Beta
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায় ভারত, জানালেন মোদী

WhatsApp Image 2025-04-04 at 12.58.46 PM
[publishpress_authors_box]

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে গণতান্ত্রিক ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চাওয়ার কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের খবরে উদ্বেগ জানিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি সম্পর্ক নষ্ট করে, এমন কথা এড়িয়ে চলার পরামর্শও দেন তিনি।

বাংলাদেশে গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে টানাপড়েনের মধ্যে শুক্রবার ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনে তারা দুজন এই প্রথম বৈঠকে মিলিত হলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন।

অন্যদিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী (মোদী) একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, অগ্রসর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।”

ভারত সম্পর্কের জন্য জনগণ-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করে দাবি করে তিনি বলেন, দীর্ঘকাল ধরে দুই দেশের মধ্যে যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক, তা উভয় দেশের মানুষের যথার্থ উপকারে এসেছে। এই মানসিকতায় মোদী আশা প্রকাশ করেন, ড. ইউনূস ভারতের সঙ্গে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলবেন।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি : প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি : প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখার পেছনে ভারতের সমর্থন ছিল বলে আলোচনা রয়েছে। অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুই দেশের সম্পর্কে শিথিলতা নেমে আসে। কূটনীতিক তলবের পাল্টাপাল্টি ঘটনাও ঘটে।

এরমধ্য সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে ড. ইউনূস বাংলাদেশের ভৌগলিক গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের স্থলবেষ্টিত হওয়ার দিকটি তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলাদেশকে বঙ্গোপসাগরের অভিভাবক বলে মন্তব্য করেন।

স্পর্শকাতর ‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতের রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বঙ্গোপসাগর নিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার কথায়ও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।

ব্যাংককের বৈঠকে মোদী বিষয়টি আলোচনায় তোলেন।

বিক্রম মিশ্রি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পরিবেশ নষ্ট করে, এমন কথা বলা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।”

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি : প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি : প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

দুই দেশের সীমান্তে আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা এবং বিশেষত রাতে অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম রোধ করার ওপরও জোর দেন মোদী।

অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় ভারতের উদ্বেগ ড. ইউনূসকে জানান মোদী।

বিক্রম মিস্ত্রি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, বাংলাদেশ সরকার তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের নির্যাতনের ঘটনার পূর্ণ তদন্তে জোর দিয়েছেন।”

ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে মোদীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত