চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম ম্যাচে অলিম্পিক মার্শেই চমকেই দিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদকে। শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল ফ্রান্সের দলটি। দানি কারভাহাল লাল কার্ড দেখলে শেষ ১৮ মিনিট তাদের খেলতে হয় ১০ জন নিয়ে। তারপরও কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে ২-১ ব্যবধানের জয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।
চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচে দুই বদলির গোলে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে আর্সেনাল। বদলি নেমে গোল করেন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ও লিয়ান্দ্রো ত্রোসার।
তুরিনে রোমাঞ্চকর এক রাত উপহার দিয়েছে জুভেন্টাস ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। ৪-৪ গোলে ড্র হয়েছে ম্যাচটি। মাত্র ৪৪ মিনিটের মধ্যে হয়েছে ৮ গোল; সব গোলই বিরতির পর।
৫২ মিনিটে হয় প্রথম গোল। আর শেষটি ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে এর আগে কোনও ম্যাচে বিরতির পর এত গোল হয়নি।
গোলগুলো হয়েছে এভাবে-
৫২ : জুভেন্টাস ০: ১ ডর্টমুন্ড
৬৪ : জুভেন্টাস ১: ১ ডর্টমুন্ড
৬৫ : জুভেন্টাস ১: ২ ডর্টমুন্ড
৬৭ : জুভেন্টাস ২: ২ ডর্টমুন্ড
৭৫ : জুভেন্টাস ২: ৩ ডর্টমুন্ড
৮৬ : জুভেন্টাস ২: ৪ ডর্টমুন্ড
৯০+৪ : জুভেন্টাস ৩: ৪ ডর্টমুন্ড
৯০+৬ : জুভেন্টাস ৪: ৪ ডর্টমুন্ড
৯০ মিনিট পর্যন্ত ৪-২ গোলে এগিয়ে ছিল ডর্টমুন্ড। ইনজুরি টাইমে দুই গোল করে ৪-৪ সমতা ফেরায় জুভেন্টাস। জুভেন্টাসের হয়ে জোড়া গোল করেন দুসান ভ্লাহোভিচ। অন্য দুই গোল কেনান ইলদিজ ও লয়ড কেলির। ডর্টমুন্ডের হয়ে একটি করে গোল করেন কারিম আদেইয়েমি, ফিলিক্স মেচা, ইয়া কৌতো ও রামি বেনসেবেইনি।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে পঞ্চম মিনিটেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আরনল্ড। বদলি নামেন দানি কার্ভাহাল। পরের মিনিটেই ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোর প্রচেষ্টা নষ্ট হয় পোস্টে লেগে। ২২ মিনিটে টিমোথি উইয়াহর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মার্শেই। এটা বড় ধাক্কাই ছিল রিয়ালের জন্য।
২৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান এমবাপ্পে। ডি-বক্সে রোদ্রিগো ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় তারা। ৫০তম মিনিটে এমবাপ্পের শট ফিরে ক্রসবারে লেগে।
৭২ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন কারভাহাল। মেজাজ হারিয়ে মাথা দিয়ে গোলরক্ষক রুলির চোখের কাছে গুতো মেরে বসেন তিনি। ভিএআর মনিটরে দেখে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি।
একজর কম নিয়েও ৮১ মিনিটে এমবাপ্পের পেনাল্টিতে ২-১ গোলের জয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল। ডি-বক্সে ফাকুন্দো মেদিনার হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় তারা। রিয়ালের জার্সিতে এমবাপ্পের গোল এখন ৫০টি, যা লস ব্লাঙ্কোসের হয়ে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর দ্বিতীয় দ্রুততম। ৬৪ ম্যাচ ৫০ গোল করলেন এমবাপ্পে, ২০১০ সালের নভেম্বর রোনালদো ৫০তম গোল করেছিলেন ৫৪তম ম্যাচে।
১৯৯২–৯৩ মৌসুমে ইউরোপিয়ান কাপ থেকে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ নাম হওয়ার পর রিয়াল পেল ২০০তম জয়। আর তখন থেকে গোল করল ৭০০টি। আর কোনও দলের এমন নজির হয়নি এখনও।