মাত্র ৯ মাস বিসিবির পরিচালক এবং প্রধাণের দায়িত্বে থাকার পর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল ফারুক আহমেদকে। গত বিপিএলে বিভিন্ন অনিয়ম ও সমালোচনা ফারুকের চেয়ার নাড়িয়ে দেয়। তবে ঠিক কি কারণে বিসিবি প্রধাণের দায়িত্ব থেক অপসারণ করা হয়েছিল ফারুককে তা এতদিনে জানালেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি জানিয়েছেন ফারুক আহমেদ ক্রিকেট উন্নয়নে মনোযোগী না হয়ে কীভাবে পরবর্তী বিসিবি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া যায়; সেদিকেই বেশি মনোযোগী ছিলেন।
ঠিকানা পোর্টালে সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছেন, “ক্রিকেটের চেয়ে কীভাবে পরবর্তী নির্বাচনে বিসিবি সভাপতি হয়ে আসা যায়, সেজন্য ক্লাব কীভাবে নেওয়া যায় (পক্ষে) এবং বিজনেসের দিকেই তার (ফারুক) আগ্রহটা বেশি দেখা গেছে। আমরা গঠনতন্ত্রের বাইরে কিছুই করিনি। মন্ত্রণালয় চাইলে এনএসসির মনোনয়ন উইথড্র করতে পারে। আমরা সেটাই করেছি এবং নতুন একজনকে মনোনয়ন দিয়েছি, যিনি এখন বিসিবি প্রেসিডেন্ট।”
আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন বোর্ডের ৮ জন পরিচালকই বিসিবিতে ফারুকের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছিলেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাজ না করে নিজের মতো বোর্ডকে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন ফারুক এমনটাই জানিয়েছেন পরিচালকরা।
ফারুকের অপসারণের পেছনে গত বিপিএল বড় নিয়ামক ছিল বলে জানান আসিফ মাহমুদ, “বিপিএল নিয়ে মন্ত্রণায়ল থেকে একটা তথ্য অনুসন্ধান কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটির রিপোর্ট তাকে সরানোর ক্ষেত্রে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। মন্ত্রণালয় তাকে বলা হয়েছিল যে, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের যে দল (ফ্র্যাঞ্চাইজি) দেওয়া হচ্ছে, তারা একটি টিম পরিচালনার মতো দক্ষ নয়। দিনশেষে সেটাই হয়েছে। তারা দেশি ও বিদেশি প্লেয়ারদের পারিশ্রমিক দিতে পারেনি। দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। এগুলোকে কি আপনি ব্যর্থতা বলবেন না?”