Beta
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মাতারবাড়ীর সংযোগ সড়ক প্রকল্পের ব্যয় বেশি নয় : পরিকল্পনা উপদেষ্টা

SS-Matarbari-deep-seaport-project-060924
[publishpress_authors_box]

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর সংযোগ সড়ক প্রকল্পের ব্যয় বেশি না হওয়ার বিষয়টি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) মূল্যায়নে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ‘মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর সংযোগ সড়ক নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছিল। ২৭ দশমিক ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৪৭৬ কোটি টাকা, যা নিয়ে ওই সময়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল।

বিষয়টি নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সড়ক পরিবহন, রেলপথ ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে আবারও প্রশ্ন তোলেন।

এই প্রসঙ্গ টেনে বুধবার একনেক বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে গণমাধ্যমে মাতারবাড়ী এলাকায় একটি সড়ক বানাতে অত্যধিক খরচের সংবাদ এসেছে। প্রতি কিলোমিটারে রেকর্ড পরিমাণ হওয়ার কথাও উঠে আসে। এরপর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিবকে সরেজমিনে ঘুরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “আইএমইডি সচিবের প্রতিবেদন অনুযায়ী সড়কটির বেশিরভাগ অংশ উচু–নিচু। সেখানে সেতু-কালভার্ট বানাতে হয়েছে। সড়কের দৈর্ঘ্যের অর্ধেকের বেশি সেতু-কালভার্ট। তাই খরচ খুব বেশি হয়নি।”

সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার ব্যয় নিরীক্ষা অনিষ্পন্ন

সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানান, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের নিরীক্ষা শেষ হয়নি।

তিনি বলেন, “মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা খরচের নিরীক্ষা অনিষ্পন্ন আছে। কিন্তু তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক পলাতক। তাই উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।”

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, “মাতারবাড়ী কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। কিন্তু পিডিবি নেয় মাত্র ১৮৫ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো সক্ষমতা ব্যবহার না হওয়া দুঃখজনক।”

এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে নিম্মমানের কয়লা আমদানি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সপ্তাহে দুইবার কয়লা আমদানি করতে হয়। একটা প্রতিষ্ঠান ইন্দোনেশিয়া থেকে এই কয়লা আমদানি করত, আমি তাদের নাম বলছি না। এখন সেই নিম্নমানের কয়লা পরীক্ষার জন্য ব্যাংককে পাঠানো হয়েছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত