প্রত্যাশিত জয়েই জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) শুরু করল চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ। বরিশাল বিভাগকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা। আর রাজশাহীকে ১১২ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। এছাড়া এনসিএলে অভিষেকে সিলেটের সঙ্গে ড্র করেছে ময়মনসিংহ বিভাগ। ড্র হয়েছে ঢাকা ও রংপুর বিভাগের ম্যাচও।
রাজশাহীকে ৪৮৩ রানের লক্ষ্য দেওয়ার সময়ই বোঝা গিয়েছিল জয় পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম। শেষ দিনে সেটা নিশ্চিত করতে তাদের প্রয়োজন ছিল ৬ উইকেট। দুই স্পিনার হাসান মুরাদ ও নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে রাজশাহী ৩৭০ রানে অলআউট হয়। এতে ১১২ রানের বড় জয় পায় শাহাদাত হোসেন দীপুর রাজশাহী।
রাজশাহীর হয়ে আজ ২৬৪ রানের সমীকরণ মেলাতে নেমেছিলেন তৃতীয় দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার প্রীতম কুমার ও এসএম মেহরব। দলীয় খাতায় আজ ১৮ রান যোগ করতেই তাদের পঞ্চম উইকেটের ১০৪ রানের জুটি যায় ভেঙে।
ব্যক্তিগত ৬০ রানে তাকে আউট করেন নাঈম। প্রীতম করেন ৮৩। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় রাজশাহী। হাসান মুরাদ নেন ৩ উইকেট।

অপর ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশাল ২২৪ রানে অলআউট হওয়ায় জয়ের জন্য খুলনার দরকার ছিল ৩৮ রান। ১০.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় খুলনা।
সিলেটে ময়মনসিংহের ৪০১ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে সিলেট বিভাগ করেছিল ৪৮৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ময়মনসিংহ ৯ উইকেটে ২৭২ করলে ড্র মেনে নেয় দুই দল। দুই ইনিংসে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন রেজাউর রহমান রাজা। তাতে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মাইলফলকে পা রাখলেন তিনি।
খালেদের বলে ঘাড়ে চোট পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন ময়মনসিংহের ব্যাটারে তাহজিবুল। মাঠের সবাই ঘাবড়েই যান তখন। তবে ফিল হিউজের মত দুঃস্মৃতি ফিরে আসেনি। ৭৯ বলে ২১ রান করে আল গালিবের বলে আউট হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।



