Beta
বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

এফ-৭ যুদ্ধবিমান নিয়ে কতটা নিরাপদ বাংলাদেশ

F-7 Jet
[publishpress_authors_box]

চীনের এফ-৭ যুদ্ধবিমানের ব্যবহার বিশ্বজুড়েই; বহুল ব্যবহারের পাশাপাশি এর রয়েছে অন্য যুদ্ধ বিমানের তুলনায় বেশি দুর্ঘটনার রেকর্ড। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে বিমানটির পুরনো কাঠামো, সীমিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আধুনিক ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমের অভাব।

একই প্রজন্মের অন্যান্য যুদ্ধবিমানের তুলনায় জে-৭ সিরিজটি তুলনামূলক সস্তা হওয়ায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ এখনও এই বিমান ব্যবহার করে। এর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশে এফটি-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানটির দুর্ঘটনার কবলে পড়ার উচ্চ হারের বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে আন্তর্জাতিক নানা সংবাদমাধ্যমে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এই তদন্ত কতদিন চলবে বা তার আওতা কী হবে, সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

এফ-৭, এফটি-৭ বিজিআই

এফটি-৭ বিজিআই মডেলের বিমানের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশন। ‘বিজিআই’ অর্থাৎ বাংলাদেশ, গ্লাস ককপিট, ইমপ্রুভড। এই সংস্করণটি বিশেষভাবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য তৈরি করা হয়েছে।

এটি স্বল্প খরচে নির্মিত, এক ইঞ্জিনচালিত ও দুই আসনবিশিষ্ট একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। মূল সংস্করণ এফ-৭ এর জন্য পাইলটদের প্রস্তুত করতে এফটি-৭ বিজিআইয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

এফটি-৭ বিজিআই এর সর্বোচ্চ গতি মাক-২.২, অর্থাৎ শব্দের গতির চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। একমাত্র আফটারবার্নিং ইঞ্জিনে চালিত এই বিমান এক ঝাঁকুনিতে ৮২ কিলোনিউটন পর্যন্ত থ্রাস্ট (শক্তি) উৎপন্ন করতে পারে। গতি আর শক্তির এই সম্মিলন একে আকাশ প্রতিরক্ষায় বেশ সক্ষম করে তোলে।

পাইলটের সামনের ককপিটে তিনটি মাল্টি-ফাংশনাল এইচইউডি ডিসপ্লে এবং এইচওটিএএস (এইচওটিএএস) নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে। এর ডিজিটালাইজড সিস্টেম পাইলটকে দিয়ে রাখে সর্বোচ্চ সতর্কতায়, যেন চোখের পলকেই প্রতিক্রিয়া দিতে পারে সে।

এফটি-৭ বিজিআই বিমানে বসানো হয়েছে কেএলজে-৬এফ ফায়ার কন্ট্রোল রাডার। এই প্রযুক্তি ৮৬ কিলোমিটারেরও বেশি দূরের শত্রু লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে সক্ষম। একই সঙ্গে ছয়টি লক্ষ্য ট্র্যাক করে এবং একযোগে দুটি লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত আঘাত হানার ক্ষমতা রয়েছে এই বিমানের।

এফটি-৭ বিজিআই-এর গঠনেও রয়েছে এক বিশেষত্ব। এর শরীরে ব্যবহার করা হয়েছে জে-৭জি২ এয়ারফ্রেম এবং ডাবল-ডেল্টা উইং ডিজাইন। ফলে এটি দ্রুত উচ্চতায় উঠতে পারে। এছাড়া যুদ্ধবিমানটিতে রয়েছে সাতটি হার্ড-পয়েন্ট, অর্থাৎ অস্ত্র বহনের নির্ধারিত স্থান। ফলে এটি পিএল-৫, পিএল-৭, পিএল-৯ এমনকি মাঝারি পাল্লার পিএল-১২ মিসাইলও বহন করতে পারে।

শুধু ক্ষেপণাস্ত্র নয়, এটি আনগাইডেড রকেট, সাধারণ বোমা, এমনকি ৩,০০০ পাউন্ড ওজনের চীনা লেজার গাইডেড বোমাও নিখুঁতভাবে লক্ষ্যভেদ করতে পারে।

বিমানবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, এফটি-৭ বিজিআই সংস্করণটি বাংলাদেশ ২০১৩ সালে চীন থেকে কেনে।

এফটি-৭ বিমানটির বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে তৃতীয় প্রজন্মের প্ল্যাটফর্মে তৈরি হলেও কার্যত চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের মতো সক্ষমতা রাখে।

গ্লোবাল সিকিউরিটিডটকম প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, চীন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে এফ-৭ যুদ্ধবিমান তৈরি করে। ১৯৬৫ সালের নভেম্বরে এফ-৭-এর কাঠামোগত পরীক্ষা সফলভাবে শেষ হয়। 

১৯৬৬ সালের জানুয়ারিতে এর সফল পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করেন চীনা পাইলটরা। পরে ১৯৬৭ সালের জুনে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এটিকে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। তবে ২০১৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এ যুদ্ধবিমানের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

