জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া এ নিষেধাজ্ঞা দেন বলে বাসস জানিয়েছে।
জি এম কাদেরের সঙ্গে তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর আদালতের আদেশ হলেও দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার এই তথ্য সাংবাদিকদের জানান।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর তার ভাই জি এম কাদের দলটির হাল ধরেন। কাদের রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তার স্ত্রী শেরীফা কাদের দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, একাদশ সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ছিলেন তিনি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিপাকে রয়েছে জাতীয় পার্টিও। ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ হিসাবে চিহ্নিত করে দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিও উঠেছে অভ্যুত্থানকারীদের মধ্য থেকে। ঢাকার বিজয় নগরে দলটির কার্যালয় ভাংচুরও হয়েছে।
বাইরে প্রতিকূলতার মধ্যে দলের মধ্যেও বিবাদ সামলাতে হচ্ছে জিএম কাদেরকে। জাতীয় পার্টির একদল জ্যেষ্ঠ নেতা তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে।
এর মধ্যে আবার আদালত থেকেও জি এম কাদেরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এল।
দুদক তার ও তার স্ত্রীর ‘অবৈধ’ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। সেই অনুসন্ধানের স্বার্থেই তার দেশত্যাগ ঠেকানো প্রয়োজন বলে আদালতকে জানায় দুদক।
আবেদনে বলা হয়, “গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং দেশের বাইরে দুর্নীতি ও অবৈধভাবে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও তার স্ত্রী দেশ ছেড়ে বিদেশে পালানোর জন্য তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন।
“তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধানকার্য ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায়, অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।”