Beta
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫

মাইলস্টোনের আরও ২ জনের মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫

মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আহতদের বেশিরভাগই রয়েছে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আহতদের বেশিরভাগই রয়েছে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
[publishpress_authors_box]

বিমান বিধ্বস্তের পর অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের আরও দুইজন মারা গেছে। তাদেরকে নিয়ে এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ হলো।

ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি থাকা ১৩ বছর বয়সী জারিফ ফারহানকে শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর এক ঘণ্টা পর সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে মৃত ঘোষণা করা হয় স্কুলের অফিস সহায়ক ৩৮ বছর বয়সী মাসুমাকে।

গত ২১ জুলাই সোমবার রাজধানী ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের বেশিরভাগ শিশু।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের দুই শিক্ষার্থী- তাসনিম আফরোজা আইমান ও মাকিনের মৃত্যু হয়। স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ১০ বছর বয়সী আইমানের শরীরের ৪৫ শতাংশ এবং সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ১৩ বছর বয়সী মাকিনের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

আগুনে স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জারিফের শরীরের ৪০ শতাংশ এবং অফিস সহায়ক মাসুমার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাদেরকে নিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা গেল ১৭ জন।

বাসস জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ৪৮ জন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে ৩৮ জন, ঢাকা সিএমএইচে ৮ জন, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ১ জন এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১ জন ভর্তি রয়েছে।

দগ্ধদের মধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে ১৭ জন, ঢাকা সিএমএইচে ১৫ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন, লুবানা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে ১ জন এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এই দুর্ঘটনায় হতাহতদের তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোয় প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটনে একটি কমিটি গঠন করেছে মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত