উপভোগ করছেন না) কান দিতে নেই। আমি নেতৃত্ব উপভোগ করছি, না হলে অধিনায়কত্ব নিতাম না। সবচেয়ে ভালো দিক হলো এই সিরিজে আমি রান করেছি। আমি দেখলাম বাকিরা যখন ভালো খেলছে তখন অধিনায়ক হিসেবে আমাকেও ভালো করতে হবে। তাহলে পুরো দলের ওপর ভালো বার্তা যায়। চেষ্টা করেছি এখন ভালো করছি।”
শেষ ম্যাচে ব্যাটারদের খুব ভালো ব্যাটিং অনুশীলন হয়নি। বৃষ্টি না হলে আরও ২০ রান যোগ হতো বোর্ডে। লিটন সিলেটের উইকেটে ১৮০ রান হলেই খুশি হতেন। দুবাইয়ে আগে ব্যাট করার জন্য প্রস্তুত আছেন বলে জানালেন, “আমরা এশিয়া কাপেও যে প্রতি ম্যাচে আগে ব্যাট করবো এমন তো না। এটা ম্যাচ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। আগের দুই ম্যাচে ব্যাটিং আগে করতে পারিনি এবার হয়েছে। সাইফউদ্দিন ছাড়া বাকি ব্যাটাররা প্রস্তুতি নিতে পেরেছে। সবাই মোটামুটি ভালো শেপেই আছে।”



