Beta
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

গোপালগঞ্জে কারফিউর মধ্যে চলছে গ্রেপ্তার, মামলায় ৭৫ নাম

গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল। ছবি : বিবিসি বাংলা
গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল। ছবি : বিবিসি বাংলা
[publishpress_authors_box]

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে সহিংসতার পর জারি করা কারফিউয়ের মধ্যে চলছে গ্রেপ্তার অভিযান।

সংঘর্ষ, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৪৫ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।

এছাড়া সংঘর্ষের দিন পুলিশের ওপর হামলা, মারপিট ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪৫০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ থানার ওসি সাজেদুর রহমানের বরাতে প্রথম আলো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছিল। বাকি ২০ জনকে এদিন রাতে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করে যৌথবাহিনী। তাদেরকে থানাতেই রাখা হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, বুধবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নের খাটিয়াগড় চরপাড়া এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহম্মেদ আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

ওই হামলার সময়ে আহম্মেদ আলীসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি নিউটন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আতাউর পিয়ালসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪৫০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সংঘর্ষের পর গোপালগঞ্জে জারি করা কারফিউ এখনও চলছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে বেলা ১১টা থেকে দুুপুর ২টা পযন্ত কারফিউ শিথিল ছিল।

শুক্রবারের পরিস্থিতি তুলে ধরে বিডিনিউজ জানিয়েছে, কারফিউ শিথিল হলে গোপালগঞ্জ শহরে কিছুটা প্রাণের সঞ্চার হয়। বেড়ে যায় যানবাহন চলাচল ও লোকজনের উপস্থিতি। এ সময় মূল সড়কের পাশের ও গলির ভেতরের বেশ কিছু দোকানপাট খুলে, চলে বেচাকেনা। তবে মার্কেটগুলো বন্ধই ছিল, বাজারের বেশিরভাগ দোকান খোলেনি।

জুলাই অভ্যুত্থানকারীদের গড়া দল এনসিপির পদযাত্রা উত্তরাঞ্চল ঘুরে দক্ষিণাঞ্চল হয়ে ষোড়শ দিন বুধবার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জেলা গোপালগঞ্জে গিয়ে প্রথম বাধার মুখে পড়ে।

গোপালগঞ্জে প্রথম দফা হামলার পর সমাবেশ করে ফেরার পথে দ্বিতীয় দফা হামলার মুখে পড়ে এনসিপির নেতারা। তখন র‌্যাব-পুলিশের পাহারায় এনসিপি নেতাদের গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

অন্যদিকে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে হামলাকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। আহত অনেকে চিকিৎসা নিলেও তাদের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।

সংঘর্ষের পর গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। এরই মাঝে এনসিপি নেতারা সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে করে গোপালগঞ্জ ছাড়েন।

এ ঘটনার পর বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জ জেলায় কারফিউ জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার সেই কারফিউয়ের সময় বাড়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত