Beta
সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

স্ত্রীসহ এসএসএফের সাবেক ডিজির ৩৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

ssf mojibur
[publishpress_authors_box]

ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সাবেক মহাপরিচালক মো. মজিবুর রহমান এবং তার স্ত্রী তাসরিন মুজিবের ৩৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে এক কোটি ৪৪ লাখ ৯৯ হাজার ২০০ টাকা রয়েছে। 

দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। এছাড়া তাদের ঢাকা মহানগরে থাকা দুইটি ফ্ল্যাট, একটি প্লটসহ ৬৯ দশমিক ৭৯ শতক জমি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জব্দ হওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে, মুজিবুর রহমানের নিজ নামে থাকা মিরপুরের মাটিকাটায় ৪ হাজার ৫০ বর্গফুটের ১টি ফ্ল্যাট, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে থাকা ১টি প্লটসহ চার দলিলের খিলক্ষেত, মিরপুর, সাভার ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের জমি, স্ত্রীর নামে থাকা ঢাকার ক্যান্টনমেন্টের সাহারা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট, ঢাকার ক্যান্টনমেন্টের বাউনিয়া এলাকায় ৭ দলিলের জমি।

দুদকের উপপরিচালক মো. সিরাজুল হক সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করেন। 

আবেদনে বলা হয়েছে, মুজিবুর রহমান সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। তিনি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অপরাধমূলক অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাধু উপায়ে নিজ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের মালিকানা অর্জন করে দখলে রাখা এবং বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ টাকা জমা ও উত্তোলনের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে পাওয়া অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তা রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার অভিযোগ রয়েছে। 

অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ তিনি অন্য কোথাও বিক্রি/হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ কারণে তার নিজ, স্ত্রী ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নামীয় বিভিন্ন স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। তাদের স্থাবর সম্পদ ক্রোক  ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা না গেলে বিচারের সময় তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এতে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত