Beta
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫

স্ত্রীসহ হাছান মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

SS-Hasan Mahmud-20-11-23
[publishpress_authors_box]

বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ এবং তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত।

এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের ৭৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় আদালত।

গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাছান মাহমুদকে দেশে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।

এর মধ্যে গত রোজার ঈদে লন্ডনের একটি মসজিদে তিনি ঈদের নামাজ পড়েন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আলাদা দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকা মহানগর জেষ্ঠ্য বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেয়।

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দুদকের সহকারি পরিচালক আল-আমিন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আলাদা দুটি আবেদন করেন।

হাছান মাহমুদের আবেদনে বলা হয়, হাছান মাহমুদ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসাবে এবং সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসাধু উপায়ে অর্জিত জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে সঙ্গতিবিহীন এক কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৮ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করে ভোগদখলে রেখে অপরাধমূলক অসদাচরণ এবং তার নিজ, যৌথ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে ৯ টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৭ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করে হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে গত ৬ এপ্রিল দুদক মামলা করে। মামলার তদন্তকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া একান্ত জরুরি।

নূরান ফাতেমার আবেদনে বলা হয়, নূরান ফাতেমা জ্ঞাত আয়ের উৎস বর্হিভূত ৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৮ হাজার ১৯০ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিকানা অর্জন ও ভোগদখলে রেখে নিজ, যৌথ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ৫৬টি হিসাবে সর্বমোট ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

অপরদিকে তার স্বামী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী, তথ্য মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য থাকার সময় পাবলিক সার্জেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার নামে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৬ হাজার ৯০ টাকার সম্পদ অর্জন করতে সহায়তা করে এবং নুরান ফাতেমার নিজ, যৌথ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ৫৬টি হিসাবে মানিলন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন ও আড়াল করার উদ্দেশ্যে তা রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে সর্বমোট ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেন করে দুদক আইনে অপরাধ করেছেন।

গত ৬ এপ্রিল দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার তদন্তকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া একান্ত জরুরি।

স্ত্রীসহ হাসান মাহমুদের ২১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ 

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদের ১টি জিপ গাড়ি ও ৯ ব্যাংক হিসাব এবং তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার ১২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত। হাছান মাহমুদের ৯ ব্যাংক হিসাবে আছে, এক কোটি ৫৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬৪ টাকা। নূরান ফাতেমার ১২ ব্যাংক হিসাবে আছে, এক কোটি ৬১ লাখ ২২ হাজার ৪৬১ টাকা। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আলাদা দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার  ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এই আদেশ দেয়। 

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

দুদকের পক্ষে আবেদন দুটি করেন সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন। 

হাসান মাহমুদের আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ এমপির দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তিনি জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে সঙ্গতিবিহীন এক কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৮ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। এছাড়া তার নিজ, যৌথ ও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে মোট ৬টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৭ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেন।

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার নামে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা হয়েছে। আসামি তার নামে অর্জিত স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা দলিল সম্পাদন বা অন্য কোন পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

নূরান ফাতেমার আবেদনে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ ৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৬ হাজার ৯০ টাকা মূল্যর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিকানা অর্জন ও ভোগদখলে রেখে এবং নূরান ফাতেমা তার নিজ, যৌথ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ৫৬টি হিসাবে সর্বমোট ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেন এর মাধ্যমে রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মানিলন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

অপরদিকে তার স্বামী মোহাম্মদ হাসান মাহমুদ মন্ত্রী থাকার সময় অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার  নামে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৬ হাজার ৯০ টাকার সম্পদ অর্জনে সহায়তা করে এবং তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার নিজ, যৌথ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ৫৬টি হিসাবে মানিলন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তার রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে সর্বমোট ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪  টাকা অস্বাভাবিক লেনদেন করিয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

আসামি তার নামে অর্জিত স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা দলিল সম্পাদন বা অন্য কোন পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তর সম্ভবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির নামে অর্জিত স্থাবর সম্পদ এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত