এশিয়া কাপে শিরোপায় চোখ রেখে খেলতে গেছে বাংলাদেশ। অথচ দুই ম্যাচ শেষে সুপার ফোর থেকেই বাদ পড়ার শঙ্কায় লিটন দাসের দল। টিকে থাকাতে পরের ম্যাচে হারাতেই হবে আফগানিস্তানকে। পাশাপাশি প্রার্থনা করতে হবে আফগানদের যেন হারায় শ্রীলঙ্কা।
নেট রান রেট বাংলাদেশের -০.৬৫০। আফগানিস্তানের +৪.৭০০ আর শ্রীলঙ্কার +২.৫৯৫। এসব ভুলে আপাতত আফগানদের হারানোতেই বাংলাদেশের মনোযোগ দেওয়া উচিত। ১৬ সেপ্টেম্বর সেই ম্যাচটা আবুধাবিতে হবে বলে আশাবাদী পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক। তিনি পাকিস্তানের একটি চ্যানেলে বললেন, ‘‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জেতার যতটুকু সম্ভাবনা আছে সেটা আবুধাবিতেই। দুবাইতে আফগানিস্তান আরও শক্তিশালী হয়ে যায়। ওদের স্পিনাররা এমনিতেই ভালো, দুবাইতে ওরা আরো ভয়ংকর। আবুধাবিতে সুইং বেশি, আর আফগানিস্তানের আরেক পেসার ওমরজাই তেমন ফর্মে নেই।’’
বাংলাদেশকে জিততে হলে রান করতে হবে। আর কীভাবে বড় স্কোর গড়া যায় সেই পরামর্শ দিয়ে মালিক বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের ব্যাটিং আরও ভালো হতে হবে। ওরা যদি ব্যাটিংয়ে ভালো করে তাহলে বোলিং দিয়ে ডিফেন্ড করতে পারবে। দুই ওপেনারের মধ্যে অন্তত একজনকে রান করতে হবে যেন নিচের দিকের ব্যাটাররা স্বস্তিতে খেলে।’’
ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের পরামর্শ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারটা যেন ভুলে যায় বাংলাদেশ। আর পরিকল্পনা করে আফগানদের হারানোর। ক্রিকবাজের বিশ্লেষণে হার্শা বলেছেন, ‘‘আমি এবং দীনেশ কার্তিক দুজনই ভেবেছিলাম আজ ম্যাচটা জমজমাট হবে, তবে হয়ত শ্রীলঙ্কা ফেভারিট। আমি অন্তত ক্লোজ ম্যাচ আশা করেছিলাম। আপনি বলতে পারবেন না কী হবে, কারণ বাংলাদেশের আফগানিস্তানকে হারানোর মতো খেলোয়াড় আছে। আবার আফগানিস্তানেরও বাংলাদেশকে হারানোর মতো খেলোয়াড় আছে। আবার আফগানিস্তানের শ্রীলঙ্কাকে হারানোর মতো এবং শ্রীলঙ্কার আফগানিস্তানকে হারানোর মতো খেলোয়াড় আছে।’’
হার্শা আরও যোগ করেন, ‘‘বাংলাদেশকে সবার আগে ভুলে যেতে হবে এই ম্যাচে কী হয়েছে। এখন ভাবতে হবে কীভাবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জেতা যায়। আগে আফগানিস্তানকে হারাও। এরপর দেখো নেট রান রেট কেমন দাঁড়ায়।’’
এশিয়া কাপ শুরুর আগে ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া কোনও আশা দেখেননি বাংলাদেশকে নিয়ে। ইএসপিএনক্রিকইনফোর পোস্ট ম্যাচ অ্যানালাইসিসে আকাশ আবারও বলেছেন একই কথা,‘‘বাংলাদেশ ক্রিকেট যেখানে থাকা উচিৎ ছিল, এর চেয়ে অনেক দূরে। হয়তো এই কথায় বাংলাদেশিদের অনেক ঘৃণা পাব। তবে তারা দীর্ঘদিন ধরে এক জায়গায় আটকে আছে। তারা ততটা উন্নতিই করেনি। যতটা এই বছরগুলোতে হওয়া উচিৎ ছিল। টেস্ট খেলুড়ে দল হওয়ার ২০-২৫ বছর পরও যদি এশিয়া কাপ জেতার মতো অবস্থায় না যেতে পারেন তাহলে অবশ্যই কোথাও সমস্যা আছে যা সমাধান করা উচিৎ। তাদের উন্নতিই হয়নি।’’