দেশি-বিদেশি চাহিদার ভিত্তিতে এফ-৭ এর বেশ কয়েকটি সংস্করণ তৈরি করে চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশন। এর মধ্যে এফ-৭ ই, এফ-৭ পি, এফ-৭ এম ও এফ-৭ বিজিআই অন্যতম।

বিশ্বে এখন সবচেয়ে বেশি এফ-৭ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে পাকিস্তান। দেশটির কাছে ১২০টি এফ-৭ যুদ্ধবিমান আছে। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার চার দিনের যুদ্ধ পরিস্থিতি ওই বিমান আলোচনায় এসেছিল।

পাকিস্তান ছাড়াও তানজানিয়া, ইরান, ইরাক, আলবেনিয়া, নাইজেরিয়া, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, জিম্বাবুয়ে ও মিসর এফ-৭ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। 

ফ্লাইটগ্লোবালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বিএএফ) বর্তমানে ৩৬টি এফ-৭ এমজি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে। এফ-৭ এমজি হলো জে-৭ সিরিজের একটি সংস্করণ, যা বিশেষভাবে বাংলাদেশের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। 

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, ২০০৬ এবং ২০১৩ সালে চীন বাংলাদেশে ১৬টি এফ-৭ এমজি যুদ্ধবিমান সরবরাহ করেছিল। বর্তমানে বিমানগুলো আকাশ প্রতিরক্ষা, বহুমুখী অভিযান ও পাইলট প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হয়।

বাংলাদেশে চীনে নির্মিত বিমানের দুর্ঘটনার রেকর্ড

এমন নয় যে, বাংলাদেশে এবারই প্রথম এফ-৭ বিমান বিধ্বস্ত বা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। অ্যারোস্পেস গ্লোবাল নিউজ বলছে, বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে একাধিক এফ-৭ বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর রেকর্ড অনুসারে, ২০০৮ সালের ৮ এপ্রিল প্রশিক্ষণ চলাকালীন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় চীনে তৈরি চেংদু এফ-৭ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। স্কোয়াড্রন লিডার মোর্শেদ হাসান বিমান থেকে ইজেক্ট করেছিলেন। কিন্তু প্যারাসুট সঠিকভাবে কাজ না করায় তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। 

পতেঙ্গায় ২০১৫ সালের ২৯ জুন একটি এফ-৭ এমবি যুদ্ধবিমান বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটির পাইলন ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহমিদ। বিমানটি সেদিন সকাল ১০টা ২৭ মিনিটে জহুরুল হক বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। সকাল ১১টা ১০ মিনিটে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং সাড়ে১১টার দিকে পতেঙ্গা উপকূলে এটি সাগরে পড়ে যায়। পাইলটের খোঁজে বড় আকারের উদ্ধার অভিযান চালানো হলেও তাকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এরপর ২০১৮ সালের ২৩ নভেম্বর টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় বিধ্বস্ত হয় এফ-৭বিজি যুদ্ধবিমান। উইং কমান্ডার আরিফ আহমেদ দীপু এক প্রশিক্ষণ মিশনে অংশ হিসাবে বিমানটি চালাচ্ছিলেন। আকাশে অস্ত্র ব্যবহার করার পর বিমানটির জ্বালানির ট্যাংকে আগুন ধরে যায়। 

একই বছর এফ-৭ সিরিজের না হলেও আরেকটি চীনা বিমান বিধ্বস্ত হয়। ২০১৮ সালের ১ জুলাই যশোরে কে-৮ ডব্লিউ মডেলের একটি প্রশিক্ষণ বিমান রাতের প্রশিক্ষণ মিশনে অংশ নিচ্ছিল। তখন এটি যশোর বিমানবন্দরের কাছাকাছি হ্রদে বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় স্কোয়াড্রন লিডার সিরাজুল ইসলাম ও স্কোয়াড্রন লিডার এনায়েত কবির পলাশ প্রাণ হারান। দুজনই অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষণ পাইলট ছিলেন।

জিম্বাবুয়েতে গত মে মাসে রুটিন ফ্লাইটের সময় একটি এফ-৭ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত হন। ২০২২ সালের জুনে ইরানের আনারাক অঞ্চলে এফ-৭ বিমান ট্রেনিং ফ্লাইটে বিধ্বস্ত হয়ে দুইজন পাইলট নিহত হন। একই বছর চীনের হুবেই প্রদেশেও একটি জে-৭ বিমান বিধ্বস্ত হয়। আর পাকিস্তানে ২০২২, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে এই সিরিজের বেশ কয়েকটি বিমান বিধ্বস্ত হয়।

এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নাকি প্রশিক্ষণ বিমান

গত ২১ জুলাই উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পর অনেক মিডিয়াতেই একে একটি প্রশিক্ষণ বিমান হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু পরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বার্তায় বিষয়টি খোলাসা করে।

আইএসপিআর জানায়, মাইলস্টোনের ঘটনায় কিছু সংবাদমাধ্যমে লেখা হচ্ছে, বিমানটি একটি প্রশিক্ষণ বিমান ছিল। আমরা বিনীতভাবে আবারও জানাতে চাই, এটি ছিল যুদ্ধে ব্যবহারের উপযোগী একটি যুদ্ধবিমান। বিমানটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিল।

