Beta
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

৬ মাসেই গত বছরের বেশি মুনাফা বিকাশের

Bkash-Logo
[publishpress_authors_box]

দেশে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতাদের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান বিকাশ চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) প্রায় ৩০৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা নিট মুনাফা করেছে। অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সব ধরনের পরিচালন ব্যয় ও কর বাদ দিয়ে এই মুনাফা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিকাশের চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের এই মুনাফা গত বছরের প্রথম ছয় মাসের মুনাফার প্রায় ৩ গুণ। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে তাদের নিট মুনাফা ছিল ১০৯ কোটি ৯ লাখ টাকা।

গত বছরই প্রথমবারের মতো বিকাশের মুনাফা ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল। এবার ৬ মাসেই ৩০০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশের চলতি বছরের প্রথমার্ধের আর্থিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিকাশ এ বছরের প্রথম ছয় মাসে সরকারকে প্রদেয় করবহির্ভূত মুনাফা করেছে ৪১৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির কর পরিশোধের পর নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৩০৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের প্রথম ছয় মাসে বিকাশ প্রায় ১০৭ কোটি টাকার কর পরিশোধ করেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী বছরের প্রথম ছয় মাসে বিকাশ মুনাফা করেছে ৩০৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১০৯ কোটি ৯ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে মুনাফা বেড়ে প্রায় তিন গুণ হয়েছে।

২০১১ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ ৯৯ কোটি টাকা মুনাফা করেছিল। গত বছর সেই মুনাফা এক লাফে রেকর্ড ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। এবার সেই মাইলফলক ছাড়িয়ে ৩০৮ কোটির বেশি মুনাফা করল ছয় মাসেই।

চলতি বছর শেষে প্রতিষ্ঠানটির নিট মুনাফা ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিকাশের এখন গ্রাহক প্রায় ৮ কোটি। দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার এজেন্ট ও সাড়ে ৫ লাখ মার্চেন্ট পয়েন্ট। আর্থিক লেনদেনের পাশাপাশি বিকাশে রয়েছে বিভিন্ন পরিষেবা বিল পরিশোধ, ন্যানো ঋণ ও ডিপোজিট সুবিধা।

প্রতিষ্ঠানটির মালিকানার সঙ্গে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানি ইন মোশন, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন বা আইএফসি, গেটস ফাউন্ডেশন, অ্যান্ট ইন্টারন্যাশনাল ও সফটব্যাংক।

বিকাশের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর এক লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, “প্রকৃত টেকসই ব্যবসা গড়ে তুলতে দীর্ঘমেয়াদি পুঁজি এবং প্রবৃদ্ধিভিত্তিক মানসিকতার বিকল্প নেই।

“প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানো, পরিষেবা অবকাঠামো সম্প্রসারণের মাধ্যমে কোটি গ্রাহকের ডিজিটাল লিটারেসি সমৃদ্ধ করতে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিকাশের ধারাবাহিক বিনিয়োগই ছিল অন্যতম চালিকাশক্তি।”

তিনি বলেন, “এসব উদ্যোগের সমষ্টিতেই গ্রাহকের জন্য উদ্ভাবনী ডিজিটাল আর্থিক সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই সাম্প্রতিক সময়ের এই ধারাবাহিক রাজস্ব প্রবৃদ্ধির পথ তৈরি হয়েছে। এটা বিকাশের শক্তিশালী ব্যবসায়িক মডেল এবং দীর্ঘমেয়াদি টেকসই প্রবৃদ্ধির স্বীকৃতিও বটে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত