এনসিএল টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় আসর নিয়ে উৎসবের আমেজ ছিল উত্তরাঞ্চলে। রাজশাহী ও বগুড়ার ক্রিকেটপ্রেমীরা স্বপ্ন দেখছিলেন বড় মঞ্চের খেলা মাঠে বসে দেখার। বিশেষ করে বগুড়ায় প্রায় দুই দশক পর বড় ক্রিকেট আয়োজন হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ায় সব গেল পণ্ড হয়ে। বগুড়ায় সিলেট ও রংপুরের ম্যাচই হয়নি। সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে ম্যাচ পণ্ড হয়েছে, শুধু তাই নয়। ভালো ড্রেনেজ সিস্টেম না থাকায় বগুড়ায় আগামী দুই দিনের খেলা হবে রাজশাহীতে। ততদিনে যদি মাঠ ঠিকঠাক করে নেওয়া যায়। অবশ্য বৃষ্টি না হওয়ার উপর নির্ভর করছে সব।
তবে রাজশাহীতে খেলা হয়েছে। কিন্তু মাত্র ৫ ওভার। দুই মাঠেই ফ্লাডলাইট না থাকায় বিকেলের পর খেলা গড়ানোর সম্ভাবনা নেই। তাই দিনের আলোতেই ম্যাচ শেষ করতে হবে। তাই কার্টেল ওভারে হয়েছে মাত্র ৫ ওভারের ম্যাচ। তাতে স্বাগতিক রাজশাহীকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা মেট্রো।
সকাল থেকেই ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি। ফলে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ম্যাচ মাঠে গড়ায়নি। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচ মাঠেই গড়াবে না। তবে বেলা ১২টায় সব শঙ্কা উড়িয়ে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করে। আর ঠিক দুপুর একটা নাগাদ শুরু হয় জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দ্বিতীয় আসরের উদ্বোধনী ম্যাচ।
সবশেষ এনসিএলে রাজশাহীতে কোন ম্যাচ ছিল না। তবে এবারই প্রথম এই ভেন্যুতে আয়োজিত হচ্ছে এনসিএল। আর ঘরের মাঠে ঢাকা মেট্রোকে আতিথ্য দিচ্ছে রাজশাহী। যদিও বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারের খেলা নামিয়ে আনা হয় ৫ ওভারে। আর এই ৫ ওভারের ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা মেট্রো অধিনায়ক নাইম শেখ।
অধিনায়ক নাইমের সিদ্ধান্ত ইনিংসের শুরুতেই ঠিক প্রমাণ করেন আবু হায়দার রনি। ঘরের মাঠে নিজের প্রথম বলেই রানার খাতা খোলার আগেই ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। নিজ শহরের মাঠে দর্শকদের হতাশ করেননি সাব্বির। ইনিংসের শেষ ওভারে শহিদুল ইসলামকে ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে রাজশাহীকে ৫০’র ঘরে নিয়ে যান তিনি। ১৫ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটারের কল্যানে রাজশাহী পুঁজি পায় ৬০ রানের।
৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টায় ছিলেন ঢাকা। জাতীয় দলে খেলা নাঈম শেখ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা ফিরেছেন দ্রুত। মাহফিজুল হক রবিন ১২ বলে ৩০ রান করে ম্যাচ জিতিয়ে দেন মেট্রোকে।