উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনালসে টানা দুই ম্যাচ হেরেছিল জার্মানি। এরপর বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুরু করে স্লোভাকিয়ার কাছে হেরে। সেই জার্মানি ঘুরে দাঁড়িয়ে ফিরতি ম্যাচে স্লোভাকিয়াকে ভাসাল গোল বন্যায়। ৬-০ গোলের জয়ে নিশ্চিত করল ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ। বড় জয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে নেদারল্যান্ডসও। তারা লিথুয়ানিয়াকে হারিয়েছে ৪-০ গোলে।
লাইপজিগের রেড বুল অ্যারেনায় সোমবার স্লোভাকিয়াকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্তই করে জার্মানি। জোড়া গোল করেন লিরয় সানে। একটি করে গোল নিক ভল্টামাডা, সার্জ জিনাব্রি, বাকু ও আসান ওয়েদরেগোর।
ছয় ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘এ’র শীর্ষে থেকে বাছাই শেষ করল জার্মানি। প্রথম ম্যাচ হারের পর টানা পাঁচ ম্যাচ জিতেছে তারা। ১২ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়ে প্লে-অফে খেলবে স্লোভাকিয়া।
এ নিয়ে ২১তমবারের মতো বিশ্বকাপের টিকিট কাটল জার্মানরা। ইতিহাসে কেবল দুবার বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি জার্মানি—বিশ্বকাপের প্রথম আসর ১৯৩০ সালে আর ১৯৫০ সালে।

ম্যাচ শেষে জার্মান সম্প্রচারক ‘জেডিএফ’কে জার্মানির কোচ ইউলিয়ান নাগলসমান বললেন, ‘‘সবাই দারুণ খেলেছে, প্রাণপণ পরিশ্রম করেছে। আমরা অসাধারণ দলীয় স্পিরিট দেখিয়ে শুরু থেকেই মাঠে নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলেছি।’’
ইয়োহান ক্রুইফ স্টেডিয়ামে সোমবার রাতে ৪-০ গোলে ডাচরা হারায় লিথুয়ানিয়াকে। প্রথমার্ধে ডাচদের হয়ে একটিই গোল করেছিলেন টিজানি রেইডার্স। বিরতির পর একবার করে বল জালে পাঠান কোডি গাকপো, শাভি সিমন্স ও ডোনিয়েল মালেন।
লিথুয়ানিয়ার বিপক্ষে ১৬তম মিনিটে ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের পাস ছুটে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জালে পাঠান রেইডার্স। ৩০তম মিনিটে তার শট লাগে পোস্টে। ৫৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গাকপো। ৬০তম মিনিটে গাকপোর পাস বক্সে পেয়ে ব্যবধান ৩-০ করেন সিমন্স। এক মিনিট পর চতুর্থ গোলটি করেন মালেন। চার মিনিটের ব্যবধানে নেদারল্যান্ডস আদায় করে নেয় তিন গোল!
আট ম্যাচে ছয় জয় ও দুই ড্রয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে ‘জি’ গ্রুপের শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে নেদারল্যান্ডস। অপর ম্যাচে মাল্টাকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হওয়া পোল্যান্ড খেলবে প্লে-অফে।



