ভাই শুনলাম নির্বাচন বয়কট করেছেন? “হ্যা এটা তো বলেই দিয়েছি। আর নির্বাচন যে বললেন, এটা কি নির্বাচন নাকি? আমি কথা বলব, আসছি।” নির্বাচন নিয়ে সকাল সন্ধ্যার প্রশ্নে এভাবেই হতাশা প্রকাশ করলেন তামিম ইকবাল।
বিসিবি নির্বাচন নিয়ে গত এক সপ্তাহে যে নাটক হচ্ছে তা সকল ক্রিকেটপ্রেমীদের জানা হয়ে গেছে। কারা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে তাও ক্রিকেট প্রেমীরা জানেন। নাটকের সর্বশেষ পাট ১৫ ক্লাবের নির্বাচন করা ক্ষমতাবলে আটকে দেওয়া।
আর তা থেকেই সেই ১৫ ক্লাবসহ আরও কিছু ক্লাব বিসিবি নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশ্ন ছিল সেখানে তামিম ইকবালের নাম থাকবে কিনা। নির্বাচনে বিসিবি সভাপতি হওয়ার সবচেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী তামিম যে নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন তা স্পষ্ট হয় বুধবার সকালেই।
সকাল সোয়া ১০টার দিকে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এলেন তামিম ইকবাল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তার এখানে আসার অন্য কোনো কারণ থাকার কথা নয়! একটু পরে নিশ্চিত করে দিলে তিনি নিজেই। বিসিবির নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না দেশের সাবেক এই অধিনায়ক।
সরে দাঁড়ানোর পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তামিম বললেন, ‘‘আপনারা বলেন ফিক্সিং বন্ধ করেন ক্রিকেটে। আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন, এরপর ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ কইরেন। এটা কোনো ইলেকশান ছিল না। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই ইলেকশন কালো দাগ হয়ে থাকবে। বিসিবি নির্বাচন ঘিরে যা ইচ্ছা তাই করা হচ্ছে। এটা সুন্দর প্রক্রিয়া হতে পারে না।’’
তামিম একাই নন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন এ দিন আরও অনেকে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
প্রত্যাহারকারীদের একজন এক্মিওম ক্রিকেটার্সের কাউন্সিলর ইসরাফিল খসরু পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, সরকারের একটি গোষ্ঠীর হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে তাদের এই সিদ্ধান্ত, “বিসিবি নির্বাচনে নগ্ন হস্তক্ষেপ চলছে। নির্বাচনের কোনো পরিবেশ এখানে নেই। স্বেচ্ছাচারিতা করা হচ্ছে। নতুন বাংলাদেশে এই ধরনের কোনো নির্বাচন আমরা চাই না। সরকারের একটি গোষ্ঠী এখানে হস্তক্ষেপ করছে। আপাতত এটুকুই বলতে পারি। শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত বলব আমরা।”
কিছুদিন আগেই একটি সংবাদ সম্মেলনে তামিম অভিযোগ করেছিলেন, সরকারের একটি অংশ বিসিবি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।