বিধ্বস্তের কারণ

চীনের এফ-৭ মডেলের বিমান প্রথমবার আকাশে উড়ে ১৯৬৬ সালে। ১৯৬৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ২ হাজার ৪০ ‘র বেশি এফ-সেভেন বিমান তৈরি করেছে চেংদু এয়ারক্রাফট। 

এফ-সেভেন যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ সংস্করণ হলো এফটি-সেভেন। এই বিমান পাইলটদের প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার হলেও এটি যুদ্ধে ব্যবহার করা যায়।

দুই জন বসার উপযোগী এই ধরনের বিমানে একজন প্রশিক্ষক ও একজন শিক্ষানবিশ একত্রে উড়তে পারেন। পাইলটদের দ্রুত ও অধিক উচ্চতায় ওড়ার মতো কঠিন বিষয় শেখানোর জন্য এই বিমান ব্যবহার করা হয়। 

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর ইসফাক ইলাহী চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এই বিমানের মডেল অনেক পুরোনো হলেও চাইনিজরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর অনেক ইমপ্রুভমেন্ট করেছে। মডেলের নামটা একই আছে। কিন্তু ষাটের দশকের এফ-সেভেন আর আজকের এফ-সেভেন এক নয়। ইঞ্জিনের অনেক ইম্প্রুভমেন্ট হয়েছে। আধুনিকায়ন হয়েছে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে যে মডেলটি এসেছে সেটি সর্বশেষ মডেল। অনেক আধুনিকায়ন হয়েছে এতে। এটিকে ফার্স্ট জেনারেশন সুপারসনিক এয়ারক্রাফট বলা যায়। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে এখন ফোর্থ, ফিফথ জেনারেশন চলছে। সেই তুলনায় এই বিমানটি আধুনিক নয়।

“এফোর্ডেবিলিটি বলেও একটা কথা আছে। আমাদের বিমানবাহিনীর দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ছিল আরও আধুনিক, আরও পরের জেনারেশনের, ফোর্থ, ফিফথ জেনারেশনের ফাইটার কেনার। কিন্তু হয়তো ফান্ডের স্বল্পতা বা প্রায়োরিটিজের জন্য সেটা হয়নি।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, চাইনিজ এই বিমানের সেফটি স্ট্যান্ডার্ড বিলো এভারেজ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এই এয়ারক্রাফট ফেইজ আউট করা হয়েছে। বাংলাদেশেরও এটা ফেইজ আউট করা উচিৎ বলে তারা মনে করেন।

অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর ইসফাক ইলাহী বিমান বিধ্বস্তের কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, “একটা এয়ারক্রাফট ফ্লাইং এর আগে কন্টিনিউয়াসলি চেক করা হয়। কিন্তু তারপরও অত্যন্ত আধুনিক বিমানও এক্সিডেন্ট হতে পারে।

“বিভিন্ন ফ্যাক্টরে হতে পারে। সেটা হিউম্যান ফ্যাক্টর হতে পারে, আবহাওয়া জনিত কারণে হতে পারে, মেনটেইন্যান্স প্রবলেমে হতে পারে। বাইরের লাইটেনিং এর কারণে হতে পারে, বার্ড হিট হতে পারে। এখানে হয়তো মেজর কোনও মেকানিকাল বা ইলেকট্রিক্যাল ফেইলিয়র হয়েছিল।রসঠিক কারণটা ইনভেস্টিগেশনের পরেই জানা যাবে।”

বাংলাদেশ কি চতুর্থ প্রজন্মের চীনা যুদ্ধবিমান কিনবে

বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো আধুনিকায়নের কথা বিগত কয়েক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছিল। বিশেষ করে গত ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে।

এনিয়ে চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর।

সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের যুদ্ধবিমান আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে চীনের জে-১০সি মডেলের ফোর পয়েন্ট ফাইভ জেনারেশনের যুদ্ধবিমান বিকল্প হতে পারে। জে-৭ সিরিজের মতো এটিও বহুমাত্রিক যুদ্ধবিমান, তবে অনেক আধুনিক।

আওয়ামী লীগ সরকার চীন থেকে ধাপে ধাপে ১৬টি জে-১০ সিই (রপ্তানি সংস্করণ) কেনার কথা বিবেচনা করেছিল, এমন সংবাদ তখন প্রকাশিত হয়েছিল। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খানের চীন সফরের পর বিষয়টি সামনে আসে। 

বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর ব্যাটল লাইনের প্রথম সারিতে আছে রাশিয়ার ডিজাইন করা মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান। এরপরই রাখা হয়েছে এফ-৭ এমজি যুদ্ধবিমান।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তার ব্যাটল লাইন উন্নত করতে চাওয়ায় চীনের পক্ষ থেকে জে-১০ ও এফসি-১ (তৃতীয় প্রজন্মের) যুদ্ধবিমান যুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। মূলত দামের কারণেই জে-১০ এর সঙ্গে এফসি-১ বিমানকে বিকল্প হিসেবে প্রস্তাব দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত