মানুষ যুগে যুগে এক প্রশ্নই করে আসছে, সেটি হলো “যদি…”। আগামী কয়েক মাস ধরে আল জাজিরা বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় কিছু সংকট ও প্রশ্নকে নতুনভাবে বিশ্লেষণ করবে এবং বিশেষজ্ঞদের কাছে জানতে চাইবে, “যদি এমনটা হতো…?”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসকে রবিবার পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছেন এক চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য। তার দাবি অনুযায়ী, ইসরায়েলের গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাবে এই চুক্তি। তবে এই চুক্তি ইসরায়েলকে অল্প সময়ের জন্য গাজার কিছু অংশে অবস্থান করার অনুমতিও দেবে।
তবে সমালোচকরা এই প্রস্তাব নিয়ে সন্দিহান। তারা বলছেন, গত বছর লেবাননের সঙ্গে অস্ত্রবিরতির চুক্তি সইয়ের পরও ইসরায়েল সেখানে হামলা অব্যাহত রেখেছে। পাশপাশি একইভাবে পশ্চিম তীরে এখনও অভিযানে যাচ্ছে। তাদের মতে, এই চুক্তি বাস্তবে ইসরায়েলকে থামাতে বা গাজায় শান্তি আনতে পারবে কিনা, তা নিয়ে ঘোরতর সন্দেহ রয়েছে।
তবে অনেকে ধারণা করছেন, চুক্তিটি ব্যর্থ হলে ইসরায়েল গাজায় তার সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে। এই অভিযানে ইতোমধ্যে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলবিরোধী নিন্দা সত্ত্বেও এই হত্যাযজ্ঞ থামেনি।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি জাতিসংঘের একটি কমিশন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্টের সঙ্গে একমত হয়ে জানায়, ইসরায়েলের এই যুদ্ধ গণহত্যামূলক চরিত্রের। এর পরপরই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য সুবিধা স্থগিত করার প্রস্তাব তোলে।
আগস্টে জাতিসংঘ-সমর্থিত এক সংস্থা সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজা উপত্যকায় এক মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ ঘটিয়েছে।
ইসরায়েলের ঐতিহ্যগত মিত্র দেশগুলোর কয়েকটি যেমন ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডা গত সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগে গত বছর নরওয়ে, স্পেন ও আয়ারল্যান্ড একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যরাও ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। গত মাসে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই বর্বরতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত” ইসরায়েলকে যেন বৈশ্বিক ক্রীড়া সংস্থা থেকে বহিষ্কার করা হয়। মে মাসে স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট নাটাসা পির্ক মুসার ইসরায়েলের কার্যক্রমকে সরাসরি “গণহত্যা” বলে অভিহিত করেন।
তাহলে যদি এসব দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়, তারা কি একসঙ্গে কাজ করে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়াই ইসরায়েলকে আক্রমণ বন্ধ করতে এবং গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে বাধ্য করতে পারবে?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আল জাজিরা কথা বলেছে চারজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে। তারা হলেন : ওয়েস্টার্ন অন্টারিও ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক আইনের অধ্যাপক মাইকেল লিঙ্ক, ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিনের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধ্যাপক মাইকেল বেকার (তিনি আগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত- আইসিজেতে কাজ করেছেন), সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির সাংস্কৃতিক বয়কট বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ইতিহাসবিদ নিক কাল এবং কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ দানিয়েলে বিয়ানচি।
জাতিসংঘ কী করতে পারে
“গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড থামাতে সবচেয়ে কার্যকর পথ এখনও জাতিসংঘই। এর আগেও এমন নজির রয়েছে।
“ইসরায়েল জাতিসংঘ সনদের ১৯৪৮ সালের ‘জাতিসংঘ গণহত্যা প্রতিরোধ কনভেনশন’ এবং ১৯৯৮ সালের ‘রোম সংবিধি’ (Rome Statute) লঙ্ঘন করছে। এসব চুক্তিতে বহু সদস্য রাষ্ট্র স্বাক্ষর করেছে। এই আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী, কোনও রাষ্ট্র যখন গণহত্যা বা নৃশংসতার পথে যায়, তখন অন্য রাষ্ট্রগুলোর আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকে হস্তক্ষেপ করার।
“এখন পর্যন্ত একমাত্র ইয়েমেনের হুথি বাহিনী তাদের ড্রোন হামলা, কেবল কেটে দেওয়া ও জাহাজ চলাচল বাধাগ্রস্ত করার মাধ্যমে কোনোভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
“১৯৫০ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ‘ইউনাইটিং ফর পিস রেজোলিউশন’ পাস করেছিল কোরিয়ায় হস্তক্ষেপের জন্য। এর আগে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিটি প্রস্তাবই সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো দিয়েছিল। কিন্তু এই রেজোলিউশনটি সাধারণ পরিষদের জোরাল সমর্থন পেয়ে জাতিসংঘকে একটি বৈধ আইনি কাঠামো দেয়, যাতে তারা কোরীয় উপদ্বীপে সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করে দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাধীনতা পুনঃস্থাপন ও অন্তত অস্ত্রবিরতি নিশ্চিত করতে পারে। যদিও স্থায়ী শান্তি তখনও অধরা ছিল।
“পঁচাত্তর বছর পরও সেই নজির এখনও প্রাসঙ্গিক। একই পদ্ধতিতে জাতিসংঘ গাজায় একটি শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর অনুমোদন দিতে পারে। মনে রাখবেন, জাতিসংঘ আগেও বলেছে, ইসরায়েলের গাজায়, কিংবা অন্য দখলীকৃত ভূখণ্ডে থাকার কোনও বৈধ অধিকার নেই। একবার জাতিসংঘ বাহিনী সেখানে প্রবেশ করলে তারা মানবিক সহায়তা শুরু করতে পারবে, পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চালু করতে পারবে, পানি ও বিদ্যুৎসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো পুনরুদ্ধার করতে পারবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের বিষয়ে আলোচনাও চালাতে পারবে।
“জাতিসংঘ সনদের ৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যারা বারবার এর নীতি লঙ্ঘন করে, সেই সদস্য রাষ্ট্রকে বহিষ্কার করাও সম্ভব। তবে এজন্য নিরাপত্তা পরিষদের (এবং যুক্তরাষ্ট্রের) সমর্থন প্রয়োজন। ১৯৭০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কারের জন্য একাধিক প্রচেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য তাতে ভেটো দিয়েছিল।
“তবুও সাধারণ পরিষদ একটি প্রস্তাব পাস করে জানায়, তারা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব স্বীকৃতি দেবে না। এর ফলে কার্যত দেশটিকে ২০ বছর জাতিসংঘ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। এখন সময় এসেছে সাধারণ পরিষদের, ইসরায়েল ইস্যুতেও একই রকম পদক্ষেপ বিবেচনা করার,” বলছিলেন মাইকেল লিঙ্ক।
জাতিসংঘ ছাড়া পৃথক রাষ্ট্রগুলো কী করতে পারে
এ বিষয়ে মাইকেল বেকার বলেন, “এখানে ভালো কোনও সহজ সমাধান নেই। ‘মানবিক হস্তক্ষেপ’ ও ‘রেসপনসিবিলিটি টু প্রোটেক্ট’ ধারণাগুলো ১৯৯০-এর দশক থেকে আলোচিত। কিন্তু মূলধারার আন্তর্জাতিক আইনি ব্যাখ্যা এখনও বলছে, বৈধভাবে বলপ্রয়োগ করার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন বা বৈধ আত্মরক্ষার দাবি থাকা আবশ্যক।
“১৯৪৮ সালের গণহত্যা প্রতিরোধ কনভেনশন সব পক্ষকে গণহত্যা প্রতিরোধের বাধ্যবাধকতা দেয়। কিন্তু এটি কোনও স্বাধীন আইনি ভিত্তি দেয় না যে, কোনও রাষ্ট্র বলপ্রয়োগ করে হস্তক্ষেপ করতে পারবে।
“আরেকটি বিবেচ্য বিষয় হলো ‘সমষ্টিগত আত্মরক্ষা’ বা অনুরূপ ধারণা ‘আমন্ত্রণের মাধ্যমে হস্তক্ষেপ’। এই পথটি তখনই সম্ভব, যদি ফিলিস্তিনকে এমন একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, যে তার সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগ করে তৃতীয় পক্ষকে আমন্ত্রণ জানাতে পারে নিজের আত্মরক্ষার নামে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতে।
“তবে এই উদাহরণগুলো সাধারণত রাষ্ট্র-রাষ্ট্র যুদ্ধের ক্ষেত্রে নয়, বরং অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘর্ষে দেখা গেছে। যেখানে রাষ্ট্র ‘এ’ অন্য রাষ্ট্র ‘বি’-কে আমন্ত্রণ জানায় তার ভূখণ্ডে কোনও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে।
“১৯৯০-এর দশকে এমনই হয়েছিল। তখন কঙ্গোর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র (ডিআরসি) উগান্ডাকে পূর্ব কঙ্গোতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল। পরে ডিআরসি সেই সম্মতি প্রত্যাহার করলে (অর্থাৎ আমন্ত্রণ বাতিল করলে) উগান্ডা সেনা প্রত্যাহার না করায় দুই দেশের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
“আরও সাম্প্রতিক উদাহরণ হলো ইরাকে আইএসআইএলের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটের অভিযান। সেখানে ইরাকের আনুষ্ঠানিক সম্মতি ছিল। কিন্তু সিরিয়ায় একই জোটের কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে সেই আইনি ভিত্তি অনেক বেশি অস্পষ্ট ছিল।
“তাহলে ফিলিস্তিন কি কালই কোনও রাষ্ট্রকে আমন্ত্রণ জানাতে পারে নিজের সহায়তায়? তাত্ত্বিকভাবে, যদি ফিলিস্তিন নিজেই জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আত্মরক্ষার দাবি করে, তবে সেটা সম্ভব।
“তবে এখানে অনেক জটিলতা আছে। প্রথমত, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে কথা বলবে কে? যদি এটি হয় রামাল্লাভিত্তিক প্যালেস্টাইন অথরিটি (পিএ), তবে হামাসের ‘আত্মরক্ষার’ ঘোষণার কোনও আইনি বৈধতা নাও থাকতে পারে। দখলদারত্ব সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আইন এখানে কীভাবে প্রযোজ্য হবে, সে বিষয়ে আমি আসলে নিশ্চিত না।”
নিষেধাজ্ঞা ও বাণিজ্য অবরোধের মাধ্যমে কী অর্জন সম্ভব
দানিয়েলে বিয়ানচি বলছেন, “রাশিয়ার কথা ভাবুন; বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যেই রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু চীনের সহায়তায় রাশিয়া টিকে আছে। আমার ধারণা, ইসরায়েলের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা দিলে যুক্তরাষ্ট্র তা কার্যত নস্যাৎ করে দেবে।
“বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া নিষেধাজ্ঞা বা বাণিজ্য অবরোধ হয়তো ইসরায়েলকে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে, কিন্তু একে থামাতে পারবে না।
“যদি চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ), এবং সম্ভব হলে ভারত একসঙ্গে পদক্ষেপ নেয়, তাহলে ইসরায়েলের অর্থনীতিতে কিছুটা আঘাত দেওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু তবুও এটি ইসরায়েলের যুদ্ধনীতি বন্ধ করতে পারবে না।
“আমাদের এটাও দেখতে হবে, ইসরায়েলের রপ্তানির প্রকৃতি কেমন। দেশটি তেমন কোনও পণ্য রপ্তানি করে না, যা সহজে বয়কট করা যায়। বরং তাদের রপ্তানি প্রযুক্তিনির্ভর, যেসব জিনিস সহজে বিকল্প দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যায় না।
“২২ মাসের যুদ্ধের পরও ইসরায়েলের অর্থনীতি এখনও টিকে আছে। ঋণের বোঝা বেড়েছে, প্রবৃদ্ধির হার কমেছে, কিন্তু যারা (আমিসহ) ধারণা করেছিল ইসরায়েলের অর্থনীতি ধসে পড়বে, তাদের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণিত হয়েছে।”
সাধারণ মানুষ কী করতে পারে
এবিষয়ে নিক কাল বলেন, “সংস্কৃতিক ও ক্রীড়া বয়কট কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ জনমত পরিবর্তন করতেও কাজ করে। আবার আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতেও সাহায্য করে।
“সংস্কৃতিক বয়কট হলো এমন একটি উপায়, যা কোনও দেশ ও তার নাগরিকদের জানিয়ে দেয়, তাদের আচরণ এতটাই অনৈতিক যে, তাদের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখা চলবে না। এটি তাদের সেই ভ্রান্ত ধারণাটিকেও ভেঙে দেয় যে, ‘আমরা তো আর দশটা দেশের মতোই’, কিংবা ‘সব দেশেই কিছু মানবাধিকার সমস্যা আছে।’
“দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে প্রথম এই ধারণাটি দিয়েছিলেন ট্রেভর হাডলস্টন নামে এক ব্যক্তি। তিনি ১৯৫৪ সালে সাংস্কৃতিক বয়কটের আহ্বান জানান। এক দশক পর, ১৯৬৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।
“সংস্কৃতি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এক ধীর ও ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। গবেষকরা জানেন, একটি দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি গড়ে ওঠে ও ভেঙে পড়ে বহু বছর বা কখনও কখনও কয়েক দশক ধরে। এটি সেই গতি নয়, যা অধিকাংশ মানুষ বা সরকার কল্পনা করে।
“সাংস্কৃতিক বয়কটও একই নীতিতে কাজ করে। বছরের পর বছর ধরে এটি একটি দেশের ভাবমূর্তিকে টেনে নিচে নামায়, স্বাভাবিকতার মুখোশ খুলে দেয়, এবং তাকে একঘরে করে ফেলে।
“নেলসন ম্যান্ডেলা নিজেই অ্যাপারথাইড শাসিত দক্ষিণ আফ্রিকাকে ‘বিশ্বের দুর্গন্ধযুক্ত জন্তু’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।
“দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক বয়কট চার দশক ধরে চাপ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাই ছিল সেই চূড়ান্ত আঘাত, যা প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ী নেতাদের, পরে তার রাজনৈতিক নেতৃত্বকে, আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য করেছিল।”
তথ্যসূত্র : আল জাজিরা