দুর্গাপূজায় সারাদেশে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লাখ আনসার সদস্য কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান বলে বাসস জানিয়েছে।
ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে এদিন সারাদেশে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব।
এবার সারা দেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজা হচ্ছে। সংখ্যাটি গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ৮৯৪ বেশি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এবার পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।”
সাধারণত পূজামণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক পাহারায় থাকে আনসার সদস্যরা। পাশাপাশি পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে থাকে।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুর্গাপূজায় এবছর মোট ২ লাখ ৩ হাজার ৫৬৪ আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ৭০ হাজার পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনীর ১ লাখ সদস্য, বিজিবির ৪৩০ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ২০-৩০ জন) সদস্য নিয়োজিত রয়েছে।
প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে মনিটরিং কমিটি করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এবছর নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা নিয়ে কোথাও কোনও শঙ্কা নেই।
পূজাকে ঘিরে গুজব ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন িতনি।
বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সেখানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
খাগড়াছড়িতে এক তরুণী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর পাহাড়িরা সংগঠনগুলো অবরোধ ডেকে সড়ক আটকে দিলে তাদের বাড়ি-ঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে বাঙালিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।