অনন্য এক রেকর্ড অল্পের জন্য রাকিবুল ইসলামের নামে হলো না। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১০ উইকেটের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন তিনি। অথচ আক্ষেপ হয়ে থাকল ১ টি উইকেট। সিলেটের বিপক্ষে ময়মনসিংহের হয়ে খেলা এই যুব বিশ্বকাপ জয়ী বাঁহাতি স্পিনার নিয়েছেন ৯ উইকেট।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো কোন বোলার এক ইনিংসে ৯ উইকেট শিকার করলেন। আগে দুইবার এই কীর্তি গড়েছেন আব্দুর রাজ্জাক।
সিলেটের বিপক্ষে ৫৫.৩ ওভার বোলিং করে ১৬৮ রানে নিলেন ৯ উইকেট। এর আগে ইনিংসে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন রাকিবুল। গত মৌসুমে ঢাকা মেট্রোর হয়ে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে ৮ উইকেট নেন এই বাঁহাতি।
রাকিবুলের বোলিং সাফল্যের পরও সৈকত আলির ১৭৫ রানে ময়মনসিংহের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানের লিড নেয় সিলেট। সৈকত ছাড়াও তোফায়েল ৭৯ ও পেসার এবাদত হোসেন ৫৮ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে ময়মনসিংহ বিনা উইকেটে ৫৮ রান করেছে।
তৃতীয় দিনেই ফলাফল হয়েছে খুলনা ও বরিশাল ম্যাচে। ফলোঅনে পড়ে বরিশাল দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৪ রান করে। খুলনার সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৩৮ রানের। এই রান তুলতে ৩ উইকেট হারায় খুলনা। অবশ্য ৭ উইকেটের জয়ে জাতীয় লিগের প্রথম ম্যাচে ভালো সূচনা পেল তারা।
সিলেট অ্যাকাডেমি মাঠে ঢাকা রংপুর ম্যাচে তৃতীয় দিন শেষে ৭৫ রানের লিড পেয়েছে ঢাকা। রংপুর প্রথম ইনিংসে ৩৫৮ রান করে ১৩৭ রানের লিড নেয়। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো রান করেছে ঢাকা। জিসান আলমের অপরাজিত ৮০ রানে ২ উইকেটে ২১২ রান করেছে তারা।
রাজশাহীতে জয়ের জন্য ২৬৪ রানের লক্ষ্যে খেলছে স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯৬ রানে অলআউট হওয়ায় বিশাল টার্গেটে চাপা পড়ে তারা। অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রামকে ভালো জবাব দিচ্ছে রাজশাহী। চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ইনিংসে ইয়াসির রাব্বির ৯২, মাহমুদুল হাসান জয়ের ৫১, হাসান মুরাদ ৩২ ও ইরফান সুক্কুরের ৪১ রানে দলীয় ৯ উইকেটে ২৭৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে ৪৮২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা রাজশাহী প্রিতম কুমারের ৫৬ ও মেহেরবের ৫৪ রানে ২১৯ রানে তৃতীয় দিন শেষ করে।



