এশিয়া কাপের লড়াইয়ে আবারও ভারতের কাছে বিনা লড়াইয়ে হার পাকিস্তানের। চলতি টুর্নামেন্টে “এ” গ্রুপের লড়াইয়ে ৭ উইকেটে হেরেছে তারা। এতে গ্রুপ সেরা হয়ে সুপার ফোরে ওঠার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল সালমান আলি আগাদের। ম্যাচে আগে ব্যাট করে ভারতকে মাত্র ১২৮ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। ১৫.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩১ রান করে ভারত।
এই জয়ে টি-টোয়েন্টিতে বড় মঞ্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের সাফল্য ধরে রাখল ভারত। সবশেষ গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবং ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। সবশেষ ২০২২ সালে এশিয়া কাপের ম্যাচেই ভারতকে হারানোর সুখস্মৃতি আছে পাকিস্তানের।
টি-টোয়েন্টিতে নিকটঅতীতে সাফল্য থাকলেও ওয়ানডেতে পাকিস্তান ভারতকে হারাতে পারছে না ২০১৭ সালের পর থেকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে সেবার শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান।
ওই আসরের পর ওয়ানডেতে ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ে পেরে ওঠেনি পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে নিকটঅতীতে অবস্থা আরও করুণ। ঠিক সেভাবেই হেরেছে রবিবারের ম্যাচে। নিজেদের ইনিংসের মাত্র দুই ব্যাটার ২০ ছাড়ানো ইনিংস করেছে।
ভারত স্পিনারদের কাছে যেমন অসহায় ছিলেন পাকিস্তান ব্যাটাররা, ভারতীয় ব্যাটারদের সেই রকম কঠিন অবস্থায় ফেলতে ব্যর্থ হন পাকিস্তান বোলাররা। অভিষেক শর্মা মাত্র ১৩ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ রান করে রান তাড়ার শুভসূচনা করে যান। পরে সূর্যকুমার যাদব ৩৭ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জয়ের পথ দেখান। ৩১ বলে ৩১ রান করেন তিলক ভার্মা।
এই জয়ে ২ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোর রাউন্ডে গ্রুপ সেরা হয়ে পা রাখার পথ তৈরি করেছে ভারত।
ভারতকে মাত্র ১২৮ রানের লক্ষ্য দিল পাকিস্তান
শাহীন শাহ আফ্রিদির বিশাল ছক্কাগুলো না থাকলে পাকিস্তানের রান একশ হতো কিনা সন্দেহ। নিজেদের ইনিংসের শেষদিকে এই পেসারের ব্যাটেই দলীয় সংগ্রহ ১২০ এর বেশি নিতে পেরেছে পাকিস্তান। ৪ ছক্কায় শাহিন ১৬ বলে ৩৩ রান করেন। পাকিস্তান তুলেছে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১২৭।
ভারতের জন্য এই লক্ষ্য কিছুই না। ভারতে ব্যাটাররা এই রান তোলেন ১০ ওভারের মধ্যেই। অবশ্য পাকিস্তান বোলাররা যদি কিছু প্রতিরোধ গড়তে পারেন তবে কিছুটা লড়াই উপহার দিতে পারবে। নয়তো গত কয়েক লড়াই ধরে যেমনটা হয়ে আসছে তেমনি বিনা লড়াইয়েই ম্যাচে হেরে যাওয়ার অবস্থা পাকিস্তানের!
নব্বই দশকের দিকে ভারতকে বলে কয়ে ম্যাচ হারাতো পাকিস্তান। ওই সময়ে পাকিস্তান দলে তারকার অভাব ছিল না। ১১ জনের মধ্যে ৯ -১০ জনেই থাকতেন ক্রিকেট বিশ্বের ত্রাশ। ঠিক তার উল্টো বর্তমানে। ভারত দলের ১১ জন টি-টোয়েন্টির সেরা ব্যাটার বা বোলারের তালিকায়। তাদের সামনে নিকটঅতীতে তারকাহীন পাকিস্তান দলের অবস্থা সবসময়ই থাকে সঙ্গীন।
এশিয়া কাপে রবিবারের লড়াইয়ে আরও একবার সেই অবস্থা হলো। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শাহিবজাদা ফারহান ও শাহিন শাহ আফ্রিদির বিচ্ছিন্ন লড়াই বাদে ভারত বোলিং লাইনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কেউ ছিলেন না।
দুই ওপেনার ফিরেছেন ০ ও ৩ রান করে দুই ওভারের মধ্যেই। তৃতীয় উইকেটে ৩৯ রানের জুটির পর ফখর জামান ১৭ রানে ফেরেন অক্ষর প্যাটেলকে তুলে মারতে গিয়ে। মিডলঅর্ডারের সালমান আলি আগা ৩, হাসান নাওয়াজ ৫, মোহাম্মদ নাওয়াজ ০ উইকেটে আসা যাওয়ার মধ্যে ছিলেন ভারত স্পিনারদের ঘূর্নি সামলাতে না পেরে।
শেষদিকে ফাহিম আশরাফ ১১ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির ৩৩ ও সুফিয়ান মুকিমের ১০ রানে পাকিস্তান কোন রকমে ১৩০ এর কাছাকাছি স্কোর গড়েছে।