ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট-ঘুরে ফিরে এই তিন ভেন্যুতেই হচ্ছে বিপিএল। একটা সময় খুলনায় এই টুর্নামেন্ট হলেও সেই ভেন্যু এখন পরিত্যক্ত একপ্রকার। তবে রাজশাহী, বগুড়ার মত স্টেডিয়াম সংস্কার করা গেলে বিপিএলে হোম-অ্যাওয়েতে খেলা অসম্ভব নয়। সেই ভাবনা আছে বিসিবিরও। এবার না হলেও সময় নিয়ে সেই পখে হাঁটতে চায় তারা, তাহলে খেলাটা ছড়িয়ে দেওয়া যাবে দেশব্যাপী।
এইচপি-বাংলাদেশ ‘এ’ দল চট্টগ্রামে দুই দিনে যে দুটি টি-টোয়েন্টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চেয়েছিল, সেখানে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর সঙ্গে ছিলেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
বিপিএল নিয়ে সেখানে ফাহিম বলেন, ‘‘আমাদের চিন্তাভাবনায় আছে ভবিষ্যতে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ের ধারণাটা এখানে কাজে লাগানো। এ বছরের বিপিএল যদি একটা অতিরিক্ত মাঠে করতে পারি, মানে তিনটা থেকে চারটা ভেন্যুতে করতে পারলে ভালো হবে। আশা করছি যে এটা আমরা করতে পারব। ভবিষ্যতে ছয়-সাতটা দল নিয়ে বিপিএল হলে টুর্নামেন্টটা যদি ছয়-সাতটা ভেন্যুতে করতে পারি, সে ক্ষেত্রে বিপিএলটা অন্য এক লেভেলে চলে যেতে পারে।’’
এবারের বিপিএল রাজশাহী-বগুড়ায় আয়োজন করা সম্ভব কি না—গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ফাহিম বলেন, ‘‘এটা এখনই মনে হয় সম্ভব না। মাঠগুলো ঠিকঠাক করতে যে সময় লাগবে, সামনের বিপিএলের কথা চিন্তা করলে দ্রুত সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।’’
এবার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির হাতে বিপিএল তুলে দিতে চায় বিসিবি। ১০ জুলাই বিপিএল আয়োজনে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের কাছে আগ্রহ জানতে চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় দেশের ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ৫টি প্রতিষ্ঠান, যার চারটিই আবার বিদেশি। আর সবচেয়ে বড় নাম ২০০৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আইপিএল আয়োজনের অভিজ্ঞতা থাকা আইএমজি। পিএসএল আয়োজন করা দ্য আইপিজে গ্রুপও আগ্রহ প্রকাশ করেছে।