Beta
সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

আমরা থাইল্যান্ডের পর্যায়ে নেই : বাটলার

b10
[publishpress_authors_box]

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে থাইল্যান্ডের নারী দল ৫৩তম আর বাংলাদেশ আছে ১০৪ নম্বরে। ব্যবধানটা স্পষ্ট। সেটাই ফুটে উঠেছিল দুই দলের প্রথম প্রীতি ম্যাচে। ব্যাংককে ২৪ অক্টোবর প্রথম ম্যাচে ৩-০ গোলে হেরেছিলেন আফাঈদা-সাগরিকারা।

আগামীকাল (সোমবার) দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে থাইল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চান বাংলাদেশি কোচ পিটার বাটলার। তবে দুই দলের মধ্যে যে পার্থক্য আছে সেটাও স্মরণ করিয়ে দিলেন বাটলার। সবশেষ ১২ বছর আগে থাইল্যান্ডের কাছে ৯-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।

বাটলার স্মরণ করিয়ে দিলেন সেটাই, ‘‘আমাকে বলতে পারবেন শেষ কবে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছে বাংলাদেশ? বলতে পারবেন না তাই না। জীবনে কখনো কখনো কী চাই সেটা নিয়ে সাবধানী থাকতে হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা একটা মোমেন্টাম তৈরি করছি। কিছুটা অপারেশন রিসেটের মতো। ৯ ফুটবলার আমাদের সঙ্গে কেবল দুদিন অনুশীলন করেছে, যারা দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শেষবার যখন বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে খেলেছে, তখন ৬ কিংবা ৭-০ (আসলে ৯-০) গোলে হেরেছিল মনে হয়। তাই হ্যাঁ, আমরা জিততে চাই। দাবা, টিডলিউইংকস, ডোমিনোস, পুল, ডার্টস— যাই খেলি না আমি সব খেলায় জিততে চাই। তবে সব কিছু বিচার করে বাস্তবতাও মাথায় রাখতে হবে।’’

এরপর বাটলার মেনে নিলেন বাংলাদেশের চেয়ে থাইল্যান্ডের এগিয়ে থাকাটা, ‘‘আমরা থাইল্যান্ডের পর্যায়ে নেই। এ ব্যাপারে আমাদের সৎ থাকতে হবে। তারা খুবই ভালো দল এবং সেটা তারা দেখাবেও। তারা সম্ভবত পুরো ভিন্ন এক দল মাঠে নামাবে। অনেক সময় বেঞ্চ দেখে দলের শক্তি বোঝা যায়। তাদের বেঞ্চ দেখে মনে হলো এখানে আরেকটা দল বসে আছে। তাই আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। যদি আমরা মানদণ্ড দাঁড় করানোর ও আরও পেশাদারিত্বের কথা বলি, বড় কিছু কল্পনা করার আগে আমাদের সেই জায়গায় পৌঁছাতে হবে। যেখানে আমরা থাইল্যান্ডের মতো জায়গায় এসে ম্যাচ জেতার কথা ভাবতে পারি।’’

প্রথম ম্যাচের পর নির্দিষ্ট কারো নাম উল্লেখ না করলেও, কিছু খেলোয়াড়ের মানসিকতা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন বাটলার। তবে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে

বাটলার বললেন, ‘‘ আমরা সিস্টেমে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। কিছু কিছু জায়গা ঘাটতি রয়েছে আমাদের, সেটা পূরণ করতে হবে বলে আমি মনে করি। আগের ম্যাচে মেয়েরা যেভাবে খেলেছে তা নিয়ে সত্যিকার অর্থে আমার কোনো সমস্যা নেই। তারা ভালো ফুটবল খেলেছে বলেই আমি মনে করি। তবে আমরা মৌলিক কিছু ভুল করেছি— যেমন প্রথম ৪৫ সেকেন্ডে গোল হজম করা এবং তা সবসময় পাহাড়সম চাপ বয়ে আনে। তবে অনুশীলনে মেয়েদের মানসিকতা খুবই ভালো ছিল। আমি সন্তুষ্ট।’’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘কয়েকজনের সঙ্গে আমি আলাদাভাবে কথা বলেছি। তাদের এপ্রোচ ও মাইন্ডসেট নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষ করে এক-দুজন আছে, যাদের আমি সত্যিকারের ম্যাচ উইনার মনে করি এবং আগের ম্যাচে তারা তাদের সামর্থ্যটা মেলে ধরতে পারেনি।’’

থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো খেলতেও প্রত্যয়ী বাটলার, ‘‘ আমরা তাদের সমস্যায় ফেলতে পারব কি না? অবশ্যই পারব। আমি বাস্তবে বাস করি, কল্পনার জগতে নয়। আমি চাই মানুষ কিছু বলার আগে একটু ভাবুক। এটাও মাথায় রাখতে হবে চায়নিজ তাইপের পর আমরা ঘরের মাঠে কোনো ম্যাচ খেলিনি। এখন দেশের বাইরে জেতা নিয়ে কথা বলা যায়। খেলার মধ্যে অনেক কিছুই থাকে, যা ফলাফলে প্রভাব ফেলে। আমি কাউকে দোষ দিতে পছন্দ করি না এবং অজুহাতও দিই না। তবে দেশের বাইরে জেতার চেয়ে ঘরের মাঠে ম্যাচ জেতা অনেক সহজ।’’

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত