আগের টি-টোয়েন্টি সিরিজগুলোতে বড় শটের পরীক্ষা দিতে হয়নি বাংলাদেশ ব্যাটারদের। রান তাড়ার চেয়ে রান ডিফেন্ড করায় সুবিধা করতে পেরেছেন লিটন দাসরা। তবে উইন্ডিজের বিপক্ষে সেই সুবিধা আর করা যায়নি।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা দুই ম্যাচে রান তাড়ায় ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। পাওয়ার হিটিংয়ের অভাবে আসেনি দ্রুত রান। সুবাদে দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪ রানের হারে সিরিজটাও হারিয়েছে বাংলাদেশ। এতে টানা পাঁচ সিরিজ জয়ের সুযোগটাও হারাল স্বাগতিকরা।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানের বেশি যোগ হয়নি বোর্ডে।
তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাশ জুটি পর্যন্তই ম্যাচে ছিল বাংলাদেশ। তবুও বলের চেয়ে রানের গতি বেশি ছিল না। উইন্ডিজ প্রথম ১২ ওভারেই যে একশ রান তুলেছে সেখানে পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ। ১৩তম ওভারে তাওহিদ হৃদয় দলীয় ৮৫ রানে ফেরার পর আর লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাটাররা।
হার্ডহিটিংয়ের দায়িত্ব যাদের ওপর তারাই ডুবিয়েছেন দলকে। হৃদয় ১৪ বলে খেলে করেছেন মাত্র ১২ রান। একাদশে ফেরা জাকের আলি নিজের বাজে অবস্থা থেকে বের হতে পারেননি ১৮ বলে ১৭ রান করেছেন মাত্র দুটি চারের সাহায্যে। আর শামীম হোসেন এ সিরিজে প্রথম ম্যাচের মতো ব্যর্থতাতেই ডুবে আছেন মাত্র ২ বলে ১ রানে আউট হয়ে।
ব্যাটিংয়ে টানা ব্যর্থতা, পাওয়ার হিটিং করতে না পারা আর চাপ সামলে উঠতে গিয়ে পিছলে পড়ার পুরোনো অভ্যাসেই সিরিজ হার দেখতে হলো বাংলাদেশকে।
বোলারদের ঝলকে দুইশো হলো না উইন্ডিজের
১০৬ রানে ১ উইকেট, টি-টোয়েন্টিতে ১২তম ওভারে যখন কোন দলের বোর্ডে এমন স্কোর থাকে তখন যে কোন দলই নিশ্চিন্ত থাকবে। বিপরীতে বিপক্ষ দল থাকে মারাত্মক চিন্তায়। বুধবার এমন রান করে উইন্ডিজ অনায়াসে দুইশো রানের পথে হাঁটছিল। সেখান থেকে সফরকারীদের লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ বোলাররা। তাই মাত্র ৯ উইকেটে ১৪৯ রানে থামতে হয়েছে উইন্ডিজকে।
শেষ ৭ ওভারে উইন্ডিজ মাত্র ৩৭ রান নিতে পেরেছে। এই সময়ে তাদের উইকেট পড়েছে ৫টি। এর আগে শুরুতেই প্রথম উইকেট হারালেও আলিক আথানেজ ও শেই হোপের ১০৫ রানের জুটিতে দারুণ অবস্থানে চলে যায় ক্যারিবিয়ানরা। আলিক ৩৩ বলে ৫২ রান করেন। অধিনায়ক শেই হোপ ৩৬ বলে ৫৫ রান করেন। দুজনই ৫টি চার ও ২টি করে ছক্কা মারেন।
এরপর রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানরা জোড়ায় জোড়ায় উইকেট নিয়ে উইন্ডিজের রান আটকে দেন। শেষ ৫ ওভারে ২৫ রানের বেশি আসেনি উইন্ডিজের বোর্ডে। শেষ ওভারে একটি রান আউটসহ তিন উইকেট আসে। হ্যাটিট্রিকের সম্ভবনা তৈরি করেছিলেন মোস্তাফিজুর।
২১ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট তার। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন রিশাদ ও নাসুম।



