নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বচ্ছভাবে আয়নার মতো পরিষ্কার নির্বাচন করতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
বাসস জানিয়েছে, সোমবার রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলনকক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, “আমরা একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হতে চাই। আগামী নির্বাচনকে যতটা সম্ভব স্বচ্ছ করতে চাই। আমরা চাই সারা বিশ্ববাসী তা দেখুক। সেজন্য একদম স্বচ্ছভাবে আয়নার মতো পরিষ্কার করে নির্বাচনটা করতে চাই। সেক্ষেত্রে গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। এজন্য আপনাদের পরামর্শ চাই। একটা সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে মিডিয়াকে পার্টনার হিসেবে পেতে চাই। কারণ আপনারা মিস ইনফর্মেশন ও ডিসইনফর্মেশনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।”
সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ সংলাপ শুরু হয়। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে বৈঠকে বসে কমিশন। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এতে অংশ নেন।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং দুপুর আড়াইটা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং দুপুর আড়াইটা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নারী নেত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।
একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দল, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক, নারীনেত্রী, জুলাই যোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করছে ইসি।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে ইসি। প্রথম দিন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষাবিদরা সংলাপে অংশ নিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
গণমাধ্যমের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তারা বলেন, সুষ্ঠু গণতন্ত্রের জন্য কার্যকর গণমাধ্যম অপরিহার্য।
পুরো নির্বাচন ব্যবস্থায় গণমাধ্যমকর্মী যাতে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে, সংবাদ সংগ্রহ করতে পারে, কোনও ভ্রান্ত ধারণা তৈরি না হয় এবং শুরু থেকেই সবার কাছে সমস্ত তথ্য পৌঁছায় তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন তারা।
সংলাপে বলা হয়, নির্বাচনের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই গণমাধ্যমের সঠিক ভূমিকা জরুরি।