Beta
সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

ধর্ষণ মামলায় টিকটকার প্রিন্স মামুনের জামিন

টিকটকার প্রিন্স মামুন।
টিকটকার প্রিন্স মামুন।
[publishpress_authors_box]

ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন আলোচিত টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে শুনানি শেষে ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাবেরা সুলতানা খানমের আদালত এই আদেশ দেয়।

গত ৯ জুন ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি করেন আরেক টিকটকার হিসেবে পরিচিত ব্লু ফেইরি লায়লা, যাকে সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ভিডিওতে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে দেখা গেছে।

মামলার পরদিন ১০ জুন প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১১ জুন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১ জুলাই আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

মঙ্গলবার প্রিন্স মামুন তার পক্ষের আইনজীবী মাজেদুর রহমান সোহাগের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বাদীপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত ৫ হাজার টাকার মুচলেকায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে।

শুনানিতে মামলার বাদী উপস্থিত আদালতের ন্যায় বিচার চান বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সরকার সাব্বির হোসাইন ফয়সাল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার তিন বছর আগে ফেইসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে মামুন তাকে বিয়ে করবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে মামুন তাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনও বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন তাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই লায়লা তাকে নিজের বাসায় থাকতে দেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। ওইদিন থেকে মামুন তার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করে। মামুন তার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো। মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে তাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে লায়লার করা আরেক মামলায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ১ মার্চ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ রয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত