Beta
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

ডাকসু ভোটেও থাকবে সেনা

সেনা মোতায়েন
বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে জুলাই অভ্যুত্থান থেকে কাজ করছে সেনা সদস্যরা। ফাইল ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

এক বছর ধরে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় থাকা সেনাবাহিনী ডাকসু নির্বাচনেও দায়িত্ব পালন করবে।

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রবেশমুখে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে সেনাবাহিনী থাকবে।

এই নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে এবং ভোট শেষে ফলাফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র ঘিরে রাখবে।

গত বছর জুলাই আন্দোলনের সময় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সেনাবাহিনী নামিয়েছিল।

এরপর আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারও সেনাবাহিনীকে মাঠে রেখেছে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে।

অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়। এখন ছাত্র সংসদের সেই নির্বাচনেও সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানো হচ্ছে।

বাংলাদেশে েজাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হলেও কোনও ছাত্র সংসদের নির্বাচনে প্রতিরক্ষা বাহিনীর দায়িত্ব পালন বিরল ঘটনা।

ডাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র জমা শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়।  

এদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডাকসু নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বসেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাকসু নির্বাচনের সময় আটটি কেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

ভোটের দিন তিন স্তরের নিরাপত্তার প্রথম স্তরে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি সদস্য ও প্রক্টরিয়াল টিম। দ্বিতীয় স্তরে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে। তৃতীয় স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রবেশমুখে সেনাবাহিনী ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসাবে অবস্থান করবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বরাত দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনের সময় পুলিশ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। ইতোমধ্যে টহল টিমসহ সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো সক্রিয় রয়েছে।

ভোটের দিন হলে বহিরাগত প্রবেশে থাকবে নিষেধাজ্ঞা। ভোটারদের জন্য অতিরিক্ত বাস ট্রিপ দেওয়া হবে। ভোট গণনার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারও বুথে ঢোকার সুযোগ থাকবে না।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে আবাসিক হলে কোনও বহিরাগত থাকতে পারবে না। নিয়মিত টহল পরিচালনার মাধ্যমে এ ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।

নির্বাচনের আগের দিন ৮ সেপ্টেম্বর ও নির্বাচনের দিন ৯ সেপ্টেম্বর মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ থাকবে।

ভোটের দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পুরোপুরি সিলগালা থাকবে বলে জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।  

বৈধ শিক্ষার্থী, অনুমোদিত সাংবাদিক ও নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারবে না।

যেসব শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের বাইরে থাকে, তাদের ভোট দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রুটে বাসের অতিরিক্ত ট্রিপের ব্যবস্থা করা হবে। এসব বাস নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।

সিনেট ভবনের বৈঠকে এসব নিরাপত্তা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও প্রার্থী দ্বিমত পোষণ করেননি বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সভায় প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলা এবং সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে রিটার্নিং কর্মকর্তারা নানা দিক-নির্দেশনাও দেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত